আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
245 views
in পবিত্রতা (Purity) by (13 points)
আমার মাসিক অনিয়মিত ছিলো মাসে ২/৩ বার হতো।তাই ডাক্তার দেখিয়েছি যাতে নিয়ামিত হয় ডাক্তার ঔষধ দিছে আর বলছে ২১ দিন খাবেন তারপর ৭ খাবেন না এরপরের মাসেও এ নিয়মে খাবেন।যে ৭ দিন খাবেননা ঐ ৭ দিন হালকা মাসিক হবেআমার মাসিক অনিয়মিত ছিলো মাসে ২/৩ বার হতো।তাই ডাক্তার দেখিয়েছি যাতে নিয়ামিত হয় ডাক্তার ঔষধ দিছে আর বলছে ২১ দিন খাবেন তারপর ৭ খাবেন না এরপরের মাসেও এ নিয়মে খাবেন।যে ৭ দিন খাবেননা ঐ ৭ দিন হালকা মাসিক হবে।ডাক্তার দেখানোর পর ১ম মাসে ২১ দিন পর ঔষধ খাওয়া বাদ দিই বাদ দেওয়ার ৩ দিন পর ২৪ তারিখ হায়েজ শুরু হয় ৪ দিন পর ডাক্তারের কথামতো আবার ঔষধ খাওয়া শুরু করি ২৮ তারিখ হায়েজ বন্ধ হয়ে যায়। এখন এ মাসে ঔষধ খাওয়ার মাঝেই একবার অল্প একটু রক্তের দাগ দেখি ১/২ফোটার দাগ যেটা কোনো মাসিক মনে হয়নি পেটে ব্যাথা বা এমন কিছুই হয়নি।পরে আর কিছু দেখিনি তাই কোনো নামাজ কাযা না করেই নামাজ পরেছি।গত মাসেও এমন দেখেছি তবে একবার দেখার পর আর দেখেনি।এমাসে ঔষধ অনিয়মিত করেছি তাই এমন হয়েছে কিনা জানিনা।পরে আর একবারও কোনো রক্ত দেখিনি।এখন ঔ ১/২ ফোটা রক্তেের দাগ দেখার ১০/১২ দিন পর এখন আবার স্বাভাবিক মাসিক শুরু হয়েছে। এখন এমাসে ঔ ১/২ ফোটা রক্তকে মাসিক ধরবো(এরপরে আর কিছুই দেখিনি)? নাকি এখন যেটা হচ্ছে সেটাকে মাসিক ধরবো?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


মহিলাদের ‘হায়েজ’ তথা মাসিক রক্তস্রাবের উপর শরয়ি বিধানের ক্ষেত্রে সর্বনিম্নে তিন দিন আর ঊর্ধ্বে ১০ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।

হাদীস শরীফে এসেছে   
أقل الحیض للجاریۃ البکر والثیب ثلاثۃ أیام ولیالیہا وأکثرہ عشرۃ أیام
রাসুল সাঃ বলেন  মহিলাদের হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা হলো ৩ দিন ৩ রাত,সর্বোচ্চ সীমা হলো ১০ দিন ১০ রাত।

 উল্লিখিত দুই সংখ্যার প্রথমটির কম হলে কিংবা দ্বিতীয়টির বেশি হলে তখন তা ‘ইস্তিহাজা’ বা রোগ হিসেবে ধর্তব্য হয়। আর দুই স্রাবের মাঝখানে ১৫ দিন পবিত্র থাকা আবশ্যক। কারো যদি স্রাবের নির্দিষ্ট অভ্যাস থাকে, আর সে কোনো মাসে অভ্যাসের বিপরীত ১০ দিনের পরও রক্ত দেখতে পায়, তাহলে অভ্যাসের ভেতরে আসা রক্তগুলোকে হায়েজ ধরতে হবে এবং অতিরিক্তগুলোকে ইস্তিহাজা।

অনুরূপ কারো যদি এক হায়েজ শেষ হওয়ার পর ১৫ দিনের আগেই আবার রক্ত দেখা দেয়, আর এভাবে কয়েক বছর ধরে চলতে থাকে, তাহলে তার এই অনিয়ম চালু হওয়ার আগের হায়েজের অভ্যাস হিসাব করে ঠিক তার ১৫ দিন পরেই দ্বিতীয় হায়েজের সময় শুরু হবে, মাঝে আসা রক্তগুলোকে ইস্তিহাজা ধরতে হবে। (রদ্দুল মুহতার : ১/২৮৯)

বিস্তারিত জানুনঃ   

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে, 
"" ঐ  ১/২ ফোটা রক্তের দাগ দেখার ১০/১২ দিন পর এখন আবার স্বাভাবিক মাসিক শুরু হয়েছে""

সুতরাং  ১/২ ফোটা রক্তের দাগকে মাসিক ধরা যাবেনা।
বরং এখন যেটা হচ্ছে সেটাকে মাসিক ধরবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...