আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
80 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (67 points)
edited by
১.কোনো মানুষ যদি মনে মনে ভাবতো যে "পৃথিবীর সকল মানুষের জীবনে একটা সময় কোনো নির্দিষ্ট ধর্মের পক্ষে না দাড়িয়ে স্বাধীন ভাবে একটা সকল ধর্ম বিচার করে একটা নির্ধারন করা উচিত। (সে এই নিয়তে ভাবছে যে সবাই যদি সকল ধর্ম বিচার করে তবে ইসলাম ই সিলেক্ট করবে)"   এই কথা ভাবার জন্য কি সে কাফের হবে? সে মুখে কিছু বলেছে এটা নিয়ে মনে পরঢ়ে না এবং এঔসব ভাবনা তার বিবাহের আগে না পরে ভেবেছে তাও মনে পরছে না, তার কি বিবাহ ধুহরাতে হবে?

২.কেও যদি তার মনের ভিতর উদিত কোনো কুফরি কথা যা মনে মনে বলেছিলো। কোনো মুফতির কাছে এই ভাবনা কুফর হয়েছে কি না জানার জন্য যদি বলে দেয় যে "এই কথাটি" মনে মনে বলেছিলাম, এতে কি কুফর প্রকাশ হওয়ায় কাফের হয়ে যাবে?

৩.. আজকে হাসপাতালে একজন বাচ্চাকে দেখলাম অনেক জন ধরে রেখেছে আর ছেলে টা চেচাচ্ছে। আমি দেখে হেসে বলেছিলাম হয়তো সুন্নতে খতনা করা হচ্ছে।  এটা কি সুন্নতে খতনা নিয়ে হাসি-তামাশা  করা হলো?এজন্য কি কুফর হবে?

৪. আমরা অনেক সময় বন্ধু বান্দব বিয়ে করার পর, তাদের বিয়ে নিয়ে মজা করে বিভিন্ন কথা বলি যে" বিয়ে কইরা নিছস" ইত্যাদি কথা বার্তা, এইসব কি বিয়ে নিয়ে হাসাহাসির পর্যায়ে।পরে, এতে কি কুফর হবে?

৫. কেও যদি কাওকে মজা করে সালাম দেয়, বা ইতস্তত সিচুয়েশনে একজনকে চমকে দেওয়ার জন্য সালাম দেয়,কি কুফরি হবে? আমরা এটা দেখে হাসলে কি কুফর হবে?

৬. আমার বউ আজকে বললো তোমার খালাকে বলো নানাুর  অসুস্থতা জন্য জানের বদলা জান সদকা দিতে৷, একটা মুরগী দিতে বলো। তখন বললাম আমি যতোদূর জানি যে মুরগী দিয়ো এটা হয় না। সে বললো, মুরগী দিয়েও হ,তার দাদা না কি দিয়েছিলেন। পরে গুগলে দেখলাম যে মুরগি দিয়ে হয় না। পটে তাকে  দেখাই এবং বলি যে কখমো শিওর ন হয়ে এমন বলবা না,সে জনাব দেয় ঠিক আছে। তার এই  কি কুফরি হবে?

৭.আমার সারাদিন সব কাজেই কুফরর সন্দেহ হয়,  হাটতে, কথা বলতে, হাসতে, এখন আমার কি করনীয়, কুফরীর মতো সেনসিটিভ বিষয়,  সন্দেহ মনে উঠলে না জানা পয়ন্ত মন শান্তি হয় না। আমরা কি কোনো ভাবে নিজের কুফরী হলো কিনা এটা নিজে বুঝতো পারবো?এই সকল মুলনীতি গুলো কি আমরা জানতে পারবো?কারণ দিনে হাজারো প্রশ্ন মাথায় উঠে।

1 Answer

0 votes
by (712,880 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
আপনার এ ধারণা অঠিক নয়। কেননা দ্বীনে ইসলাম হল, দ্বীনে ফিতরাহ তথা মানুষ সঠিকভাবে চিন্তা ফিকির করলে অবশ্যই সে দ্বীনে ইসলিমের দিকে ফিরো আসবে। সুতরাং এই মনোভাবের কারণে তার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।

(২)
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সুতরাং শুধুমাত্র এই মনোভাবের কারণে কেউ কাফির হবে না।

(৩)
না, কুফরি হবে না। তবে এভাবে হাসাহাসি না করাই উত্তম।

(৪)
না, এদ্বারা কুফরি হবে না।

(৫)
না, কুফরি হবে না।

(৬)
না, এটা দ্বারা কুফরি হবে না।

(৭)
এগুলো ওয়াসওয়াসা। এই ওয়াসওয়াসা থেকে বাচতে হলে,আল্লাহর সাহায্য চেয়ে উক্ত চিন্তাকে সম্পূর্ণরূপে পরিহার করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...