আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
164 views
in পবিত্রতা (Purity) by (10 points)
আমার গত পরশু দিন সাদা স্রাবের সাথে ময়লার মতো দেখা গেছে।এটা ওইদিন আমি দুইবার চেক করে দেখতে পেয়েছি যারা কারণে রোযা ভেংগে ফেলেছি।আর দুই দিন ধরে রোযা রাখছি না হায়েজ ভেবে।ওই দুইবার দেখার পর আর ওরকম পাইনি।মানে এরপর থেকে সাদাই দেখতে পাচ্ছি।আমার চারমাস ধরে হায়েজ হচ্ছে না দেখে এবার হায়েজ হয়েছে ভেবেই রোযা ছেড়ে দিয়েছি।আমার কি এটা করা ঠিক হয়েছে? না হলে আমার কি করা উচিত ছিলো? আর আমিকি আগামীকাল থেকে রোযা রাখা শুরু করবো? আর আমার এটা কি আসলে হায়েজ ছিলো?

এর আগে একবার এরকম একদিন দেখে আর দুইদিন দেখিনি।পরে আবার দুইদিন পরে রক্ত দেখেছিলাম।তাহলে এখন আমার কি করা উচিত?এটা হায়েজ না হলে তো আগামীকাল রোযা না রাখলে গুণাহ হবে না? নাকি সন্দেহ নিয়ে রোযা রাখা উচিত হবে না? বুঝতে পারছি না

1 Answer

0 votes
by (679,600 points)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বনিম্ন সময়সীমা হলো ৩ তিন,আর সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হাদীস শরীফে এসেছে   
أقل الحیض للجاریۃ البکر والثیب ثلاثۃ أیام ولیالیہا وأکثرہ عشرۃ أیام
دار قطني، السنن، 1: 219، رقم: 61
রাসুল সাঃ বলেন  মহিলাদের হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা হলো ৩ দিন ৩ রাত,সর্বোচ্চ সীমা হলো ১০ দিন ১০ রাত।

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
,

أن النساء کن یبعثن بالکرسف إلی عائشۃ رضی اللہ تعالیٰ عنھا فکانت تقول : لا حتی ترین القصۃ البیضاء‘‘ ( المؤطأ للإمام مالک : ۱/۵۹۱ ،  : مصنف ابن عبد الرزاق، حدیث نمبر : ۱۱۵۹ )
সারমর্মঃ আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ সেই সমস্ত মহিলাদের বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা দেখিতে না পাও। 

বিস্তারিত জানুনঃ   

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি এটি যদি পূর্ণ তিন দিন তিন রাত হতো,সেক্ষেত্রে এটি হায়েজ বলে গন্য হতো।
সেই হিসেবে নামাজ রোযা বন্ধ রাখতে হতো।

★কিন্তু প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এটি তো তিন দিন তিন রাতের আগেই বন্ধ হয়েছে,সুতরাং এটি আসলে হায়েজ নয়। তাই আপনার রোযা গুলি রাখা উচিত ছিলো, না রাখার দরুন তওবা করে নিবেন,ও পরবর্তীতে কাজা আদায় করে নিবেন।
অনিচ্ছাকৃত এই ভুল আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করবেন।

এখন থেকে আপনি রমজানের রোযা রাখা শুরু করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
জী।গতকাল রোযা রেখেছিলাম আমি,নামাজও আদায় কপ্রেছি।কিন্তু ইফতারের পর ই আবার একটা মাত্র blood stain দেখতে পেলাম।আজকে সকালেও দেখলাম।এখন কি এটাকেও আমি ইস্তিয়াজা ধরবো?
উল্লেখ্য গতকাল ই আমার তিনদিন হলো প্রথম ময়লার মতো দেখার পর।কি করা উচিত এখন?
এগুলা এতো confusing যে প্রতি পদে পদে প্রশ্ন করা লাগছে।
by (679,600 points)
আপনি হায়েজ ধরে নিবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...