আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
80 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (23 points)

আসসালামু আলাইকুম। ৪ বছর হলো হিদায়াত পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ । আগে নাম ছিল 'ফারজনা ইসলাম নিপা'। নিপা নামে সবাই ডাকতো। বেশ কিছু স্কলারকে জিজ্ঞেস করেছিলাম নিপা নামটা ইসলামিক কিনা।কেও বলেছেন, "নয়"। আবার কেও বলেছেন, "এটা কোন ভাষার শব্দ জানা নেই।"

হিদায়াত পাওয়ার পর  শুনেছিলাম নামগুলো সুন্দর ইসলামিক নাম রাখতে।হাদিসে আছে নামের প্রভাব তার চরিত্রে পড়ে।নবি কন্যা, নবিদের স্ত্রী,মহিলা সাহাবিদের নামে নাম রাখা উত্তম। আমার নামটা ইসলামিক হোক বা না হোক ইচ্ছা হলো উত্তম নামগুলোর মধ্যে যদি আমার নামও হতো! এজন্য আমি ও আম্মু মিলে সিদ্ধান্ত নেই আমার নাম রাখবো 'ফাতিমা'। তখন থেকে পরিবারের সবাই এই নামেই ডাকে। সুবহানাল্লাহ  সেই হাদিসটা বাস্তবে অনুভব করেছি।এই নাম রাখার পর থেকে আমার মাঝে পরিবর্তন এসেছে।এই নামে ডাকলে আমার কেমন অনুভূতি হয় বুঝাতে পারবো না।ইবাদাহর প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়।
মুখে মুখে নাম পরিবর্তন করা সহজ হলেও কাগজে তো সম্ভব না।জন্মসনদ ও সার্টিফিকেটে আগের নামই আছে।
অনলাইনে অনেকে আলেমা কোর্স করায় এবং  তাকমিল পর্যন্ত কওমিতে বোর্ড পরীক্ষা দেওয়া যায়। আলেমা কোর্সে ভর্তি হলে জন্ম সনদে থাকা আগের নাম দিয়েই পড়তে হবে। ক্লাসের টিচার, ক্লাসমেট আগের নামেই ডাকবে।আগের নামে ডাকলে বিরক্তিভাব লাগে। ঘৃণা জাগে।চিন্তায় পড়ে গিয়েছি।মনে হচ্ছে আলেমায় পড়বো না।দ্বীনি শর্টকোর্সগুলো করবো।

১.কি করবো কুরআন হাদিসের আলোকে জানান। যা হবে তাই করবো।

২.আমি যে নাম পরিবর্তন করেছি এবং পরিবার ও ঘনিষ্ঠ বান্ধবীরা শুধু নতুন নামে ডাকে।পরকালে কি আমাকে 'ফাতিমা' নামে ডাকা হবে?

৩.যদি জান্নাতে যাই ইন শা আল্লাহ  এই নতুন নামেই সেখানে থাকবো?<!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_bodytext_230411_062536_505.sdocx-->

1 Answer

0 votes
by (681,640 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


নামের একটি প্রভাব ব্যাক্তির উপর পড়ে,তাই রাসুলুল্লাহ সাঃ কোনো নামের অর্থ মন্দ দেখলে সেই নাম পরিবর্তন করে দিতেন।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

«وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا - أَنَّ بِنْتًا كَانَتْ لِعُمَرَ يُقَالُ لَهَا: عَاصِيَةُ فَسَمَّاهَا رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - جَمِيلَةً» . رَوَاهُ مُسْلِمٌ.

‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘উমার (রাঃ)-এর কন্যাকে ‘আসিয়াহ্ বলা হত। অতঃপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর নাম পরিবর্তন করে রাখলেন ‘‘জামীলাহ্’’।সহীহ : মুসলিম ১৫-(২১৩৯), ইবনু মাজাহ ৩১৩৩, 

«وَعَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - قَالَ: أُتِيَ بِالْمُنْذِرِ بْنِ أَبِي أُسَيْدٍ إِلَى النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - حِينَ وُلِدَ، فَوَضَعَهُ عَلَى فَخِذِهِ فَقَالَ: " مَا اسْمُهُ؟ " قَالَ: فُلَانٌ. قَالَ: " لَا، لَكِنِ اسْمُهُ الْمُنْذِرُ» مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ.

সাহল ইবনু সা‘দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুনযির ইবনু আবূ উসায়দ যখন ভূমিষ্ঠ হলো, তখন তাঁকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আনা হলো। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁকে নিজের রানের উপর রাখলেন এবং জিজ্ঞেস করলেনঃ তাঁর নাম কী? উত্তরদাতা বলল : ‘‘অমুক’’। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ ‘‘না’’; বরং তাঁর নাম ‘‘মুনযির’’।সহীহ : বুখারী ৬১৯১, মুসলিম ২৯-(২১৪৯), তিরমিযী ২৩৮, ইবনু মাজাহ ২৭৫,

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(১.২)
জন্মসনদ ও সার্টিফিকেটে নাম পরিবর্তন করতে পারলে সেটি করার চেষ্টা করবেন।
আর যদি বিষয়টি আপনার জন্য কষ্টকর হয়,সেক্ষেত্রে যদি আপনার পরিবার ও ঘনিষ্ঠ বান্ধবীরা শুধু নতুন নামে ডাকে।তাহলে পরকালে আপনাকে 'ফাতিমা' নামে ডাকা হবে,ইনশাআল্লাহ। 

(০৩)
হ্যাঁ, জান্নাতেও এই নতুন নামে ডাকা হবে,ইনশাআল্লাহ।

আপনি নিজ পরিবার ও ঘনিষ্ঠ বান্ধবীদের সামনে আপনার নতুন নাম ঘোষণা করে দিবেন,ও তাদেরকে এই নতুন নামেই ডাকার উদাত্ত আহ্বান জানাবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...