আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
274 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
একজন হুজুর একটা মেয়েকে বিবাহ করেছে...২ জন সাক্ষীর সামনে...উনি নিজের বিয়ে নিজেই পড়িয়েচেন..কিন্তু মেয়ের কবুল ২ জন সাক্ষী শুনে নাই শুদু উনি নিজে মেয়ের কাছে গিয়ে অনুমতি নিয়ে ২জন সাক্ষী র সামনে বিবাহ করেন...আর বিবাহের সময় মেয়ের পিতার নাম বলে নাই  তাহলে কী বিবাহ হবে..??

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
পূর্বে অনেক ফাতাওয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে,মাতাপিতার সম্মতি ব্যতীত কখনো কোনো মুসলমান যুবক যুবতীর জন্য কোর্ট মেরেজ করা সমীচীন হবে না,মঙ্গলজনক হবে না।মাতাপিতাকে না জানিয়ে বালিগ ছেলে মেয়ের বিবাহ নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।উনেক উলামায়ে কেরাম অভিভাবকহীন বিয়েকে বাতিল বলে মনে করেন।হানাফি মাযহাব মতে কু'ফু হিসেবে ছেলেটি মেয়ের সমকক্ষ বা বেশী মর্যাদার অধীকারী হলেই কেবল বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে।নতুবা মেয়ের অভিভাবকের অনুমতির উপর বিয়ে মওকুফ থাকবে।জানুন- https://www.ifatwa.info/994, কুফু সম্পর্কে জানতে https://www.ifatwa.info/780
চার মাযহাবের অবস্থান দলীল সহ বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1525

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিয়ের পদ্ধতি সম্পর্কে আপনি যে বিবরণ দিয়েছেন, সেই বিবরণ প্রায় অস্পষ্ট। সুতরাং আপনি সবিস্তারে কমেন্টে উল্লেখ করবেন।

আমরা যতটুকু বুঝেছি যে, বর কনের কাছ থেকে যখন বিয়ের অনুমতি নেন, তখন সাক্ষী ছিলনা। তবে স্বামী যখন বিয়ের ঘোষণা দেন, তখন সাক্ষী ছিল, এখন কনেকে জিজ্ঞাসা করতে হবে, তিনি কি সত্যিই বরকে বিয়ের উকিল বা বিয়ের অনুমোদন দিয়ে ছিলেন, যদি দিয়ে থাকেন, তাহলে বিয়ে বৈধ হয়ে গেছে।কেননা উকিল নিযুক্তিকরণ বা বিয়ের অনুমোদন দেয়ার ক্ষেত্রে সাক্ষীর প্রয়োজনিয়তা নাই। হ্যা, তখনো সাক্ষী রাখা মুস্তাহাব।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।
by
জ্বি..বিয়ে পড়ানো শুরুর আগে উনি মেয়েকে জিঙ্গেস করেছিলো আমি আপনাকে বিয়ে করতে চাই ...আর আমি নিজেই বিয়ে পড়াবো আপনি কী বিয়েতে রাজি আছেন তখন মেয়েটা সম্মতি দিলো...পরে অন্য রুমে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়...দুজন সাক্ষীর সামনে ...আর যখন বিয়ের আনুষ্ঠানিককতা শুরু হয় তখন হুজুর একা এসে মেয়ের অনুমতি নিয়ে যায়...পরে শুনলাম যে তখন মেয়ে আলহামদুলিল্লাহ রাজি এটা বলেছে...তাহলে কী এই বিয়ে শুদ্ধ হয়ে গেছে...??
by
reshown
সন্মানিত হুজুর..এখানে পুরো বিষটি হলো একটা মেয়ের তালাক হয়ে গেছে এখন মেয়েটা তার পূর্বের স্বামির কাছে ফিরে যেতে চাই...পরে বিষয়টা একজন মসজিদের ইমাম সাহেব কে জিঙ্গের করা হলে উনি পরামর্শ দেন যে মেয়ে অন্য পুরুষকে বিবাহ করে সেখান থেকে তালাক হলে পরে আগের স্বামির সাথে বিবাহ করতে পারবে....পরে অনেক দিন যাবার পর প্রায় ৭ মাস পর কোন উপায় না পেয়ে আবার হুজুরের কাছে বিষটা জানাই....তখন উনি বললেন দেখি আমি কোন ব্যবস্থা করতে পারি কিনা   .২ দিন পর উনি ফোন করে বলে যদি কিছু মনে না করো তাহলে আমি বিয়ে করতে চাই...তখন তারা বললো সেটা আপনার ইচ্চা  .আমাদের কোন সমস্যা নাই   .মেয়েও রাজি ছিলো প্রস্তাবে   .পরে উনি একদিন আসে মেয়ের সাথে কথা বলে মেয়ের অনুমতি নেয়...পরে উনি অন্য রুমে ২ জন পুরুষ সাক্ষীর সামনে নিজেই নিজের বিবাহ কার্যক্রম শুরু করেন আর আর তার মাঝখানে মেয়ের কাচে গিয়ে তার বয়ান নেন  .মেয়ে আলহামদুলিল্লাহ রাজি বলে পরে উনি এসে বাকি বিয়ের কার্যক্রম শেষ করেন...কিন্তু মেয়ের আলহামদুলিল্লাহ রাজি এটা সাক্ষীরা শুনে নাই   .শুধু হুজুর একাই শুনছে...কিন্তু হুজুরের বয়ান সাক্ষীগন শুনছে...পরে হুজুর বিয়ে শেষে সহবাস করে   .বিয়ের পরের দিন মেয়েকে তালাক দিয়ে দেয় ..৪ মাস আগে..এখন বিয়েটা কি শুদ্ধ হয়েছে আর মেয়েটা কী তার আগের স্বামিকে বিয়ে করতে পারবে...দয়া করে জানাবেন হুজুর.প্লিজ 
by (590,550 points)
বিয়ে শুদ্ধ হয়েছে। মেয়ে এখন পূর্বের স্বামীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে।এখানে ইমাম সাহেব মেয়ের পক্ষ্য থেকে উকিল নিযুক্ত হয়েছেন। আর উকিল নিযুক্ত হওয়ার জন্য সাক্ষীর প্রয়োজনিয়তা নাই।

by
reshown
ক্ষমা করবেন ...হুজুর বয়ান নিয়ে আসি নিজের বয়ান দিয়ে আমি তাকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহন করলাম বলে আলহামদুলিল্লাহ বলে শেষ করে...তখন উনি মেয়ে যে আলহামদুলিল্লাহ রাজি বলছে এটা সাক্ষীর সামনে প্রকাশ করে নাই...এটা ওনেক দিন পরে যানতে পারছি মেয়ের কাছ থেকে...এখন কী বিয়ে হয়ে গেছে   .দয়াকরে এই লাস্ট আনসারটা জানাবেন   .খুব উপক্রিত হবো

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...