আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
103 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (60 points)
১. কেনো স্ত্রী (তালা* এর অনুমতি আছে) তার স্বামীকে বলে,  ইউ ডুন্ট ডিজার্ভ মি(তুমি আমার যোগ্য না) এই কথার দ্বার কি বিবাহে সমস্যা হবে?

২. কাওকে যদি বলা হয়,  আজান হচ্ছে, শব্দ থামাও বা গান গাওয়া থামাও এটা শুনে সে যদি বলে, আজান হয়েছে নামাজে যাবো, বলে শব্দ জারি রাখে এতে কি তর কুফর হবে? (তার কথা হলো শব্দ বন্ধ থেকে আজান শুনে নামাজে যাওয়া বেশি জরুরী)

৩. একজন মানুষ কিছু ইসলাম ধর্ম বিমুখ সে একদিন একটা পোস্ট দেয় যে, বৌদ্ধ ধর্ম সম্পর্কে মৌলিক বিষয় জানার জন্য কি বই ভালে হবে। সেখানে আমার পড়া থেকে তাকে একটা বই সাজেস্ট করি, আমার ধারনা ছিলো সে হয়তো এমনিই জানতে চায়,এর বেশ কিছু দিন পরে দেখি সে বৌদ্ধ নিয়ে বিভিন্ন পোস্ট দিচ্ছে, তার কাছে আশ্রয় চেয়ে পোস্ট করছে ইত্যাদি।  তার এই অবস্থা হবে জানলে কেনো ভাবেই সাহায্য করতাম না, এখন পূর্বের পরিস্থিতি বিবেচনায় তাকে ওই বই এর নাম সাজেস্ট করায় কি আমার কুফর হবে?

৪. একজন বক্তব্যে বললেন " কোরআন সৃষ্টি থেকেই...." এটা শুনে আমি যতেটুক মনে পরছে ভাবছিলাম, কোরআন তো আল্লাহর কালাম ইহা সৃষ্টি হয়েছে কিভাবে বলা যায় এটার তো সৃষ্টি বা ধ্বংস থাকার কথা না কারন এটা আল্লাহর কালাম, সিফত। পরে তাও মাথায় আসছিলো কোরআন সৃষ্টি হয়েছে, এভাবে বলা জাবেনার কোনো দলিল আছেকি এটা দেখার জন্য বিভিন্ন ফতোয়া খুজেছিলাম,পরে দেখলাম ও মনেও পরলো কোরআন তো মাখলুখ না,  মাখলুক মানেই তো সৃষ্টি, তো যা সৃষ্টি ওই না,তার আবার সৃষ্টি হওয়া কি।
উপরুক্ত তথ্য খোজা বা অন্য কারনে কি কুফর হতে পারে?

৫. কোনো স্বামী যদি শারিরীক গঠন বুঝানোর জন্য   তার বউকে বলে " তোমার শরীরিক গঠন তোমার মায়ের মতো", বা "তোমার শারিরীক গঠন আমার মায়ের মতো",  " বা "তুমি শরীর তোমার মায়ের মতো হবে" বা "তোমার গঠন তোমার মায়ের মতো"
এসবের ধারা কি জিহার / যিহার হতে পারে?

৬. আজকে নামাজে প্রথম বৈঠকে আত্তাহিয়াতু পড়েছি কিনা সন্দেহ দানা বাদে, ৯০% মনে হলো পরেছি তাই সাহু সিজদা দিবো না ভেবে শেষ বৈঠকে, আত্তাহিয়াতু, দুরুদ,আল্লাহ হুম্মা ইন্নি জালামতু...." এটাও পড়ে ফেলি, পরে ১০% সন্দেহ বিবেচনায় সাহু সিজদা দেই দুই দিকে সালাম ফিরিয়ে, পরে আবার সব পড়ে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করি
নামাজ কি হয়েছে?
by (60 points)
৫ নং এরা কথা গুলো কোনো বউ যদি বলে, যে সে তার মার মতো শরীর পেয়েছে, /তার ময়ের গঠন পেয়েছে, আর তা শুনে স্বামী সম্মতি দিয়ো যদি বলে হ্যা ঠিকই বলেছো আমার সুবিধাই হলো এতো, এতে কি জিহার হবে?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
   
قال لھا: طلقي نفسک ولم ینو أو نوی واحدة فطلقت وقعت رجعیة الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الطلاق، باب الأمر بالید، ۴: ۵۷۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার নিজের নফসকে তালাক দাও,কোনো নিয়ত না করে,অথবা এক তালাকের নিয়ত করে,অতঃপর স্ত্রী তালাক দেয়,তাহলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে।     

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এই কথার দ্বারা বিবাহে সমস্যা হবেনা।

(০২)
এতে কুফর হবেনা।

(০৩)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার কুফর হবেনা।

(০৪)
উপরোক্ত তথ্য খোজা বা অন্য কারনে কুফর হতে পারেনা।

(০৫)
প্রশ্নের বিবরন মতে এসবের দ্বারা যিহার হবেনা।

(০৬)
হ্যাঁ, নামাজ হয়েছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...