আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
189 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
সন্মানিত হুজুর..এখানে পুরো বিষটি হলো একটা মেয়ের তালাক হয়ে গেছে এখন মেয়েটা তার পূর্বের স্বামির কাছে ফিরে যেতে চাই...পরে বিষয়টা একজন মসজিদের ইমাম সাহেব কে জিঙ্গের করা হলে উনি পরামর্শ দেন যে মেয়ে অন্য পুরুষকে বিবাহ করে সেখান থেকে তালাক হলে পরে আগের স্বামির সাথে বিবাহ করতে পারবে....পরে অনেক দিন যাবার পর প্রায় ৭ মাস পর কোন উপায় না পেয়ে আবার হুজুরের কাছে বিষটা জানাই....তখন উনি বললেন দেখি আমি কোন ব্যবস্থা করতে পারি কিনা   .২ দিন পর উনি ফোন করে বলে যদি কিছু মনে না করো তাহলে আমি বিয়ে করতে চাই...তখন তারা বললো সেটা আপনার ইচ্চা  .আমাদের কোন সমস্যা নাই   .মেয়েও রাজি ছিলো প্রস্তাবে   .পরে উনি একদিন আসে মেয়ের সাথে কথা বলে মেয়ের অনুমতি নেয়...পরে উনি অন্য রুমে ২ জন পুরুষ সাক্ষীর সামনে নিজেই নিজের বিবাহ কার্যক্রম শুরু করেন আর আর তার মাঝখানে মেয়ের কাচে গিয়ে তার বয়ান নেন  .মেয়ে আলহামদুলিল্লাহ রাজি বলে পরে উনি এসে বাকি বিয়ের কার্যক্রম শেষ করেন...কিন্তু মেয়ের আলহামদুলিল্লাহ রাজি এটা সাক্ষীরা শুনে নাই   .শুধু হুজুর একাই শুনছে...কিন্তু হুজুরের বয়ান সাক্ষীগন শুনছে...পরে হুজুর বিয়ে শেষে সহবাস করে   .বিয়ের পরের দিন মেয়েকে তালাক দিয়ে দেয় ..৪ মাস আগে..এখন বিয়েটা কি শুদ্ধ হয়েছে আর মেয়েটা কী তার আগের স্বামিকে বিয়ে করতে পারবে...দয়া করে জানাবেন হুজুর.প্লিজ

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যথা-
বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।

উক্ত ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَ اسۡتَشۡہِدُوۡا شَہِیۡدَیۡنِ مِنۡ رِّجَالِکُمۡ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یَکُوۡنَا رَجُلَیۡنِ فَرَجُلٌ وَّ امۡرَاَتٰنِ مِمَّنۡ تَرۡضَوۡنَ مِنَ الشُّہَدَآءِ اَنۡ تَضِلَّ اِحۡدٰىہُمَا فَتُذَکِّرَ اِحۡدٰىہُمَا الۡاُخۡرٰی

আর তোমরা তোমাদের পুরুষদের মধ্য হতে দু’জন সাক্ষী রাখ, অতঃপর যদি দু’জন পুরুষ না হয় তবে একজন পুরুষ ও দু’জন স্ত্রীলোক যাদেরকে তোমরা সাক্ষী হিসেবে পছন্দ কর, যাতে স্ত্রীলোকদের মধ্যে একজন ভুলে গেলে তাদের একজন অপরজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
(সুরা বাকারা ২৮২)

হাদিস শরিফে এসেছে, 

لَا يَجُوزُ نِكَاحٌ، وَلَا طَلَاقٌ، وَلَا ارْتِجَاعٌ إِلَّا بِشَاهِدَيْنِ

‘রাসূল (সা.) বলেছেন, দুইজন সাক্ষী ছাড়া বিবাহ, তালাক ও ফিরিয়ে আনা বৈধ হবে না।’ [মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদিস: ১০২৫৪]

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 

রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী- “তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর।”[মুসনাদে আহমাদ এবং সহীহ জামে গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলা হয়েছে (১০৭২)]
۔
ইজাব ও কবুলটি উভয় সাক্ষ্যি স্বকর্ণে শুনতে হবে।

উক্ত তিনটির কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হয় না।

উপরোক্ত তিনটি শর্ত  পাওয়া গেলে বিবাহ হবে,অন্যথায় বিবাহ হবেনা।
,
আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,    
শরীয়তের বিধান হলো পাত্রী যদি পাত্রকে নিজের বিবাহের উকিল বানায়,আর পাত্র যদি বিষয়টি শরয়ী সাক্ষীদের সামনে প্রকাশ করে প্রস্তাবটি কবুল করে,সেক্ষেত্রে বিবাহটি হয়ে যাবে।

الدر المختار: (98/3، ط: دار الفکر)
للوكيل) الذي وكلته أن يزوجها على نفسه فإن له (ذلك) فيكون أصيلا من جانب وكيلا من آخر
সারমর্মঃ-
পাত্রী যদি পাত্রকে নিজের বিবাহের উকিল বানায়,সেক্ষেত্রে পাত্র নিজের দিক হতে বিবাহ সম্পাদন কারী হবে,আর পাত্রীর পক্ষ হতে উকিল হবে।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এই ২য় বিবাহ ও তালাক সহীহ হয়েছে।

এখন উক্ত মহিলা তার ইদ্দত (তালাকের পর ৩ হায়জ) অতিবাহিত হওয়ার পর  ১ম স্বামীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে।
কোনো সমস্যা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আমার প্রশ্ন হলো শায়েখ এভাবে জেনে শুনে বিয়ে করে সহবাস করে সাথে সাথে তালাক নিয়ে নেওয়া কি উচিত। এটা তো পরিকল্পনা করে করা হলোনা। আর একজন ইমাম সাহেব এটা কিভাবে করতে পারে। 
by (678,880 points)
পরিকল্পনা করে এমন করার দরুন সেই ইমামের উপর রাসুল সাঃ এর লা'নত হবে।
তবে সেই মেয়েটির পরবর্তী বিবাহ সহীহ।
by
একজন মসজিদের ইমাম হয়ে তিনি জেনেশুনে এমন কাজ করেছেন। বিষয়টি আমাকে খুবই মর্মাহত করেছে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা উনাকে সহ আমাদের হেদায়েত দান করুন। আমিন

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...