আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
120 views
in পবিত্রতা (Purity) by (20 points)
https://ifatwa.info/82025/

আসসালামু আলাইকুম, এ লিংকে যে প্রশ্ন করা হয়েছে। একটু বুঝিয়ে লিখছি।
শায়েখ ওই বোন জীন,জাদুর সমস্যা আছে। জাদুর কারণে তার পিরিয়ড অনিয়মিত হওয়া,ইস্তিহাজা, ব্লিডিং ঠিকমত না হওয়া,রক্ত পরিবর্তনশীল হওয়া এ ধরনের সমস্যা আছে।
আর হায়েজের দিনও পরিবর্তন হয়।কোনো মাসে ৭/৮/৬/১০ দিন এরকমও ধরেছেন। উনি বুঝতে পারেন না পিরিয়ড শেষ হয়েছে কিনা বা শুরু হলো কিনা তাই।
আর তিনি সাদাস্রাবের পেশেন্ট। মাজুর হিশেবে নামাজ পড়েন। তাই সাদাস্রাব আসলে হায়েজ শেষ ধরে নেন।
এখন ২০২৩ ঈদুল ফিতরের পর তার হায়েজ হয়নি। ২০২৩ এ রমজানে হায়েজ ধরেছিলেন ৬ দিন।
পরে প্রায় ৩ মাস পর আগস্ট মাসে স্রাব আসে।
এখন বোন তার আগস্ট মাসে আসা রক্তের বর্ণনা দিয়েছেন উক্ত লিংক এ https://ifatwa.info/82025/

তারিখমতো লিখে লিখে দিয়েছেন । প্রথমদিন শুধু সাদাস্রাবের সাথে তিলের মত ১ ফোটা রক্ত। এভাবে অন্যদিনগুলোর রক্ত বা স্রাবের ধরণ ওই লিংকে দেয়া আছে।
এখন ওই হিশেবে তিনি ১আগস্ট থেকে ৮ আগস্ট ৭ দিন হায়েজ ধরেছিলেন। এরপর সাদাস্রাব আসায় ফরজ গোসল করে নামাজ পড়ে নেন।
১৫ আগস্ট আবার মাগরিবের দিকে লালা স্রাব যায় একদলা একটু। এভাবে এটা পরবর্তীতে চলমান থাকে।
তিনি ইস্তিহাজা ধরে নামাজ পড়েছেন।
কারণ তিনি জানেন ২ হায়েজের মধ্যবর্তী সময় ১৫ দিন পবিত্রতা ধরতে হয়। তার আগে রক্ত বা লাল স্রাব আসলে তা ইস্তিহাজা।

সেই স্রাব কিছুদিন গিয়ে বন্ধ হয়ে যায়। সম্ভবত ২৩ আগস্ট বন্ধ হয়ে যায়। সাদাস্রাব আসে আবার। সে স্রাব বা রক্তের গন্ধ হায়েজের রক্তের গন্ধের মত ছিল না। হালকা খয়েরী রং ও পানি পানি। তাই ইস্তিহাজা ধরেছিলেন।
◾⚫যেহেতু তার গত হায়েজ ১ আগস্ট থেকে ধরেছিলেন। ১-৮ আগস্ট হায়েজ ধরে নামাজ অফ রেখেছিলেন।
১৫ আগস্ট থেকে ২৩ আগস্ট স্রাবটাইপ রক্ত আসলেও ইস্তিহাজা ধরে নামাজ চালিয়ে গিয়েছেন। ⚫⚫

এখন আজ ৪ সেপ্টেম্বর আবার ফজরে রক্ত এসেছে টিস্যুতে। স্রাবের মত। হায়েজের শুরুর দিনের মত। বা ইস্তিহাজার মতো। ঠিক বোঝা যাচ্ছেনা। আসল রক্ত আসেনি। স্রাবটাইপ রক্ত।

এজন্য উক্ত লিংকের প্রশ্নগুলো করেছেন।
এখন আজ প্রশ্নগুলো হলো-
১/ ১৫- ২৩ আসস্ট আসা রক্ত কি ইস্তিহাজা ছিলো? উনি নামাজ চালিয়ে গিয়েছেন।
২/ ৪ সেপ্টেম্বর আসা রক্তস্রাব কি হায়েজ ধরবেন এখন? কারণ ১৫- ২৩ আগস্টে আসা রক্ত ইস্তিহাজা ধরেছিলেন।

৩/ দেখা গেলো ৪ সেপ্টেম্বর রক্ত দেখে নামাজ বন্ধ করেছেন কিন্তু পরে ২ দিন গিয়ে রক্ত বন্ধ হয়ে যায়। তখন বোঝা যায় ইস্তিহাজা ছিলো। ( কারণ ৩ দিনের কমে ত হায়েজ হয়না)
 রক্ত হায়েজের ডেটেই এসেছে।
৪/আবার অনেক সময় নামাজ চালিয়ে গিয়েছেন কিন্তু রক্ত ৩ দিনের বেশি যায়, তখন হায়েজ ধরে আবার নামাজ বন্ধ করেন।
এজন্য নামাজ চালিয়ে যাবেন না বন্ধ রাখবেন? সেপ্টেম্বরে রক্ত আসলে।
( এরকম এলোমেলো হয়ার কারণ, তার জীন ও জাদুর সমস্যা। জীনরা এরকম করে যাতে নামাজ ও ইবাদত বন্ধ হয়ে যায়)

1 Answer

0 votes
by (712,600 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
«الفتاوى الهندية» (1/ 37)
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।
যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/7474


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রথম কথা হল, হায়েয ইস্তেহাযার মাস'আলা অনেক কঠিন।দ্বিতীয়ত আপনার লিখায় এতো অগোছালো যে, এই লিখা পড়ে মূল জিনিষটা বুঝাও অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে গেছে, তাই আপনাকে বলবো যে, আপনি নিম্নে বর্ণিত লিংকের লেখাগুলো পড়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের চেষ্টা করবেন।
হায়েয নেফাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://ifatwa.info/blog/2023/08/11/


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,600 points)
পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...