আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
96 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (44 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।

১. খাদ্য দ্রব্য কিনে কিছুদিন মজুদ রেখে  পরে বিক্রি করা কি জায়েজ হবে। যেমন গ্রামাঞ্চলে ধান, মরিচ ইত্যাদি শস্য মৌসুম থাকা অবস্থায় কম দামে কিনে  অনেকে কয়েকমাস পরে বিক্রি করে এতে তাদের ভালোই লাভ হয় এটা কি জায়েজ হবে?

২.ফ্লোরে বাচ্চারা প্রসাব করলে পাক করার নিয়ম কি।শুধু মুছে দিলে কি হবে নাকি সাথে পানিও ঢালতে হবে।পানি ঢেলে পরিস্কার করা অনেক কষ্টকর হয়ে যায়।

৩. শরীর ও কাপড়ে নাপাকি লাগলে কি উভয়ক্ষেত্রেই  ৩ বার ধূতে হবে?নাকি নাপাকি চিহ্ন দূর হলেই চলবে?

৪. দাড়ি পাকলে তাতে খেজাব দেওয়া কি সুন্নত নাকি মুবাহ।
৫. ঘরে প্রবেশের সময় সালাম দেওয়া ও দোআ পড়ার হুকুম কি? এক ঘর থেকে অন্য ঘরে প্রবেশের সময় অনুমতি চাওয়া ও সালাম দেওয়ার হুকুম কি?

৬.কারো সাথে সাক্ষাত শেষে বিদায়ের সময় সুন্নত, মুস্তাহাব আমল কি কি আছে?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
হযরত মা'মার ইবনে আব্দুল্লাহ রাযি থেকে বর্ণিত
عَنْ مَعْمَرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّهُ قَال: قَال رَسُول اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنِ احْتَكَرَ فَهُوَ خَاطِئٌ 
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন-যে মূল্যবৃদ্ধির জন্য গোদামজাত করল সে গোনাহগার।(সহীহ মুসলিম-১৬০৫)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/7434


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মূল্য বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে গোদামজাত করা নাজায়েয ও হারাম।তবে যদি কারো গোদামজাত করণের দ্বারা বাজারে কোনো প্রভাব না পড়ে,তাহলে উনি এমন কোনো মালকে গোদামজাত করতে পারবেন।এবং যতদিন ইচ্ছা করতে পারবেন।এর জন্য কোনো সময়সীমা নাই।
সুতরাং খাদ্য দ্রব্য কিনে কিছুদিন মজুদ রেখে পরে বিক্রি করা নাজায়েয হবে না। যেমন গ্রামাঞ্চলে ধান, মরিচ ইত্যাদি শস্য মৌসুম থাকা অবস্থায় কম দামে কিনে কয়েকমাস পরে বিক্রি করা।কেননা এই স্টকের দ্বারা বাজারে কোনো প্রভাব পড়েনি। 

(২)
ফ্লোরে বাচ্চারা প্রসাব করলে পাক করার নিয়ম হল,শুধু  পানি ঢেলে পবিত্র করা। 

(৩)
শরীর ও কাপড়ে অদৃশমান নাপাকি লাগলে ৩ বার ধৌত করতে হবে। আর দৃশ্যমান নাপাকি হলে, নাপাকির চিহ্ন দূর করে দিলেই হবে।

(৪)সাদা দাড়িতে মেহেদি দেওয়া মুস্তাহাব।

صحیح مسلم: (1663/3، ط: دار احیاء التراث العربی)
عن جابر بن عبد الله، قال: أتي بأبي قحافة يوم فتح مكة ورأسه ولحيته كالثغامة بياضا، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «غيروا هذا بشيء، واجتنبوا السواد»

الدر المختار مع رد المحتار: (422/6، ط: دار الفکر)
يستحب للرجل خضاب شعره ولحيته ولو في غير حرب في الأصح، والأصح أنه - عليه الصلاة والسلام - لم يفعله، ويكره بالسواد
قال في الذخيرة: أما الخضاب بالسواد للغزو، ليكون أهيب في عين العدو فهو محمود بالاتفاق وإن ليزين نفسه للنساء فمكروه، وعليه عامة المشايخ، وبعضهم جوزه بلا كراهة روي عن أبي يوسف أنه قال: كما يعجبني أن تتزين لي يعجبها أن أتزين لها

الھندیۃ: (359/5، ط: دار الفکر)
اتفق المشايخ رحمهم الله تعالى أن الخضاب في حق الرجال بالحمرة سنة وأنه من سيماء المسلمين وعلاماتهم وأما الخضاب بالسواد فمن فعل ذلك من الغزاة ليكون أهيب في عين العدو فهو محمود منه، اتفق عليه المشايخ رحمهم الله تعالى ومن فعل ذلك ليزين نفسه للنساء وليحبب نفسه إليهن فذلك مكروه وعليه عامة المشايخ وبعضهم جوز ذلك من غير كراهة وروي عن أبي يوسف - رحمه الله تعالى - أنه قال كما يعجبني أن تتزين لي يعجبها أن أتزين لها كذا في الذخيرة.
وعن الإمام أن الخضاب حسن لكن بالحناء والكتم والوسمة وأراد به اللحية وشعر الرأس والخضاب في غير حال الحرب لا بأس به في الأصح كذا في الوجيز للكردري.


(৫)ঘরে প্রবেশের সময় সালাম দেওয়া ও দোআ পড়া মুস্তাহাব আ'মল। এক ঘর থেকে অন্য ঘরে প্রবেশের সময় অনুমতি চাওয়া ও সালাম দেওয়ার মুস্তাহাব।

(৬)কারো সাথে সাক্ষাত শেষে বিদায়ের সময় সুন্নত হল, তাকে হাতে ধরে সালাম দিয়ে দু'আ পড়ে পড়ে বিদায় দেয়া। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...