আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
203 views
in পবিত্রতা (Purity) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম, আমার দীর্ঘদিন যাবত প্রস্রাবের সমস্যা রয়েছে। সমস্যাটি এরকম যে, টয়লেট ব্যবহারের পর এবং গোসলের পর নিচু হতে গেলে সামান্য পরিমাণে প্রস্রাব লিক হয় (যদিও টয়লেটে অপেক্ষা করি সম্পূর্ণভাবে প্রস্রাব বের হওয়া পর্যন্ত)।  এমন অবস্থায় নামাজে দাড়ালে রুকু দেয়ার সময় প্রস্রাব লিক হয় ফলে, আমার নামাজ এবং অযু ভেঙে যায়- একইসাথে পায়জামা ও নাপাক হয়ে যায়। এই সমস্যার কারণে আমাকে প্রতিবার টয়লেট ব্যবহারের পর এবং গোসলের পর ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে নামাজের প্রস্তুতি নিতে হয়। অর্থাৎ, লজ্জাস্থানে পানি লাগলেই আমার এই সমস্যা টি হয় সাধারণত।  এমতাবস্থায় অনেক সময় নামাজের ওয়াক্ত চলে যায় কিন্তু আমি নামাজে দাড়াতে পারি না। আবার ওয়াক্তমতো নামাজ আদায়ের জন্য প্রস্রাব চেপে রেখে নামাজ আদায় করি-যার কারণে পরবর্তীতে কষ্ট হয়ে যায়।
১. এই অবস্থায় নামাজ আদায়ের জন্য কী করণীয়?

২. এই সমস্যার পাশাপাশি মাঝেমধ্যে সাদাস্রাব হয়, ফলে আবার পবিত্র হতে গেলে একই সমস্যায় পরতে হয়। একদিকে নামাজের সময় চলে যায় অন্যদিকে নামাজে দাড়াতেও পারি না। এমন হলে কি করতে হবে?

৩. নামাজ আদায় ছাড়াও, সর্বদা পবিত্র থাকতে এই সমস্যায় কি করবো?

উল্লেখ্য:
আমি বিবাহিত, বিয়ের অনেক আগে থেকেই এই সমস্যা রয়েছে।

টয়লেটের পর পানি ব্যবহারের পর টিস্যু দিয়ে লজ্জাস্থান মুছে নিলেও সাথেসাথে নিচু হতে গেলে একই সমস্যা হয়।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
শরীয়তে ইসলামি সহজতার উপর নির্ভরশীল। শরীয়ত চায় না মানুষ কষ্টে নিপতিত হোক।আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يُرِيدُ اللَّهُ بِكُمُ الْيُسْرَ وَلَا يُرِيدُ بِكُمُ الْعُسْرَ 
আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না(সূরা বাক্বারা-১৮৫)

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
(إِنَّ الدِّينَ يُسْرٌ)
নিশ্চয় দ্বীনে ইসলাম সহজ।(সহীহ বুখারী-৩৯)
 
আপনার প্রশ্ন থেকে আমরা যা বুঝেছি,আপনার এ বিষয়টা হয়তো মনস্তাত্ত্বিক। এটা শয়তানের পক্ষ্য থেকে ওয়াসওয়াসা।যাতে করে শয়তান আপনাকে কষ্টে নিপতিত করে।এবং শেষ পর্যন্ত ইবাদতকে আপনার নিকট অসহনীয় ও কষ্টকর করে তুলতে পারে।সুতরাং এমন পর্যায়ের কাউকে আবার ওজু করার নির্দেশ দেয়া হবে না।এবং খুজতে আদেশ করা হবে না যে,কিছু বের হল কি না? বরং তার উপর দায়িত্ব হল সে প্রথমে ইস্তেঞ্জা করবে,তারপর লজ্জাস্থানে পানি ছিটিয়ে দিবে।যাতেকরে তার সামনে ওয়াসওয়াসার দরজা সমূলে ধংশ হয়ে যায়।অতঃপর সে অজু করবে এবং নামায পড়বে।সে শয়তানের প্ররোচনার দিকে ভ্রুক্ষেপ করবে না যে,কিছু বের হয়েছে কি না।

কিন্তু যদি কারো ঈয়াকিন বা পূর্ণ বিশ্বাস হয় যে,কিছু বের হয়েছে,তাহলে এমতাবস্থায় সে আবার অজু করতে হবে।সেজন্য আপনি রোমাল বা টিস্যু ইত্যাদি লজ্জাস্থানে রেখে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/4271

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার জন্য সহজ সমাধান হল, আপনি ওয়াক্ত হয়ে গেলে পবিত্রতা অর্জনের চেষ্টা শুরু করে দিবেন। আল্লাহ আপনার কল্যাণ করুক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...