ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
কোন ব্যক্তি কাবা শরীফ, মসজিদ , কুরআন হাদীস বা ইসলামিক বই বা কোন আলেম ওলামা,দ্বায়ী,মুজাহিদ,শহিদ ও দ্বীনদার ব্যাক্তির ছবি অপমানজনক জায়গায় বা অপমানজনক অবস্থায় কল্পনা করে ফেলল এবং তখনই বা কয়েক সেকেন্ড পর সে মসজিদ ,কাবা শরীফ কে অন্য কোন বস্তু এবং কুরআন হাদীস ও ইসলামিক বইকে অন্য কোন খারাপ বই কল্পনা করলে এবং আলেম-ওলামা,দ্বায়ী মুজাহিদ,শহিদ ও দ্বীনদার ব্যাক্তির ছবিকে অন্য কোন ইসলাম বিদ্বেষী, জালিমের ছবি কল্পনা করলে, যদি ইচ্ছাকৃত কল্পনা করে, তাহলে তার ঈমান চলে যাবে।আর অনিচ্ছায় করলে তার ঈমান চলে যাবে না ঠিক তবে সাথে সাথেই আল্লাহর কাছে তাওবাহ ও ইস্তেগফার করতে হবে, নতুবা তার ঈমান থাকবে না।
(২)
কোন অশ্লীল চিন্তা,বাদ্যযন্ত্রের আওয়াজ কল্পনা করা,কোন পরনারীর কল্পনা করলে, কোন অশ্লীল লেখা ও গালিগালাজ কল্পনা করার সাথে সাথে ওই চিন্তা বা কল্পনা বাদ দিলে গুণাহ হবে না। কিন্তু কয়েক সেকেন্ড পর আবার উপর্যুক্ত বিষয় গুলো কল্পনা বা চিন্তা করল এবং তা সাথে সাথে বাদ দিলে,যদি অনিচ্ছায় সেই কল্পনা আসে, তাহলেও এতে কোনো গোণাহ হবে না।তবে ইচ্ছাকৃত করলে অবশ্যই গোনাহ হবে।
(৩)
গুণাহ মাফের জন্য নয় শুধু সওয়াব এর আশায় এবং কোন অশ্লীল চিন্তা, পরনারীর চিন্তা,গান বাদ্য কল্পনা করা ও আশ্লীল লেখা ও কল্পনা করা থেকে বিরত থাকতে ইস্তেগফার করতে হবে।
(৪)
তারাবিহ পড়ার সময় পানি খেতে পারবেন।সাথে এক বোতল পানি রেখে দিবেন।
(৫)
কোন ব্যাক্তি পাপ কাজ করে ফেলল।এখন কেউ তাকে সে পাপ কাজ করেছে কি না তা জিজ্ঞাসা করল।এখন গুণাহ গোপন রাখতে সে অস্বীকার করবে, এতে মিথ্যা বলার গোনাহ হবে না।
(৬)
অতীতে কোন হারাম বিষয়ে স্মৃতিচারণ করা এবং সেই কথা মনে করে হাসা জায়েয হবে না।
(৭)
ওয়াসওয়াসার কারণে কেউ যদি আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং অন্যান্য নবী-রাসুলদের চেহারা কল্পনা করার সাথে সাথে ওই কল্পনা বাদ দিয়ে দেয়, তাহলে গোনাহ হবে না।