আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
167 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (14 points)
আসসালামুআলাইকুম

১) বিতর নামাজের সঠিক পদ্ধতি জানতে চাই দলিল সহ
২) রাসূল ( সা:) যেমন প্রতি সোমবারে উনার জন্মদিন উপলক্ষে রোজা রাখতেন এভাবে আমরা যে দিনটিতে জন্ম নিয়েছি অর্থাৎ রবিবার যদি  জন্মগ্রহণ করে থাকি সপ্তাহের প্রতি রবিবার রোজা রাখা এটাকে রাসুলের সুন্নত হবে,,,,, আমার ভাই এ কাজটি রসূলের সুন্নত মনে করে করছে

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
বিস্তারিত জানুনঃ  

(০২)
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সোমবারে রোযা সম্পর্কে বিভিন্ন হাদীসে বিভিন্ন বক্তব্য এসেছে।কোনো হাদীসে এসেছে যে,এদিন যেহেতু বান্দার আ'মল আল্লাহর নিকট পেশ করা হয়,তাই রাসূলুল্লাহ এ দিন রোযা রাখতেন,যাতেকরে রোযা অবস্থায় আল্লাহর নিকট আ'মল পেশ হয়।

সুতরাং সোমবারের রোযাকে কেন্দ্র করে জন্মদিন পালন বা এ দিনে শুভেচ্ছা জানানোর কোনো সুযোগ নেই।

সোমবারে রোযা রাখার হেকমত সম্পর্কে বর্ণিত হাদীস সমূহে জন্মতারিখের হেকমত ছাড়া ভিন্ন ভিন্ন হেকমতের আলোচনাও এসেছে।

যেমন  হযরত আবু কাতাদাহ রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنْ أَبِي قَتَادَةَ الْأَنْصَارِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُئِلَ عَنْ صَوْمِ الِاثْنَيْنِ فَقَالَ : ( فِيهِ وُلِدْتُ وَفِيهِ أُنْزِلَ عَلَيَّ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ কে সোমবারের রোযা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো(কেননা রাসূলুল্লাহ এ দিন প্রায় রোযা রাখতেন)রাসূলুল্লাহ সাঃ প্রতিউত্তরে বললেন,কেননা এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছি,এবং এই দিনে আমার উপর অহী নাযিল করা হয়েছে।(সহীহ মুসলিম-১১৬২)

রাসূলুল্লাহ সাঃ সোমবারে রোযা রাখতেন,কেননা এ দিন আল্লাহর সামনে আ'মল পেশ হয়ে থাকে।যেমন,হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( تُعْرَضُ الْأَعْمَالُ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ وَالْخَمِيسِ فَأُحِبُّ أَنْ يُعْرَضَ عَمَلِي وَأَنَا صَائِمٌ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,সোমবার এবং বৃহস্পতিবার আল্লাহ তা'আলার নিকট আ'মল পেশ করা হয়ে থাকে।সুতরাং আমি চাই আল্লাহর নিকট আমার আ'মল এমন অবস্থায় পেশ করা হউক যে, আমি রোযাদার। (সুনানু তিরমিযি-৭৪৭)
 
সোমবারে রাসূলুল্লাহ সাঃ এ জন্য রাখতেন যে,সেদিন মাগফিরাতের দিন।যেমন হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
من حديث أَبِي هُرَيْرَةَ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَصُومُ الاثْنَيْنِ وَالْخَمِيسَ، فَقِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؛ إِنَّكَ تَصُومُ الإِثْنَيْنِ وَالْخَمِيسَ، فَقَالَ إِنَّ يَوْمَ الاثْنَيْنِ وَالْخَمِيسَ يَغْفِرُ اللَّهُ فِيهِمَا لِكُلِّ مُسْلِمٍ إِلَّا مُهْتَجِرَيْنِ، يَقُولُ دَعْهُمَا حَتَّى يَصْطَلِحَا.
রাসূলুল্লাহ সাঃ সোমবার এবং বৃহস্পতিবার রোযা রাখতেন।রাসূলুল্লাহ সাঃ কে ঐ দিনগুলোতে রোযা রাখার হেকমত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন,আল্লাহ তা'আলা সোমবার এবং বৃহস্পতিবার প্রত্যেক মুসলমানকে ক্ষমা করে দেন।শুধুমাত্র ঝগড়াটে ব্যক্তি ছাড়া যতক্ষণ না তারা আপসে সংশোধন করছে।(সুনানু ইবনি মা'জা-১৭৪০)

 রাসূলুল্লাহ সাঃ এর হাদীসের অংশ
 ( فِيهِ وُلِدْتُ وَفِيهِ أُنْزِلَ عَلَيَّ )
'এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছি,এবং এই দিনে আমার উপর অহী নাযিল করা হয়েছে।বিধায় আমি এ দিন রোযা রাখি।'

এ হাদীস দ্বারা জন্ম তারিখে রোযা রাখার উপর প্রমাণ পেশ কর যাবেনা।কেননা এ হাদীস রোযা রাখার উপর প্রমাণ করে না, বরং এখানে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর জন্মের কারণে সোমবার দিনের ফযিলতকে বর্ণনা করা হচ্ছে।যদি বাস্তবেই জন্মতারিখে রোযা রাখার কোনো নিয়ম থাকতো, তাহলে অবশ্যই রাসূলুল্লাহ সাঃ সেটাকে পরিস্কার করে বর্ণনা করে দিতেন।এবং সাহাবায়ে কেরাম সেটাকে আ'মলে নিয়ে আসতেন।কেননা সাহেবায়ে কেরামগনের চেয়ে নেকির প্রতি বেশী অগ্রসরমান আর কেউ হতে পারে না।তারা অবশ্যই আ'মলে নিয়ে আসতেন।

বিস্তারিত জানুনঃ  
,
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে প্রতি রবিবারে জন্মের দিন হিসেবে রোযা রাখার ইসলাম অনুমোদন দেয়না।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...