আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

–1 vote
548 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (16 points)
আমার পরিচিত একজনের স্বামী নামাজ, রোজা আদায় করেনা। তার বিভিন্ন চালচলনের কারণে ইসলামের বিধিনিষেধ  সম্পর্কে বলা হলেও কর্ণপাত করেনা। বারবার নামাজের কথা বলা হলে হয়তো বহুদিন পর পর ১ ওয়াক্ত পড়ে। কিন্তু রোজার কথা বললে অসুস্থতার অজুহাত দিয়ে এড়িয়ে যায়। দ্বীনের ব্যাপারে খুব অনীহা দেখায়। এদিকে তাঁর স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্বও নিজের বাবার উপর ছেড়ে দিয়েছে। আবার স্ত্রীর বাবা মায়ের সাথে কোনরূপ যোগাযোগ করেনা। এমতাবস্থায় তাঁর এসব খামখেয়ালি আচরণের কারণে তাঁর প্রতি তাঁর স্ত্রীর মন উঠে গেছে, একসাথে থাকা কষ্টদায়ক হয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে স্ত্রী কি তালাক দিয়ে আলাদা হয়ে যেতে পারবে?

1 Answer

0 votes
by (671,200 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


ইসলামের মূল থিউরী হল স্বামী স্ত্রীর মাঝে বিচ্ছেদ না হোক। তারা মিলেমিশে থাকুক। সমস্যা হলে উভয়ে বসে তা সমাধানের চেষ্টা করা উচিত। তাতে সমস্যার সমাধান না হলে পারিবারিক মুরুব্বীদের পরামর্শের আলোকে সমাধান করা উচিত। তারপরও যদি সমাধান না আসে। তাহলে নিরূপায় অবস্থায় ইসলাম তালাক দেবার অধিকার দিয়েছে স্বামীকে।

হাদীস শরীফে এসেছে   

عن ابن عمر رضي اللّٰہ عنہما أن رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم قال: أبغض الحلال إلی اللّٰہ عزوجل الطلاق۔ (سنن أبي داؤد ۱؍۳۰۳، المستدرک للحاکم ۲؍۲۱۸ رقم: ۲۸۰۹، السنن الکبریٰ ۷؍۳۱۶)

রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন যে সবচেয়ে নিকৃষ্টতম হালাল হলো তালাক প্রদান করা।
,
★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
.
অথবা যদি নিকাহনামা ইজাব কবুল হওয়ার পর লেখা হয়,এবং স্বামী জেনে শুনে ১৮ নং ধারায় স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা দিয়ে থাকে,তাহলে স্ত্রী তালাকে তাভবিজের ক্ষমতা প্রাপ্ত হবে।
নতুবা নয়।
,
তালাকে তাভবিজের ক্ষমতা প্রাপ্ত হওয়ার পর স্ত্রী নিজের নফসের উপর তালাক দিতে পারবে।
যদি সে স্বামীকে তালাক দেয়,তাহলে সেটি তালাক হসেবে সাব্যস্ত হবেনা। 
      
এই ছুরতে স্ত্রী যদি বলে/লিখে আমি স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে  (লিখিত বা মৌখিকভাবে) নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলাম,তাহালে  সেটি পতিত হয়ে যাবে।
এখানে স্ত্রী যে কয় তালাক নিন নফসের দিবে,সেই কয় তালাকই পতিত হবে।  

আরো জানুনঃ 
,
যদি স্বামী স্ত্রীকে তালাক প্রদানের অনুমতি না দিয়ে থাকে,এক্ষেত্রে স্বামী খোরপোষ না দিলে,স্ত্রী কাযী সাহেবের নিকট অভিযোগ দায়ের করতে পারবে।

★★★প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের অধীকার প্রদান করে থাকে,তাহলে স্ত্রী নিজের উপর তালাক দিতে পারবে।
কোনো সমস্যা নেই।
এহেন ছুরতে এটি জায়েজ আছে।
এক তালাক দিবে,তিন তালাক নয়।
,
আর যদি স্বামী তালাকের অধীকার প্রদান না করে থাকে,তাহলে স্ত্রী তালাক দিতে পারবে না।বরং এক্ষেত্রে স্ত্রী তালাকের দরখাস্ত কোর্টে করবে,কোর্ট বিবাহ ভঙ্গের ফয়সালা শুনাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...