আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
171 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (62 points)
edited by
এক বোনের কথা,

আমার মাসনূন জ্বীনের সমস্যা আছে।
আমার হাসবেন্ডের সাথে আমার সম্পর্ক দিনদিন খারাপ হচ্ছে। আমি ডিপ্রেশনে ভুগতে ভুগতে খুবই চরম পর্যায়ে আছি এখন। আমার লাইফে প্রায় সব স্টেপ আমার নিজের ভুলবশত ছিল। আর প্রায় সব স্টেপ নিয়েই আমার আফসোস করা লাগতো।এখন ডিভোর্সের চিন্তা আসে। কিন্তু আব্বু আম্মুর মানসম্মান, নিজের মানসম্মানের ভয়ে আগাতে পারি না।
মায়ের করুণ চেহারার দিকে চোখ তুলে তাকানো যায় না। সবমিলিয়ে আমি আর টেনশন নিতে পারছি না।
নামাজ,  কোরান কিছুতেই মন বসে না। আগে তাহাজ্জুদে উঠতে না পারলে কাঁদতাম। গত এক বছর ধরে তাহাজ্জুদ ইরিগুলার হয়ে গেলো। গত সপ্তাহ ধরে বেশ কদিন ফজর ক্বাযা হয়ে যাচ্ছে। কোনো অনুতপ্তবোধ নেই।  অঝোরে কেঁদে যাচ্ছি সবকিছু নিয়ে। আমার এখন শুধু সুইসাইড করতে মন চায়। কারণ ডিভোর্স পসিবল না। ইচ্ছে হয় নিজে মরে যাই না হয় হাসবেন্ড মরে যাক। এরকম ভয়ংকর ইচ্ছে কেন হয় আমি জানি না। আমার ভয় হচ্ছে সব মিলিয়ে।  আমি কি এখন হুট করে ছিটকে পড়ে যাচ্ছি দ্বীন থেকে? আমি কি পথভ্রষ্ট, ধ্বংসপ্রাপ্ত, জাহান্নামীদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যাচ্ছি? আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে থাকি, তাওবা করতে থাকি। আবার নিজে নিজে এসব চিন্তা করতে থাকি, নাফরমানি, নাশোকরি করতে থাকি, কাঁদতে থাকি। আমার ঐ হাদিসটা মনে পড়ে, যার তাক্বদীরে জাহান্নাম আছে সে জান্নাতের কাজ যদি করতেও থাকে মৃত্যুর আগে সে এমন কাজ করবে যা তাকে জাহান্নামে নিবে। আমার এটা ভয় হয়। আমার অবস্থা গত কয়েকসপ্তাহ ধরে ভীষণ মারাত্মক। শুধু সুইসাইড করতে ইচ্ছে করে। পালাতে ইচ্ছে করে। আমার এই ডিপ্রেশন, নাফরমানি, সুইসাইড করতে চাওয়া, কান্না করা এসব কি ঐ জ্বীনের কারণে হচ্ছে?
নাকি আমি আবার সেই জাহেলী জীবনে ফেরত যাচ্ছি, ছিটকে সরে যাচ্ছি দ্বীন থেকে? আমি কি নিজের উপর জুলুমকারী হয়ে যাচ্ছি? আমি সুইসাইড করে ফেলবো না তো? আমার লাইফে এতকিছু যেগুলো আমি মনে করি আমার ভুল সেসব কি তাক্বদীরে যা ছিল তাই হয়েছে এরকম বলে বিশ্বাস করে নিবো? আমার হাসবেন্ড বলে, 'তোমার তাক্বদীরে বিশ্বাস নেই।' কিন্তু তাক্বদীরে ছিল বলেই হয়েছে এটা বিশ্বাস করতে গেলে আরেকটা ওয়াসওয়াসা আসে,  সেটা হচ্ছে আমার তাক্বদীরেই কেন এমন ছিল? আমার সাথেই কেন এমন হলো?
আমি আমার নিজেকে নিয়ে ভয় পাচ্ছি। আমাকে আল্লাহ জাহান্নামে ছুঁড়ে ফেলবে না তো?

1 Answer

0 votes
by (599,820 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
সমাধানঃ-
আপনি বেশী বেশী যিকির করুন।যিকির অন্তরকে প্রশান্ত রাখে।মনের সকল প্রকার পেরেশানিকে দূর করে দেয়।দ্বীনের পথে আসতে পেরেছেন,সেজন্য আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা পেশ করুন।

মনে রাখবেন জীবনের প্রতিটা মুহুর্তের হিসাব আল্লাহকে দিতে হবে।
ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে,
أن النبي صلى الله عليه وسلم قال : ( لَا تَزُولُ قَدَمُ ابْنِ آدَمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ عِنْدِ رَبِّهِ حَتَّى يُسْأَلَ عَنْ خَمْسٍ : عَنْ عُمُرِهِ فِيمَ أَفْنَاهُ ، وَعَنْ شَبَابِهِ فِيمَ أَبْلَاهُ ، وَمَالِهِ مِنْ أَيْنَ اكْتَسَبَهُ وَفِيمَ أَنْفَقَهُ وَمَاذَا عَمِلَ فِيمَا عَلِمَ ) 
 রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামাত দিবসে পাঁচটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ হওয়ার আগপর্যন্ত আদম সন্তানের পদদ্বয় আল্লাহ্ তা'আলার নিকট হতে সরতে পারবে না। তার জীবনকাল সম্পর্কে, কিভাবে অতিবাহিত করেছে? তার যৌবনকাল সম্পর্কে, কি কাজে তা বিনাশ করেছে; তার ধন-সম্পদ সম্পর্কে, কোথা হতে তা উপার্জন করেছে এবং তা কি কি খাতে খরচ করেছে এবং সে যত টুকু জ্ঞান অর্জন করেছিল সে মুতাবিক কি কি আমল করেছে।
(সুনানু তিরমিযি-২৪১৬)


স্বামীকে নিয়ে সুন্দরভাবে সংসার পরিচালনা করুন।জ্বীনের প্রভাব রয়েছে কি না? সে সম্পর্কে জানতে ভালো কোনো মুদাব্বিরের শরণাপন্ন হোন।দ্বীনের পথে আসার পর আর উল্টো দিকে ফিরে যাবেন না।দ্বীন ইসলামই একমাত্র শান্তির ধর্ম।



(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+3 votes
1 answer 297 views
0 votes
1 answer 197 views
...