আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
180 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (12 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম,

ইমান নিয়ে জানার জন্য প্রশ্ন হুজুরের কাছে,

প্রশ্ন ১: একজন লোক বিপদে পড়ে ঘরের ভিতর নির্জনে একা কেউ ছিলো না রুমে তখন মুখ দিয়ে আল্লাহকে বলছে,,,," আল্লাহ তোর কি দয়া মায়া নাই" তুই কি আমার দুংখ দেখতে পাস না", কিছুক্ষণ পড়ে সে তওবা করে অনুশোচনা করেছে যে রাগের মাথায় কথা গুলো বলেছে
এই কথার জন্য তোর ইমানে সমস্যা হবে???তার বিয়ে রিনিউ করতে হবে???

প্রশ্ন ২: রাগের মাথায় আল্লাহকে ওসব কথাগুলা তার বিয়ের আগে বলছে,,,পরবর্তীতে সে তওবা করে বিয়ে করলে তার বিয়েতে কোন সমস্যা হবে???

প্রশ্ন ৩: সে বিয়ের আগে আল্লাহকে ওসব কথা  বলছে না বিয়ের পর এরকম সন্দেহ আর ওয়াসওয়াসা থাকলে কি তার নতুন করে বিয়া পড়িয়ে নিতে হবে???
তার মনের প্রবল ধারনা যে সে বিয়ের আগে বলেছে এবং সে তওবা করেছে।

প্রশ্ন ৪: তার মনের ভিতর সন্দেহ আর ওয়াসওয়াসা হচ্ছে,আল্লাহকে সে কখোনো রাগ করে গালি দিয়েছিলো নাকি বিয়ের পর তার ভিতর ওয়াসওয়াসা আর সন্দেহ হচ্ছে যে তার বিয়ে ভেঙে গেলো নাকি।  এ জন্য তার ইমান ঠিক থাকবে?তার বিয়ে রিনিউ করতে হবে?

প্রশ্ন ৫: সে কি মনে মনে বলেছে না উচ্চারণ করে আল্লাহকে গালি দিছে( নাউজুবিল্লাহ)  এ নিয়ে সন্দেহ আর ও ওয়াসওয়াসা থাকলে তার ইমানে সমস্যা হবে??

প্রশ্ন ৬: শায়েক আহমাদ উল্লাহ হুজুর,,,ড: আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর বলেছেন আপনি ভুল করে আল্লাহকে গালি দিয়েছেন,,,আপনি তওবা করলে আপনি আগের থেকে আল্লাহর কাছে আরো বেশি চলে যাবেন এবং ইমান আরো মজবুত হবে।

ডা: মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহি হুজুর বলেছেন আল্লাহকে কেউ ভুলবশত গালি দিলে সে যেনো তওবা করে কারন আল্লাহ ক্ষমাশীল।
মানুষ ভুল করে আল্লাহ ক্ষমা করে।এতে বিয়ে ভেঙে যায় না। কারন সাহাবায়ে কেরাম রা নাকি ইসলাম গ্রহন করার পর নতুন করে তারা বিয়ে রিনিউ করেন নি।  ওনারা বলেছে বিয়ে রিনিউ করতে হবে না।।.......ওনাদের কথা কি সঠিক সেই অনুযায়ী আমল করা যাবে??

প্রশ্ন ৭ : কোন পুরুষ ভুলবশত রাগের মাথায় একা নির্জনে রুমের ভিতর আল্লাহকে গালি দিয়ে যদি তওবা করে অনুশোচনা করে যে কখোনো এরকম বলবে না,,,তারপরও কি তার স্ত্রীর সাথে নতুন করে বিয়ে পড়তে হবে??
না তওবা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে তার স্ত্রীর সাথে সংসার করতে পারবে???

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) যদি কোনো লোক বিপদে পড়ে ঘরের ভিতর নির্জনে বলে " আল্লাহ তোর কি দয়া মায়া নাই" তুই কি আমার দুংখ দেখতে পাস না", 

কিছুক্ষণ পড়ে সে তওবা করে অনুশোচনা করে নেয়, তাহলে এই কথার জন্য তার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না। তার বিবাহকে দোহড়াতে হবে না।

(২) রাগের মাথায় আল্লাহকে ঐসব কথাগুলে বিয়ের পূর্বে বলার পর পরবর্তীতে তওবা করে নিলে, এতেকরেও তার বিয়েতে কোন সমস্যা হবে না।

(৩) বিয়ের আগে আল্লাহকে ঐসব কথা বলছে না বিয়ের পর বলছে? এরকম সন্দেহ আর ওয়াসওয়াসা থাকলে তাকে নতুন করে বিয়ে পড়িয়ে নিতে হবে না।

(৪) তার মনের ভিতর সন্দেহ আর ওয়াসওয়াসা হচ্ছে,আল্লাহকে সে কখোনো রাগ করে গালি দিয়েছিলো নাকি বিয়ের পর তার ভিতর ওয়াসওয়াসা আর সন্দেহ হচ্ছে যে তার বিয়ে ভেঙে গেলো নাকি।  এ জন্য তার ইমানে কোনো সমস্যা হবে না। 

(৫) সে কি মনে মনে বলেছে না উচ্চারণ করে আল্লাহকে গালি দিছে( নাউজুবিল্লাহ)  এ নিয়ে সন্দেহ আর ও ওয়াসওয়াসা থাকলে, তার ইমানে কোনো সমস্যা হবে না।

(৬)জ্বী, তাদের কথা ঠিক যে, আপনি ভুল করে আল্লাহকে গালি দিয়েছেন,আপনি তওবা করলে আপনি আগের থেকে আল্লাহর কাছে আরো বেশি প্রিয় হবেন এবং আপনার ঈমান আরো মজবুত হবে। এই কথাগুলো বিশুদ্ধ।

ডা: মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহি এর কথা সঠিক। সেই অনুযায়ী আমল করা যাবে।

(৭) কোন পুরুষ ভুলবশত রাগের মাথায় একা নির্জনে রুমের ভিতর আল্লাহকে গালি দিয়ে যদি তওবা করে অনুশোচনা করে যে, কখনো সে আর এরকম বলবে না,,,তাহলে তার স্ত্রীর সাথে আবার নতুন করে বিয়ে পড়াতে হবে। হ্যা, সতর্কতামূলক কেউ বিয়েকে দোহড়িয়ে নিলে সেটা মন্দ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...