ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)ওয়াসওয়াসার ফলে আল্লাহ,নবী রাসূল বা ইসলামের কোন বিধান বা শিআর এবং সাহাবা, শহীদ, মুজাহিদ,আলেম বা দ্বীনদার কোন ব্যাক্তির নাম অপমানজনক অবস্থায় কল্পনা করলে, সাথে সাথে ওই শব্দের কোন অংশ যদি বাদ দিয়ে বা কোন অংশ যোগ করে তার অন্য অর্থ কল্পনা করা হয়, তাহলে গনাহ না হলেও এরকম কল্পনা করাটা কখনো উচিৎ না।
(২) নামাজে প্রতি রুকনে ৩ বার চুলকালে বা নড়াচরা করলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে। এখানে প্রতি রুকন বলতে, যেমন,রুকু একটি রুকুন, সিজদা একটি রুকুন, বৈঠক একটি রুকুন, রুকুতে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত দাড়ানো অবস্থায় একটি রুকুন।
(৩)নামাজে প্রতি রুকনে ৩ বার চুলকালে বা নড়াচরা করলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।এখন কেউ যদি ঠোঁট নাড়ায়,জিহ্বা নাড়ায়, পা নাড়ায়, তাহলে নামায ফাসিদ হবে না।
কাপড় এর সতর উম্মুক্ত হলে তা যদি ঠিক করতে ৩ বার নড়াচরা করতে হয়,এবং হাত ব্যবহার করা হয়, তাহলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
(৪)জামাতে নামাজে ইমাম আল্লাহু আকবার বলার সময় কেউ যদি ইমামের সাথে আল্লাহু আকবার বলতে গেলে ভুল করে ইমামের আগেই আল্লাহু আকবার বলে ফেলে তাহলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে না।
(৫)অনলাইনে বা অফলাইনে মুফতিদের ফতোয়া গুলো প্রচার করলে সওয়াব হবে।