ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
ঘুম ঘুম ভাব আসলে কুরআন তিলাওয়াত ও মাঝে মাঝে সশব্দে উচ্চারণ ছাড়া করলে এতেও ছওয়াব হবে।
তবে কুরআন তিলাওয়াত এর ক্ষেত্রে যে প্রতি হরফে দশ নেকি,সেটি হবেনা।
উক্ত তিলাওয়াত ও যিকির দ্বারা যদি কোনো নির্দিষ্ট মা'মুলাত উদ্দেশ্য হয়,সেই মা'মুলাত আদায় হবেনা।
তবে ছওয়াব থেকে খালি নয়।
ছওয়াব হবে।
(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
وَعَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم قَائِمًا فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَقَاعِدًا فَإِنْ لَمْ تستطع فعلى جنب»
’ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ সালাত দাঁড়িয়ে আদায় করবে। যদি তাতে সক্ষম না হও তাহলে বসে আদায় করবে। যদি তাতেও সক্ষম না হও তাহলে (শুয়ে) কাত হয়ে আদায় করবে।
(বুখারী ১১১৭,মিশকাত ১২৪৮)
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الأَنْبَارِيُّ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ طَهْمَانَ، عَنْ حُسَيْنٍ الْمُعَلِّمِ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ كَانَ بِيَ النَّاصُورُ فَسَأَلْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " صَلِّ قَائِمًا فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَقَاعِدًا فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَعَلَى جَنْبٍ " .
মুহাম্মাদ ইবনে সুলায়মান (রহঃ) ..... ইমরান ইবনে হোসাইন (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার পাঁজরের মধ্যে ব্যথা থাকায় নামায আদায়কালে অসুবিধা হত। এ সম্পর্কে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করি। জবাবে তিনি বলেন, সম্ভব হলে তুমি দাঁড়িয়ে নামায আদায় করবে, এতে অসুবিধা হলে বসে নামায পড়বে এবং তাতেও অপারগ হলে শুয়ে পার্শ্বদেশের উপর ভর করে নামায আদায় করবে।
(বুখারী,আবু দাউদ ৯৫২)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
নামাজে যেহেতু কিয়াম ফরজ,তাই ফরজ নামাজ বিনা ওযরে বসে আদায় করলে নামাজই আদায় হবেনা।
এক্ষেত্রে পুনরায় সেই নামাজ দাড়িয়ে আদায় করতে হলে।
তবে নফল নামাজ বিনা ওযরে বসে আদায় করা যায়,সেক্ষেত্রে ছওয়াব অর্ধেক হবে।
(০৩)
তাসবিহ টি পুরোটা উল্লেখ করে প্রশ্নটি আরো স্পষ্ট করলে জবাব প্রদানে সুবিধা হতো।