আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
86 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (28 points)
আসসালামু আলাইকুম।
প্রশ্ন১ঃ পরীক্ষার হলে কেউ "ভ" এই অক্ষর সাময়িকভাবে মনে করতে না পারে তখন পাশের জন থেকে জেনে নিয়ে লিখলে তা কি নকলের অন্তর্ভুক্ত হবে? আমি জানতাম পরীক্ষায় কাউকে দেখানো বা কারো সাহায্য নিয়ে লিখলে তা নকল হিসেবে গণ্য। একজন "ভ" এই অক্ষর মনে করতে পারছিলেন না তখন পাশেরজন থেকে জেনে তারপর লিখেছেন। আমি এটা নকল বলেছি। সেই ব্যক্তি আমাকে নিচের এই যুক্তি দিয়েছেন,
আরে আপু এটা নকল করা হবে কেন?
এটা তো সাময়িক মেমরী লস হয়েছে!! যা অনেক সময় অনিচ্ছাকৃত ঘটে যায়। যেখানে মানুষের কোনো হাত থাকে না।
ব্রেইন তো আল্লাহ সুবহানাহু তাআলার নিয়ন্ত্রণাধীন। তিনি যা চান,যেমন চান, সেটাই হয়।
এটা দিয়ে আল্লাহ তাআলা আমাকে হয়তো এটাও বুঝিয়েছিলেন, তুমি যত মেধাবীই হও না কেন(আমি আমার ক্লাসের ফার্স্ট গার্ল ছিলাম) আমি না চাইলে সামান্য একটা ছোট্ট অক্ষরও তোমার স্মৃতি থেকে মুছে দিতে পারি আমি! সুবহানাল্লাহ।

আমি জানতে চাচ্ছি তাহলে আরেকজন থেকে "ভ" অক্ষর জেনে তারপর লিখেছে যে এটা নকল করা হয়নি? আপুর উল্লেখিত যুক্তির বিষয়ে যদি কিছু বলতেন ইং শা আল্লহ।
প্রশ্ন ২ঃ কেউ অসুস্থ থাকলে শুধু ফরজ নামাজ পড়লে ই হবে? যদি সুন্নত না পড়ে তবে গুনাহ হবে?করণীয় কি?

প্রশ্ন ৩ঃ শুয়ে শুয়ে কীভাবে নামাজ পড়ে?যদি অজু করতে না পারে আবার তায়াম্মুম করার ও সুযোগ নেই তখন ই অজু ছাড়া ই শুয়ে অসুস্থ অবস্থায় নামাজ পড়বে?শুধু ফরজ নামাজ পড়তে হয় নাকি সব?
প্রশ্ন ৪ঃ
কেউ আমাকে টাকা পাঠালো কোন কাজে, সেই কাজটা শেষ করার পর কিছু টাকা রয়ে গেল। যে টাকাটা রয়ে গেল সেটা আমি নিজে থেকে তাকে না জানিয়ে সাদাকাহ করে দিলে(ওই টাকার হিসাব সে আর চাইলো না, আমার যা খুশি করার উপর ছেড়ে দিলো) সওয়াবটা কি আমি ও পাব নাকি যার টাকা সে ও পাবে?

জাযাকুমুল্লাহু খইরন।

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
পরীক্ষা হল মেধা যাচাইয়ের স্থান। আর মেধা নির্ণিত হবে প্রত্যেক ব্যক্তির আলাদা আলাদাভাবে। 
,
সুতরাং যার যে মেধা সেটি সত্যিকার যাচাই হবে যদি তার নিজস্ব মুখস্ত ও যোগ্যতা থেকে উত্তর প্রদান করে। 
,
কিন্তু নকল করে লিখলে  কারো কাছ থেকে  জিজ্ঞাসা করে লিখলে বা দেখে লিখলে সেক্ষেত্রে ধোঁকার আশ্রয় নেয়া হচ্ছে। যা জায়েজ হবে না।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ     

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

আরো জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে "ভ" শব্দটি সাময়িক ভাবে মনে করতে না পারার দরুন আরেক জনকে জিজ্ঞাসা করা,এটি কর্তৃপক্ষকে ধোকা দেয়া হবে।
কেননা কর্তৃপক্ষের আইনে এগুলো নিষিদ্ধ,তাই এটি জায়েজ নেই।

(০২)
হ্যাঁ ফরজ নামাজ পড়লেই হবে,
সুন্নাত না পড়লে সমস্যা হবেনা।
তবে ইশার নামাজের পর বিতির নামাজ পড়তে হবে।
কেননা এট ওয়াজিব নামাজ।
,
(০৩)
অযু করার শক্তি না রাখলে অন্য কেউ অযু করিয়ে দিবে,তায়াম্মুম করা বৈধ হলে সে তায়াম্মুম করবে,বা অন্যকে দিয়ে করিয়ে নিবে,তবুও অযু ছাড়া নামাজ আদায়ের বিধান নেই।

শুয়ে নামাজ পড়ার৷ পদ্ধতিঃ
কিবলার দিকে পা দিয়ে চিত হয়ে শুয়ে মাথা দ্বারা বুকের দিকে ইশারা করে রুক ও সিজদা আদায় করবে। তবে সিজদার সময় রুকুর চেয়ে একটু বেশি মাথা ঝুকাবে।

আরো জানুনঃ- 

(০৪)
এভাবে তার অনুমতি ছাড়া সদকাহ করা জায়েজ নেই।
সদকাহ করলে টাকাটা আপনাকে ফেরত দিতে হবে।
এক্ষেত্রে টাকা ফিরে দিলে সদকার ছওয়াব আপনি পাবেন।

তবে তার অনুমতি নিয়ে সদকাহ করলে বা পরবর্তীতে তিনি সদকার অনুমতি দিলে টাকার দাবী আর না করলে ছওয়াব সেই ব্যাক্তি পাবে,আপনি নন।
হ্যাঁ  আপনি ভালো ও নেক কাজে সহযোগিতার ছওয়াব পাবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...