আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
183 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (89 points)
edited by

১ম্যাসেজে কথা চলছেঃ

স্বামীঃ নামাজের সময় হয়ে গেছে, পড়ে ঘুমিয়ে থাকো।

বউঃ এই চার টি ম্যাসেজ দেয় রিপ্লে হিসাবে,

#ওয় জানি
#আলসামি লাগে

#এশার নামাজ ভাল্লাগে না

#পড়তে (২/৩ সেকেন্ড পরে এই পড়তে লেখে ম্যাসেজটি দিয়েছে,তাকে জিগ্যাসা করলে বলেছে। ম্যাসেজ লেখার সময় মনে মনে ছিলো " এশার নামাজ পড়তে ভালো লাগে না", কিন্তু  লেখার সময় "পড়তে" ইটা  লিখেনাই, এর জন্য পরে লিখে দিয়েছে।) 

এই কথার কি স্ত্রীর ইমান ভঙ্গ হবে? বিবাহ কি ভেঙে যাবে?

(যদি কুফরী হয়ে যায়,আর তাকে জিগ্যেস করলে যদি বলে যে এটা কুফরী হবে সে জানতো না, তবে কি বিধান এক ই)

২.ফরজ বিধান মানে স্বীকার করে তবে অপছন্দ করে বা ভালো লাগে না বললে কি ইমান ভেঙ্গে যায়?

৩. আজকে নামাজের সময় হঠাৎ ভাবলাম,আমার ওসওয়াসার জন্য আল্লাহর কাছে কতো দোয়া করলাম আল্লাহ কবুল করলা না, এটা ভাবর সময় মনে মনে "আল্লাহ বাদ" এটা বলে ফেলেছি বলার সাথে সাথে এটা কি বললাম মনে মনে তার জন্য অনুশোচনা হয়েছো, আমি তো আল্লাহ কে সম্মান করি মন থেকেই। অনেক সময় আমি ভাবি যে, আমি বাদ(খারাপ) এর জন্য হয়তো আল্লাহ দোয়া কবুল করেন না, এই আমি বাদ ভাবতে গিয়ে মনে মনে আল্লাহ বাদ বলে ফেললাম কি না বুঝতেছি মা। আমি কি কাফের হয়ে যাব?

৪. আজকে দুপুরে মনে মনে ভাবতেছিলাম যে আবছা মনে আছে, হারাম টাকা কাওকে দান করলে সোয়াব হবে, এই ধরনের কিছু।  আমি মনে করতে পারতেছি না। আমি জানি হারাম টাকা থেকে সোয়াব আশা করা কুফরী,  এটাই ভেবেছিলাম না কি, মনে মনে প্রশ্ন করেছিলাম যে হারাম থেকে সদকা করলে উপকার করায় সওয়াব পেতে পারে কি না, বা হারাম থেকে বাচার নিয়তের জন্য সওয়াব পেতে পারে কি না  তা মনে পরছে না। মুখে কিছু বলি নি,আমি কি কাফের হবো এর জন্য?

৫.কারো যদি নিজের ইমানি হালতের উওর ভয় হয় এবং মনে ৃনে ভাবে কোনো একদিন হয়তো সে কাফের হয়ে যাবে..এই ভাবনার দরুণ কি  কাফের হবে?

1 Answer

0 votes
by (677,160 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/47004/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
শরীয়তের কোনো জরুরি বিধান নিয়ে হাসি ঠাট্রা করলে ঈমান চলে যায়।
  
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

 قُلْ أَبِاللهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُوْلِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُوْنَ، لاَ تَعْتَذِرُوْا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيْمَانِكُمْ 

‘আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে তাঁর হুকুম-আহকামের সাথে এবং তাঁর রাসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? ছলনা কর না, ঈমান আনার পর তোমরা যে কাফির হয়ে গেছ’ (তওবা ৬৫-৬৬)। 

 فَنَذَرُ الَّذِيْنَ لاَ يَرْجُوْنَ لِقَاءَنَا فِيْ طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُوْنَ 

‘সুতরাং যারা আমার সাথে সাক্ষাতের আশা রাখে না, আমি তাদেরকে তাদের দুষ্টামীতে ব্যতিব্যস্ত করে রাখি’ (ইউনুস ১১)। 

এ ধরনের লোকদের সাথে উঠাবসা, চলাফেরা ত্যাগ করতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা উক্ত আচরণ পরিত্যাগ না করে। 

وَقَدْ نَزَّلَ عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ أَنْ إِذَا سَمِعْتُمْ آيَاتِ اللهِ يُكْفَرُ بِهَا وَيُسْتَهْزَأُ بِهَا فَلاَ تَقْعُدُوْا مَعَهُمْ حَتَّى يَخُوْضُوْا فِيْ حَدِيْثٍ غَيْرِهِ إِنَّكُمْ إِذًا مِثْلُهُمْ إِنَّ اللهَ جَامِعُ الْمُنَافِقِيْنَ وَالْكَافِرِيْنَ فِيْ جَهَنَّمَ جَمِيْعًا-
‘আর কুরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারী করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহর আয়াত সমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রূপ করতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে। অন্যথা তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ মুনাফিক ও কাফিরদেরকে জাহান্নামে একই জায়গায় সমবেত করবেন’ (নিসা ১৪০)। 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে  ঈমান চলে যাবেনা।

এখানে নামাজ নিয়ে ঠাট্রা করা হয়নি।

(০২)
এতে ঈমান চলে যাবেনা।
তবে এর দ্বারা ব্যাক্তি পূর্ণ মুমিন হতে পারবেনা।

(০৩)
আপনি কাফের হবেননা। 
তবে আপনাকে খালেস দিলে তওবা করতে হবে।

(০৪)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি কাফের হবেননা।

(০৫)
এই ভাবনার দরুণ সে কাফের হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...