আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
194 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (56 points)
edited by
১.রাতে এশার নামাজ পড়ার আগে ঘুমানোর জন্য বিছানায় যাওয়ার পর চোখ বন্ধ করলাম এরপর একটা সহবাসের দৃশ্য দেখলাম।সেখানে ঐ অবস্থায় নিজেকে ঐ কাজ করতে দেখলাম কিনা বুঝতে পারছিলাম না।আবার চোখ খুললাম।আমি ঘুম পরেছিলাম নাকি চোখ বন্ধ করেছিলাম নাকি হালকা ঘুমের মতো পড়েছিলাম বুঝতে পারছিনা সন্দেহ হচ্ছে।লজ্জাস্থানে কাপড় দিয়ে চেক করে দেখলাম একটু ভিজা আছে।এটা কি সপ্নদোষ?
২. ১ নং প্রশ্নে ওটা পাজামায় দেখার পর বুঝতে পারচিলাম না এটা বির্য নাকি সাদা স্রাব।তখন মনে হয় ভাবছিলাম শুকিয়ে গেলে চেক করবো কিন্তু পরে আর মনে নেই চেক করতে।আর ফরজ গোসল করা লাগবে না মনে করে গোসলও করিনি এবং এশা না পরে ঘুমিয়ে পরি ভাবি পরে উঠে পড়বানি।আর মনে মনে চাই ওঠার পর যেন সপ্নের কথা মনে না থাকে।আর এটা সপ্নদোষ কিনা তাওতো বুঝতে পারছিলামনা মনে হয় সন্দেহের মধ্যে ছিলাম । এরপর এশার নামাজ পড়তে উঠি কিন্তু ঐ দৃশ্য টা দেখার কথা সত্যিই মনে ছিলো না।এশা পড়ি ও ফজরের নামাজ ও আদায় করি সকাল ৭ঃ৩৫ এ রাতের ঐ সপ্নের কথা মনে পড়ে।ফরজ গোসল আদায় না করে নামাজ পরাতে এশা ও ফজরের নামাজ কি আদায় হয়েছে?? আমার নামাজ গুলো হয়েছে কি?

৩.এখানে কি আমার ইচ্ছাকৃত নামাজ তরককারীর সমান গুনাহ হবে পরজ গোসল না করে নামাজ পড়ার কারনে?

৪.ফরজ গোসলের সময় গলায় চেইন ছিলো কিন্তু পানি ঢালার সময় চেনটা না সরিয়ে বা নড়িয়ে চড়িয়ে গলায় পানি ঢালতে মনে ছিলো না গোসল শেষে জামাকাপড় ধুয়ে ঘরে আসার পর মনে পড়ছে ঘরে এসে হাত পানি দিয়ে ভিজিয়ে চেইন সরিয়ে গলা মুছে দিই।এছাড়াও নাকফুল নাড়িয়ে চাড়িয়ে নাক ফোঁড়ানোর ঐ স্থানে ও ছিদ্রে পানি পৌছাইছি কিনা সন্দেহ হচ্ছে।বিবরন মতে ফরজ গোসল হয়েছে কি??

৫.একই নামাজের শেস বৈঠকে ২ টা সহু সেজদা দেওয়ার পর যদি ইচ্ছা করে আবারও ২ টা সহু সেজদা দেয় এবং পরে নামাজ থেকে উঠে সন্দেহ হয় যে ১ম বার ২ টা সহু সেজদা দেওয়ার পর ও ২য় বার ২ টা সহু সেজদা দেওয়ার পর কি সালাম ফিরিয়েছিলাম।এই সন্দেহ হওয়াতে কি উক্ত নামাজ হয়েছে??

৬.বাবা সমিতির সাথে যুক্ত সমিতি থেকে টাকা তুলেছে যেখানপ তাকে সুদ সহ পরিশোধ করতে হবে।বিয়ের পর মেয়ে বাবার বাড়ি বেরাতে আসার পর দেখে বাবা সমিতি থেকে উত্তলিত টাকা দিয়ে হাট বাজার  করেছে এখন ঐ মেয়ের জন্য কি বাবার বাড়িতে থাকা ও খাওয়া কি জায়েজ হবে?? যেহেতু মেয়েকে বাবার ঐ সমিতির টাকায় করা বাজার দিয়েই তাকে খেতে হচ্ছে।

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


(০১)
মহিলাদেরও স্বপ্নদোষ হয়।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ قَالَتْ أُمُّ سُلَيْمٍ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ اللهَ لَا يَسْتَحْيِي مِنَ الْحَقِّ فَهَلْ عَلَى الْمَرْأَةِ مِنْ غُسْلٍ إِذَا احْتَلَمَتْ قَالَ نَعَمْ إِذَا رَأَتِ الْمَاءَ فَغَطَّتْ أُمُّ سَلَمَةَ وَجْهَهَا وَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللهِ أَوَتَحْتَلِمُ الْمَرْأَةُ؟ قَالَ نَعَمْ تَرِبَتْ يَمِينُكِ فَبِمَا يُشْبِهُهَا وَلَدُهَا. 

উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন (আনাস (রাঃ)-এর মা) উম্মু সুলায়ম (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আল্লাহ তা‘আলা হক কথা বলতে লজ্জাবোধ করেন না। স্ত্রীলোকের স্বপ্নদোষের কারণে তার ওপর কি গোসল ফরয হয়? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উত্তরে বললেনঃ হাঁ, যদি (ঘুম থেকে জেগে উঠে) বীর্য দেখে। এ উত্তর শুনে উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) (লজ্জায়) স্বীয় মুখ ঢেকে ফেললেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রসূল! স্ত্রীলোকেরও আবার স্বপ্নদোষ হয় (পুরুষের ন্যায় বীর্যপাত হয়)। উত্তরে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, হ্যাঁ। কি আশ্চর্য! (তা না হলে) তার সন্তান তার সদৃশ হয় কীভাবে?
(বুখারী ১৩০, মুসলিম ৩১৩,মিশকাতুল মাসাবিহ ৪৩৩)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
স্বপ্নদোষ স্বরণ থাকাবস্থায় যদি বীর্য সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। তাহলে গোসল ফরয হবে।

স্বপ্নদোষ স্বরণ থাকাবস্থায় যদি মযি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। তাহলেও গোসল ফরয হবে।

বিস্তারিত জানুনঃ  

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি লজ্জাস্থানে বীর্য/মযি দেখতে পান,তাহলে গোসল ফরজ হবে।
আর যদি এটি ওদি হয় অথবা আপনি যদি সন্দেহে থাকেন,যে এটি বীর্য নাকি মযি নাকি ওদি?
তাহলে গোসল ফরজ হবেনা। 

(০২)
আপনি সন্দেহে ছিলেন যে এটা বির্য নাকি সাদা স্রাব?
সুতরাং প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার উপর গোসল ফরজ হবেনা। 
এটি সাদা স্রাবই ছিলো।

তাই আপনার ইশা ও ফজরের নামাজ আদায় হয়ে গিয়েছে। 
তবে উক্ত সাদা স্রাব যদি আপনার পরিহিত কাপড়ে এক দিরহাম সমপরিমাণ বা তার চেয়ে বেশি লাগে,সেক্ষেত্রে সেই কাপড়েই নামাজ পড়ে থাকলে নামাজ হবেনা।
পুনরায় উক্ত নামাজ গুলি আদায় করতে হবে।

তবে এক দিরহাম থেকে কম লাগলে নামাজ হয়ে যাবে।

(০৩)
এখানে আপনার ইচ্ছাকৃত নামাজ তরক কারীর সমান গুনাহ হবেনা।

(০৪)
প্রশ্নের বিবরন মতে ফরজ গোসল হয়েছে।

(০৫)
আপনি সালামা ফিরিয়েছিলেন।
প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয় আপনার মনের স্রেফ সন্দেহ মাত্র।
আপনার নামাজ হয়ে গিয়েছে। 

(০৬)
মেয়ে সেই খাবার খেতে পারবে।
বাবার বাসায় থাকতে পারবে।

তবে তার বাবা যদি সেই ঋন হারাম টাকায় শোধ করেন,সেক্ষেত্রে উক্ত মেয়ে সেই সময়ে যেই পরিমান খাবার খেয়েছিলো,তার সমপরিমাণ টাকা সদকাহ করে দিবে।

আর যদি তার বাবা যদি সেই ঋন হালাল টাকায় শোধ করেন,সেক্ষেত্রে তার আর কোনো করনীয় নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...