আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
213 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (41 points)
আসসালামু আলাইকুম সম্মানিত মুফতি সাহেব,
আমার বোন আমার বিবির কাছে জানতে চাইল -  শুক্রবারে কেউ মারা গেলে সে নাকি / তার নাকি সব মাফ অথবা সে নাকি জান্নাতি এই ধরনের কিছু
যা  আমার সম্পূর্ণ মনে আসছে না। আমার বিবি সম্ভবত হা বাচক শব্দই বলল । আমি তখন বিবিকে বললাম এই ভাবে বলা ঠিক না। তখন আমার বিবি বলল হাদিসটি সহিহ না । আমি বললাম না। আমি আসলে কয়েকদিন আগে পরেছিলাম - শুক্রবারে কেউ মারা গেলে হিসাব হবে না বা সরাসরি বেহেশতে চলে যাবে, এ ধরনের বক্তব্য হাদিস দ্বারা সাব্যস্ত হয়নি।
কাজেই আমি ভুল্ক্রমে যে বললাম হাদিসটি সহিহ না এতে কি কোন ইমানের সমস্যা হবে?
ধন্যবাদ ।
by (41 points)
edited by
হুজুর আমাকে মাফ করে দিবেন আমি চারটির অধিক প্রশ্ন করার জন্য। কোন উপায় না পেয়ে প্রশ্ন করলাম।
(২) আমি আমার ছেলের কাছে আরবি সদ্ এর মাখরাজ শিখছিলাম এমতাবস্থায় ছেলের সাথে আমিও মুখ আকা বাঁকা করে মাখরাজ শিকছিলাম। মাঝে মধ্য মনে হয় ঠাট্টা করে ও উচ্চারণ করেছে। হটাত করে মনে হল এগুলো নিয়ে ঠাট্টা মশকারা করা উচিত নয়। এর পর থেকে চিন্তিত। 
 বিবিকে বললাম আমি সদ্ এর মাখরাজ শিক্ষার সময় ঠাট্টা মশকারা করেছি এতে কি কোনও সমস্যা হবে এবং  এর জন্য আমি চিন্তিত। এরপর আমি মাঝে মাজে একা একা  মনে কড়ার চেষ্টা করছি আসলেই কি আমি কোনও মশকারা করছি না কি । এতে মুখ দ্বিয়ে বাঁকা করে সদ উচ্চারণ করে দেখছি। 
আমার এই সার্বিক ঘটনায় কি কোনও ইমানের সমস্যা হবে? 
উল্লেখ্য যে আমি ও সি ডি রুগে ভুগছি।  
by (41 points)
please give answer this question
by (41 points)
please give answer this question
by (41 points)
অনুগ্রহ করে উত্তর দিলে উপকৃত হব। 

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَمُوتُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ أَوْ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ إِلَّا وَقَاهُ اللَّهُ فِتْنَةَ الْقَبْرِ»
وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ وَلَيْسَ إِسْنَاده بِمُتَّصِل
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি কোন মুসলিম জুমু‘আর দিন অথবা জুমু‘আর রাতে মৃত্যুবরণ করে, তাহলে আল্লাহ তা‘আলা তাকে কবরের ফিতনা থেকে রক্ষা করবেন।
(আত্ তিরমিযী ১০৭৪, আহমাদ ৬৫৮২, সহীহ আত্ তারগীব ৩৫৬২.মিশকাত ১৩৬৭)
ইমাম তিরমিযী বলেন, এ হাদীসটি গরীব। এর সানাদ মুত্তাসিল নয়।)

ইমাম সুয়ূত্বী বলেন, কেননা জুম‘আর দিন জাহান্নাম উত্তপ্ত করা হয় না। এর দরজা বন্ধ থাকে। জাহান্নামের দারোগার এদিন অন্য দিনের ন্যায় কাজ থাকে না। এ দিন আল্লাহ যদি কোন বান্দার মৃত্যু ঘটান, তাহ’লে ঐ বান্দা ঐ সুযোগ লাভে ধন্য হয় (মির‘আত ৪/৪৪১ পৃঃ)। 

পবিত্র এ হাদিসের ব্যাখ্যায় মুহাদ্দিসগণ বলেন, ফিতনা দ্বারা কবরের মুনকার-নাকিরের জিজ্ঞাসাবাদ অথবা কবরের আজাবকে বুঝানো হয়েছে। 

আলোচ্য হাদীসের সমর্থনে আবূ নু‘আয়ম তাঁর হুল্ইয়াহ্ গ্রন্থে জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- যে ব্যক্তি জুমু‘আর দিন কিংবা রাতে মারা যাবে তাকে ক্ববরের শাস্তি থেকে পরিত্রাণ দেয়া হবে এবং সে ক্বিয়ামাতের (কিয়ামতের) দিন শাহীদি ঝান্ডা নিয়ে আসবে। হুমায়দী (রহঃ) তার তারগিব গ্রন্থে আইয়্যাস ইবনু বাকির হতে বর্ণনা করেছেন যে, যে জুমু‘আর দিনে মৃত্যুবরণ করবে তার জন্য শাহীদের সাওয়াব লেখা হবে এবং ক্ববরের ফিতনাহ্ থেকে তাকে মুক্তি দেয়া হবে।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
শুক্রবারে কেউ মারা গেলে হিসাব হবে না বা সরাসরি বেহেশতে চলে যাবে, এ ধরনের বক্তব্য হাদিস দ্বারা সাব্যস্ত হয়নি।

তবে সে ঈমানদার হলে (মুনাফিক না হলে) কবরের ফিতনা থেকে মুক্তি পাবে।

আপনি যে বলেছেন যে উক্ত হাদীস সহীহ নয়,এটি ঠিকই বলেছেন।
উক্ত হাদীসের ব্যপারে মুহাদ্দিসিনে কেরামগন সহীহ বলেননি। হাসান লি গাইরিহি বলেছেন।

এক্ষেত্রে উক্ত বাক্য ("হাদীস সহীহ না") বলায় আপনার ঈমানের কোনো সমস্যা হবেনা। 

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (41 points)
please give answer my second question.
by (41 points)
অনুগ্রহ করে দ্বিতীয় প্রশ্নের  উত্তর দিলে উপকৃত হব। 
by (678,880 points)
(০২)
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার ঈমান চলে যাবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...