ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَمُوتُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ أَوْ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ إِلَّا وَقَاهُ اللَّهُ فِتْنَةَ الْقَبْرِ»
وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ وَلَيْسَ إِسْنَاده بِمُتَّصِل
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি কোন মুসলিম জুমু‘আর দিন অথবা জুমু‘আর রাতে মৃত্যুবরণ করে, তাহলে আল্লাহ তা‘আলা তাকে কবরের ফিতনা থেকে রক্ষা করবেন।
(আত্ তিরমিযী ১০৭৪, আহমাদ ৬৫৮২, সহীহ আত্ তারগীব ৩৫৬২.মিশকাত ১৩৬৭)
ইমাম তিরমিযী বলেন, এ হাদীসটি গরীব। এর সানাদ মুত্তাসিল নয়।)
ইমাম সুয়ূত্বী বলেন, কেননা জুম‘আর দিন জাহান্নাম উত্তপ্ত করা হয় না। এর দরজা বন্ধ থাকে। জাহান্নামের দারোগার এদিন অন্য দিনের ন্যায় কাজ থাকে না। এ দিন আল্লাহ যদি কোন বান্দার মৃত্যু ঘটান, তাহ’লে ঐ বান্দা ঐ সুযোগ লাভে ধন্য হয় (মির‘আত ৪/৪৪১ পৃঃ)।
পবিত্র এ হাদিসের ব্যাখ্যায় মুহাদ্দিসগণ বলেন, ফিতনা দ্বারা কবরের মুনকার-নাকিরের জিজ্ঞাসাবাদ অথবা কবরের আজাবকে বুঝানো হয়েছে।
আলোচ্য হাদীসের সমর্থনে আবূ নু‘আয়ম তাঁর হুল্ইয়াহ্ গ্রন্থে জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- যে ব্যক্তি জুমু‘আর দিন কিংবা রাতে মারা যাবে তাকে ক্ববরের শাস্তি থেকে পরিত্রাণ দেয়া হবে এবং সে ক্বিয়ামাতের (কিয়ামতের) দিন শাহীদি ঝান্ডা নিয়ে আসবে। হুমায়দী (রহঃ) তার তারগিব গ্রন্থে আইয়্যাস ইবনু বাকির হতে বর্ণনা করেছেন যে, যে জুমু‘আর দিনে মৃত্যুবরণ করবে তার জন্য শাহীদের সাওয়াব লেখা হবে এবং ক্ববরের ফিতনাহ্ থেকে তাকে মুক্তি দেয়া হবে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
শুক্রবারে কেউ মারা গেলে হিসাব হবে না বা সরাসরি বেহেশতে চলে যাবে, এ ধরনের বক্তব্য হাদিস দ্বারা সাব্যস্ত হয়নি।
তবে সে ঈমানদার হলে (মুনাফিক না হলে) কবরের ফিতনা থেকে মুক্তি পাবে।
আপনি যে বলেছেন যে উক্ত হাদীস সহীহ নয়,এটি ঠিকই বলেছেন।
উক্ত হাদীসের ব্যপারে মুহাদ্দিসিনে কেরামগন সহীহ বলেননি। হাসান লি গাইরিহি বলেছেন।
এক্ষেত্রে উক্ত বাক্য ("হাদীস সহীহ না") বলায় আপনার ঈমানের কোনো সমস্যা হবেনা।
আরো জানুনঃ-