আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
273 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (50 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম

১। আমি একবার ফরজ নামাজে ভুল করে ফেলি। এরপর সাহু সিজদা দিই। প্রচন্ড ডিপ্রেশনে থাকার কারণে সাহু সিজদাতেও ভুল করে ফেলি। এরপর ঠিকভাবে পুনরায় সাহু সিজদা দিয়ে নামাজ শেষ করি। নামাজটা কি শুদ্ধ হয়েছে নাকি ফাসিদ হয়ে গেছে? ফাসিদ হয়ে গেলে পুণরায় আদায় করা লাগবে?

২। ওযুর পরে মুখে ব্রণ থেকে তরল পদার্থ বের হওয়ার কারণে সেটা টিস্যু দিয়ে মুছে নিই। তবে খেয়াল করি নাই সেটা বেয়ে পড়ার সমান পরিমাণে ছিলো কিনা। এরপর সালাত আদায় করলে সিজদার স্থানে স্বল্প ভিজে যায় পুণরায় তরল বের হওয়ার কারণে। প্রথম সিজদার পরে যেটুকু বের হয়েছিলো সেটা মুছে যায় তবে দ্বিতীয় সিজদাতেও স্বল্প জায়গা ভিজে যায়। সেটা মুছে গেলে তৃতীয় সিজদাতেও এমন হয়। আমি নিশ্চিত না সিজদার স্থানে না লেগে যদি একসাথে বের হইতো তবে গড়িয়ে পড়ার সমপরিমাণ ছিলো কিনা। এখন কি সেই সালাতটা শুদ্ধ হবে নাকি ওযু ভেঙে গেছে?

৩। আমি ২য় রাকাতে জামাতে যোগ দিয়েছি কিন্তু জামাতের চতুর্থ বৈঠকে তাশাহুদের পরে দরুদের প্রথম লাইন পড়ে দ্বিতীয় লাইন শুরু করেছি। বিভিন্ন টেনশনের কারণে কি পড়ছি তাতে মনোযোগ ছিলো না। এরপর দরুদের ২য় লাইনের শুরুর কিছুপর খেয়াল আসে। তখন আর পড়ি নাই। পরে ইমামের সালাত শেষ হলে আমি এক রাকাত পড়ে সাহু সিজদা দিয়েছি। সালাত কি শুদ্ধ হয়েছে?

৪। কেউ যদি সুদের সাথে জড়িত থাকে। যেমনঃ ব্যাংক কর্মকর্তারা। তাদের কি জানাযা পড়া যাবে না আর মুসলিমদের কবরস্থানে দাফন করা যাবে না?

৫। কেউ যদি একটা নির্দিষ্ট ফিক্বহ ফলো করে কিন্তু অন্য মাযহাবের কোন একটা মাসআলা তার কাছে বেশি পছন্দ [নফসের খায়েশাতের কারণে] আর সেই কাজের ব্যাপারে যদি তার মাযহাবের মত এমন হয় যে, উক্ত কাজটি করলে আল্লাহ্ তাআলা র তার উপর রাগ করবেন, কিয়ামতের দিন তার দিকে তাকাবেনও না। আর সে যদি [খায়েশাতবশত] অপর মাযহাবের ওই মাসআলা ফল করে তবে ওই কাজের শাস্তিস্বরূপ যা আছে [যে কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তাআলা তার দিকে তাকাবেন না] সেটা কি বাস্তবায়িত হবেই? নাকি গুণাহ হলেও তা বাস্তবায়িত হবে না?
closed

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
selected by
 
Best answer

জবাবঃ-
নামাযে ভুল হতে পারে।হযরত ইমরান ইবনে হুসাইন রাযি থেকে বর্ণিত
عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - صَلَّى الْعَصْرَ وَسَلَّمَ فِي ثَلَاثِ رَكَعَاتٍ، ثُمَّ دَخَلَ مَنْزِلَهُ فَقَامَ إِلَيْهِ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ الْخِرْبَاقُ وَكَانَ فِي يَدَيْهِ طُولٌ، فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ! فَذَكَرَ لَهُ صَنِيعَهُ وَخَرَجَ غَضْبَانَ يَجُرُّ رِدَاءَهُ حَتَّى انْتَهَى إِلَى النَّاسِ فَقَالَ: أَصَدَقَ هَذَا؟ قَالُوا نَعَمْ، فَصَلَّى رَكْعَةً ثُمَّ سَلَّمَ ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ» . رَوَاهُ مُسْلِمٌ
রাসূলুল্লাহ সাঃ আছরের নামায পড়লেন।এবং তিন রা'কাত পড়ার পর সালাম ফিরিয়ে ফেললেন।অতঃপর ঘরে ঢুকে গেলেন।খিরবাক নামী একজন ব্যক্তি দাড়ালেন,যার হাত অনেক লম্বা ছিলো।তিনি রাসূলুল্লাহ সাঃ বিষয়টা অবগত করালেন।রাসূলুল্লাহ সাঃ ঐ ব্যক্তির চাদর ধরে মসজিদে এসে সবাইকে জিজ্ঞাসা করলেন,ঐ ব্যক্তি কি সত্য বলেছে?অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাঃ আরো এক রা'কাত পড়লেন,এবং সালাম ফিরালেন,অতঃপর দুইটি সেজদায়ে সাহু দিয়ে আবার সালাম ফিরালেন।(মিরকাতুল মাফাতিহ-১০২১)

বিস্তারিত জানুন-১৮৩৭


সাহু সিজদাতে ভূল হয়ে গেলে আবার সাহু সিজদা দিয়ে দিলে নামায হয়ে যাবে।তখন সকল ভুলের জন্য একটিই সাহু সিজদা ধরে নেয়া হবে তথা যা পরবর্তীতে সঠিকভাবে হয়েছে।

এক নামাযে যতই ভুল হোক না কেন।একটি সাহু সিজদাই ওয়াজিব হয়।কেউ সাহু সিজদাতে ভুল কর্ররে নামাযে সর্বমোট দুইটা ভুল হল।আর ফেকহের মুলনীতি হল,এক নামাযে যতই ভুল হোক না কেন,একটি মাত্র সিজদাই ওয়াজিব হবে।তবে ভবিষ্যতে সদর্ত হয়ে মনোযোগের সাথে নামায পড়ার চেষ্টা করবেন।(দেখুন প্রাসঙ্গিক মাস'অালা ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৭/৪৫৫)

(২)যদি সিজদার স্থানের সাথে বা কোনো কিছুর সাথে ঘর্ষণ লেগে এমনটা বের হয়ে থাকে,তাহলে অজু যাবে না।উক্ত অযু বহাল ছিলো।সুতরাং নামায হয়েছে।কিন্তু যতি এমনিতেই বের হয়,তাহলে প্রবাহিতর সমপরিমাণ ধরে নেয়া হবে।এবং অজু চলে যাবে।

(৩)
ইমামের সাথে ভুল হলে,সেই ভুলের সাহু সিজদা আসে না।সুতরাং আপনি অপ্রয়োজনীয় সাহু সিজদা দিয়েছেন।তবে আপনার নামায হয়ে গেছে।

(৪)
কেউ যদি সুদের সাথে জড়িত থাকে। যেমনঃ ব্যাংক কর্মকর্তারা। তাদের  জানাযা পড়া হবে, আর মুসলিমদের কবরস্থানে দাফন করা যাবে। 

(৫)
মুজতাহিদ ফিল মাযহাব ব্যতীত কারো জন্য ভিন্ন মাযহাবকে অনুসরণ করা জায়েয হবে না।





(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 119 views
...