আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
202 views
in পবিত্রতা (Purity) by (19 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারোকাতুহ।
আমার অনিয়মিত হায়েজ। ঔষধ খেতে হয় এরজন্য।
আমার ঔষধ অনুযায়ী এখনো ৫-৭ দিন বাকি হায়েজ হওয়ার।

এখন হায়েজের সময় যেমন হালকা বাদামি স্রাব যায় তেমন স্রাব দেখতে পাচ্ছি গত ২-১ দিন ধরে।    [ঔষধের ইন্সট্রাকশনে লিখা ছিলো দুই পিরিয়ডের মাঝে ব্লিডিং অথবা স্পটিং দেখলেও ঔষধ বন্ধ না করে খাওয়া চালিয়ে যেতে]

 সারাদিনে হয়তো একবার যায়। তাও সামান্য পরিমানে।
আজকে আমার ১৫তম দিন দুই হায়েজের মধ্যবর্তী।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে আগামীকালও যদি এই স্রাব দেখা যায় তাহলে একে কি ধরবো? পরিমাণে কম থাকুক বা বেশি থাকুক এবং রঙ যদি আরো গাঢ় হয়ে যায় বা বর্তমানে যেমন আছে তেমনই থাকে তাহলে এটা কি হিশেবে গন্য হবে?
আমি কি আমার সলাহ্,সিয়াম,ইতিকাফ কন্টিনিউ করে যাবো?

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বনিম্ন সময়সীমা হলো ৩ তিন,আর সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হাদীস শরীফে এসেছে   
أقل الحیض للجاریۃ البکر والثیب ثلاثۃ أیام ولیالیہا وأکثرہ عشرۃ أیام
دار قطني، السنن، 1: 219، رقم: 61
রাসুল সাঃ বলেন  মহিলাদের হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা হলো ৩ দিন ৩ রাত,সর্বোচ্চ সীমা হলো ১০ দিন ১০ রাত।

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
,

أن النساء کن یبعثن بالکرسف إلی عائشۃ رضی اللہ تعالیٰ عنھا فکانت تقول : لا حتی ترین القصۃ البیضاء‘‘ ( المؤطأ للإمام مالک : ۱/۵۹۱ ،  : مصنف ابن عبد الرزاق، حدیث نمبر : ۱۱۵۹ )
সারমর্মঃ আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ সেই সমস্ত মহিলাদের বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা দেখিতে না পাও। 

বিস্তারিত জানুনঃ   

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
১৬ তম দিনেও যদি এরকম কিছু স্রাব বের হয়,সেক্ষেত্রে স্রাব বের হওয়ার অবস্থা দেখে আপনার প্রবল ধারনা কি?
যদি আপনার প্রবল ধারনা হয় যে এভাবে স্রাব ১৬ তম দিন থেকে নুন্যতম তিন দিন বা তার বেশি আসবেই?
সেক্ষেত্রে আপনি ১৬ তম দিন থেকে নামাজ রোযা বন্ধ রাখতে পারেন।

এক্ষেত্রে তিন দিনের কমেই যদি স্রাব আসা বন্ধ হয়ে যায়,সেক্ষেত্রে এই কয়দিনের নামাজ রোযার কাজা আদায় করবেন।

আর যদি আপনার প্রবল ধারনা হয় যে এই স্রাব তিন দিন তিন রাতের কমেই বন্ধ হয়ে যাবে,সেক্ষেত্রে আপনি নামাজ রোযা অব্যাহত রাখবেন।

এক্ষেত্রে যদি স্রাব আসা তিন দিন তিন রাত পূর্ণ হয় বা তার চেয়ে বেশি হয়,সেক্ষেত্রে এ কয়দিন নামাজ রোযা আদায়ের দরুন আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিবেন।

আর যদি কোনোদিকেই প্রবল ধারনা না হয়,সেক্ষেত্রে সতর্কতামূলক নামাজ রোযা চালিয়ে যাবেন।

যদি স্রাব আসা তিন দিন তিন রাত পূর্ণ হয় বা তার চেয়ে বেশি হয়,সেক্ষেত্রে এ কয়দিন নামাজ রোযা আদায়ের দরুন আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 113 views
...