আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
135 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম আমার কয়েকটি প্রশ্ন ছিল এর উত্তর দিলে উপকৃত হবো।


১.https://ifatwa.info/72260/ এর ১ নং উত্তর অনুযায়ী ধরুন কোন ব্যআক্তি কাবা শরীফ, মসজিদ , কুরআন হাদীস বা ইসলামিক বই বা কোন আলেম ওলামা,দ্বায়ী,মুজাহিদ,শহিদ ও দ্বীনদার ব্যাক্তির ছবি অপমানজনক জায়গায় বা অপমানজনক অবস্থায় কল্পনা করে ফেলল এবং তখনই বা কয়েক সেকেন্ড পর সে মসজিদ ,কাবা শরীফ কে অন্য কোন বস্তু এবং কুরআন হাদীস ও ইসলামিক বইকে অন্য কোন খারাপ বই কল্পনা করল এবং আলেম-ওলামা,দ্বায়ী মুজাহিদ,শহিদ ও দ্বীনদার ব্যাক্তির ছবিকে অন্য কোন ইসলাম বিদ্বেষী, জালিমের ছবি কল্পনা করল। তাহলে এতে কি সে গুণাহ থেকে রক্ষা পেল?


২.কোন অশ্লীল চিন্তা,বাদ্যযন্ত্রের আওয়াজ কল্পনা করা,কোন পরনারীর কল্পনা করা, কোন অশ্লীল লেখা ও গালিগালাজ কল্পনা করার সাথে সাথে ওই চিন্তা বা কল্পনা বাদ দিলে গুণাহ হবে না কিন্তু কয়েক সেকেন্ড পর আবার উপর্যুক্ত বিষয় গুলো কল্পনা বা চিন্তা করল এবং তা সাথে সাথে বাদ দিল এতে কি তার গুণাহ হবে?


৩.গুণাহ মাফের জন্য নয় শুধু সওয়াব এর আশায় এবং কোন অশ্লীল চিন্তা, পরনারীর চিন্তা,গান বাদ্য কল্পনা করা ও আশ্লীল লেখা কল্পনা করা থেকে বিরত থাকতে ইস্তেগফার পড়তে পারব?


৪.তারাবিহ পড়ার সময় পানি নিতে পারব?কারণ,পানি না খাওয়ার ফলে পিপাসায় নামাজের মনযোগ নষ্ট হয়।


৫.কোন ব্যাক্তি পাপ কাজ করে ফেলল।এখন কেউ তাকে সে পাপ কাজ করেছে কি না তা জিজ্ঞাসা করল।এখন গুণাহ গোপন রাখতে তার করণীয় কি?


৬.অতীতে কোন হারাম বিষয়ে স্মৃতিচারণ করা এবং সেই কথা মনে করে হাসা কি জায়েজ?


৭.ওয়াসওয়াসার কারণে কেউ যদি আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং অন্যান্য নবী-রাসুলদের চেহারা কল্পনা করার সাথে সাথে ওই কল্পনা বাদ দিলে কি গুণাহ হবে?


জাযাকাল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (713,160 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!

(১)
https://ifatwa.info/72260 এর ১ নং উত্তর অনুযায়ী ধরুন 

কোন ব্যক্তি কাবা শরীফ, মসজিদ , কুরআন হাদীস বা ইসলামিক বই বা কোন আলেম ওলামা,দ্বায়ী,মুজাহিদ,শহিদ ও দ্বীনদার ব্যাক্তির ছবি অপমানজনক জায়গায় বা অপমানজনক অবস্থায় কল্পনা করে ফেলল এবং তখনই বা কয়েক সেকেন্ড পর সে মসজিদ ,কাবা শরীফ কে অন্য কোন বস্তু এবং কুরআন হাদীস ও ইসলামিক বইকে অন্য কোন খারাপ বই কল্পনা করলে এবং আলেম-ওলামা,দ্বায়ী মুজাহিদ,শহিদ ও দ্বীনদার ব্যাক্তির ছবিকে অন্য কোন ইসলাম বিদ্বেষী, জালিমের ছবি কল্পনা করলে, যদি ইচ্ছাকৃত কল্পনা করে, তাহলে তার ঈমান চলে যাবে।আর অনিচ্ছায় করলে তার ঈমান চলে যাবে না ঠিক তবে সাথে সাথেই আল্লাহর কাছে তাওবাহ ও ইস্তেগফার করতে হবে, নতুবা তার ঈমান থাকবে না।


(২)
কোন অশ্লীল চিন্তা,বাদ্যযন্ত্রের আওয়াজ কল্পনা করা,কোন পরনারীর কল্পনা করলে, কোন অশ্লীল লেখা ও গালিগালাজ কল্পনা করার সাথে সাথে ওই চিন্তা বা কল্পনা বাদ দিলে গুণাহ হবে না। কিন্তু কয়েক সেকেন্ড পর আবার উপর্যুক্ত বিষয় গুলো কল্পনা বা চিন্তা করল এবং তা সাথে সাথে বাদ দিলে,যদি অনিচ্ছায় সেই কল্পনা আসে, তাহলেও এতে কোনো গোণাহ হবে না।তবে ইচ্ছাকৃত করলে অবশ্যই গোনাহ হবে।

(৩)
গুণাহ মাফের জন্য নয় শুধু সওয়াব এর আশায় এবং কোন অশ্লীল চিন্তা, পরনারীর চিন্তা,গান বাদ্য কল্পনা করা ও আশ্লীল লেখা ও কল্পনা করা থেকে বিরত থাকতে ইস্তেগফার করতে হবে।


(৪)
তারাবিহ পড়ার সময় পানি খেতে পারবেন।সাথে এক বোতল পানি রেখে দিবেন।


(৫)
কোন ব্যাক্তি পাপ কাজ করে ফেলল।এখন কেউ তাকে সে পাপ কাজ করেছে কি না তা জিজ্ঞাসা করল।এখন গুণাহ গোপন রাখতে সে অস্বীকার করবে, এতে মিথ্যা বলার গোনাহ হবে না। 
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/906


(৬)
অতীতে কোন হারাম বিষয়ে স্মৃতিচারণ করা এবং সেই কথা মনে করে হাসা জায়েয হবে না।


(৭)
ওয়াসওয়াসার কারণে কেউ যদি আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং অন্যান্য নবী-রাসুলদের চেহারা কল্পনা করার সাথে সাথে ওই কল্পনা বাদ দিয়ে দেয়, তাহলে গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (713,160 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...