আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
98 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (23 points)
১.সন্তান অবাধ্য হলে অভিভাবকের কী করণীয়?

২.সাহু সিজদা না দিয়ে নামাজে দুইদিকে সালাম ফিরিয়ে ফেললে তখন দুই সিজদা দিয়ে আবার সালাম ফিরালে হবে কি?

৩.বিয়ের ক্ষেএে পাএের যদি স্টাইলিস চুল ও দাঁড়ি থাকে ওই ছেলেকে বিয়ে করা কি ঠিক হবে?

৫.পূর্বে যদি নামাজে দুনায়াবি দুয়া ও বাংলায় দুয়া করে থাকি তাহলে কি নামাজ ভেঙে গেছে(মনে মনে করি নি উচ্চারণ করে করেছি)।নামাজগুলো কি পুনারায় আদায় করতে হবে?

৬.সাহু সিজদা না দিলে কি পুনরায় নামাজ আাদায় করতে হবে?

৭.বিতিরে দুয়ায়ে কুনুত পরতে ভুলে গেলে সাহু সিজদা দিলে হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (676,960 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
সন্তানকে বাধ্য করার জন্য এই দোয়া বেশি বেশি পাঠ করতে হবেঃ-

 اللهم)  اَصۡلِحۡ لِیۡ فِیۡ ذُرِّیَّتِیۡ ۚؕ اِنِّیۡ تُبۡتُ اِلَیۡکَ)

(আল্লাহুম্মা) আসলিহলি ফি যুররিয়্যাতি, ইন্নি তুবতু ইলাইকা।
(সুরা আহকাফ ১৫)

(হে আল্লাহ), আমার বংশধরদের সংশোধন করে দাও, অবশ্যই আমি তোমার কাছে তাওবা করলাম এবং নিশ্চয়ই আমি মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত।

তাকে কুরআনের শিক্ষা দিতে হবে।
দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতে পাঠানো যেতে পারে।
হক্কানি শায়েখদের ওয়াজ নসিহত শুনতে বলতে হবে। 
নেককার লোকদের সাথে উঠাবসার ব্যবস্থা করতে হবে।
অসৎ সঙ্গ ত্যাগের যাবতীয় পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। 

প্রয়োজনে শাসনের লাঠি হাতে তুলে নিতে হবে 

(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ   

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا الْهَيْثَمُ بْنُ خَارِجَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَنْ أَصَابَهُ قَىْءٌ أَوْ رُعَافٌ أَوْ قَلَسٌ أَوْ مَذْىٌ فَلْيَنْصَرِفْ فَلْيَتَوَضَّأْ ثُمَّ لْيَبْنِ عَلَى صَلاَتِهِ وَهُوَ فِي ذَلِكَ لاَ يَتَكَلَّمُ "

আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নামাজ রত অবস্থায় কারো বমি হলে, নাক দিয়ে রক্ত বের হলে, খাদ্য বা পানীয় পেট থেকে মুখে চলে এলে অথবা বীর্যরস নির্গত হলে, সে যেন বাইরে এসে অযু করে, অতঃপর পূর্বোক্ত সালাতের অবশিষ্টাংশ পূর্ণ করে, উক্ত অবস্থায় যদি সে কথা না বলে থাকে।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ১২২১.বুলুগুল মারাম ৭৫।)

عَنْ عَائِشَةَ ؛ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ : " إِذَا قَاءَ أَحَدُكُمْ فِي صَلَاتِهِ أَوْ قَلَسَ ، فَلْيَنْصَرِفْ فَلْيَتَوَضَّأْ ، ثُمَّ لْيَبْنِ عَلَى مَا مَضَى مِنْ صَلَاتِهِ ، مَا لَمْ يَتَكَلَّمْ " ، قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ : " فَإِنْ تَكَلَّمَ اسْتَأْنَفَ

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমাদের কেই নামাযরত অবস্থায় বমি করলে অথবা (পেট থেকে) খাদ্য বা পানীয় তার মুখে এসে গেলে সে যেন বের হয়ে গিয়ে উযু করে, তারপর অবশিষ্ট নামায পড়ে, যদি সে কথাবার্তা না বলে থাকে। ইবনে জুরাইজ (রহঃ) বলেন, সে যদি কথা বলে থাকে তাহলে পুনরায় নতুন করে নামায পড়বে।
(সুনানে দারা কুতনি ৫৪১।)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সাহু সিজদা না দিয়ে নামাজে দুইদিকে সালাম ফিরিয়ে ফেলার পর যদি নামাজ ভঙ্গকারী কোনো কাজ না করে,যেমন খাওয়া পান করা,কাহারো সাথে কথাবার্তা বলা ইত্যাদি, তাহলে সেক্ষেত্রে তখনই দুই সিজদা দিয়ে আবার সালাম ফিরালে নামাজ শুদ্ধ হবে।

(০৩)
জায়েজ আছে।
সে যেহেতু মুসলিম, তাই তাকে বিবাহ করা জায়েজ আছে।
পরবর্তীতে বুঝিয়ে সুন্নাতী দাঁড়ি রাখানোর চেষ্টা করতে হবে।

(০৫)
পূর্বের নামাজগুলি পুনরায় আদায় করতে হবেনা।
তবে আগামীতে এরকম আর করবেননা।

(০৬)
ওয়াক্ত থাকলে সেই নামাজ পুনরায় আদায় করা আবশ্যক। 

আর ওয়াক্ত চলে গেলে তার উপর পুনরায় উক্ত নামাজ আদায় করা আবশ্যক কিনা,এই ব্যাপারে ফুকাহায়ে কেরামদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে।
সতর্কতামূলক এই ছুরতেও নামাজ পুনরায় আদায় করা উচিত।

(০৭)
হ্যাঁ, সাহু সেজদাহ দিলে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...