আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
341 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম,আল্লাহর রহমতে আমার হায়েজ স্বাভাবিক সময়সীমা ব্যাতিরেকেই হয়।গতমাসে ২৫তারিখ হয়েছিলো।এই মাসে গতকাল লাল স্রাব দেখা গিয়েছিলো,তাই আমি সালাত ছেড়ে দিয়েছিলাম,তারপর একেবারেই শুকনো ছিলো।আজকে সকালে আবার সাদাস্রাব দেখা যাচ্ছে।এমতাবস্থায় আমার করণীয় কি?আমি কি গতকালকের ইশা এবং ফজর সালাত কাযা করে নিবো?

1 Answer

0 votes
by (63,400 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

 শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বনিম্ন সময় সীমা ৩ দিন,আর সর্বোচ্চ সময়সীমা ১০দিন। আর দুই হায়েযের মাঝে পবিত্রতার সময়সীমা হলো ১৫ দিন।

হয়েযের ১০ দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে। যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

 

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 

উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবে না।

(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!

 

তিন দিন পর যদি আপনার হায়েয সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ হয়ে যায়,তাহলে আপনি পবিত্র হয়ে যাবেন। আপনার এ হায়েয বন্ধ হয়ে যাওয়া চায় ঔষধের কারণে হোক বা অন্য কোনো কারণে হোক,আপনি  পবিত্র হয়ে যাবেন।

 

তবে যদি দশ দিনের ভিতর আবার হায়েয চলে আসে,তাহলে আবার আপনি অপবিত্র হয়ে যাবেন। তথা মাঝে বন্ধ হওয়ার পর আবার চালু হলে,সেই রক্তকে হায়েযের রক্ত হিসেবে গণ্য করা হবে। যেমন বর্ণিত রয়েছে,

 

اذا عاودها الدم في العشرة بطل الحكم بطهارتها مبتدأة كانت او معتادة و كأنها لم تطهر اصلا

হায়েয বন্ধ হওয়ার পর দশ দিনের ভিতর আবার যদি হায়েয চলে আসে,তাহলে পূর্বের পবিত্রতার বিধান খতম হয়ে যাবে। চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক। যেমন ঐ মহিলা পূর্বে পবিত্রই হয়নি।

(ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়া-১/৪৮৫, যাকারিয়া)

 

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,

فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً

মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে। চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।

(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!

 

না, গতকালের ইশা ও ফজর সালাত কাযা করা লাগবে না। কারণ শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বনিম্ন সময় সীমা ৩ দিন,আর সর্বোচ্চ সময়সীমা ১০দিন। তাই হায়েয শুরু হওয়া থেকে তিনদিন হায়েয হিসেবেই ধরা হবে। এই তিন দিনের শেষের দিকে রক্ত বা সাদাস্রাব দেখা যাক বা না যাক। এই তিন দিনে নামাজ পড়া লাগবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...