আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
215 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (11 points)
edited by
(অনেক বড় পোস্ট তাই আগেই ক্ষমা চাচ্ছি। প্লিজ আমাকে এক্টু সময় নিয়ে পড়ে উত্তম সাজেশন দিন।)

আসসালামু আলাইকুম। আমার বিয়ে হয়েছে ৮ মাস। ৩ মাস পর উঠিয়ে নেওয়া হয়। আমার শ্বশুর বিয়ের আগে বলেন দেনমোহর বাবদ আমাকে ২ লাখ টাকা বা সর্বোচ্চ ৩ লাখ দিবেন উনার ছেলে আর ৫ ভরি গহনা (উসুল না) দেওয়া হবে। পরে আমার আব্বু আমার সাথে কথা বলে ফাতেমি মোহরানা আর ৫ ভরি গহনার কথা বলে দেন উনাদের৷ ওয়ালিমা ৩ মাস পর ছিল। সেখানেও নানা সমস্যা যেটা এখন আর উল্লেখ করলাম না। কিন্তু ওয়ালিমার আগে আমার ননাশ বললেন তেমন কোনো গহনা উনারা দিতে পারবেন না। আমি তখন জানালাম ৫ ভরি গহনা দেওয়ার কথা। তখন তাদের পুরো পরিবার বললেন তারা এসব কেউ জানেন না। আমার স্বামীও জানতেন না। শুধু উনার বাবা বিয়েটা হওয়ার জন্যে (বা কেন আল্লাহ জানেন) এই কথা বলছেনে। তখন আমাদের অসন্তোষ থাকা সত্ত্বেও আমি কোনো ঝামেলা করতে  চাইলাম না। বিয়েতে তারা আমাকে এক আনা গহনাও দেন নি। এর আগে আমার স্বামী আমাকে আগে নাকফুল আর শুধু একটা আংটি দিয়েছিলেন আক্বদের রাতে। প্রসঙ্গত: আমার স্বামী ফার্স্ট ক্লাস জব করেন। আর আমার বাবাও। এর আগে আমার পুরো পরিবারে আমার সমসাময়িক কারোর এমনকি আমার মায়েরও এভাবে বিয়ে করার নজির নেই। তাই সবার অনেক হা-হুতাশ আমাকে শুনতে হচ্ছিলো। যেসব কারণে আমার মধ্যেও আক্ষেপ ও মানসিক চাপ তৈরি হচ্ছিল। যদিও এসবের জন্যে কাউকে কিছু বলিনি। কারণ আমার আব্বু বলেছিল চুপচাপ থাকতে। ছোটখাট ব্যাপারগুলো আর উল্লেখ করলাম না যেগুলায় আমার পরিবার আর আমি অনেক শকড হয়েছিলাম। তারা(আমার শ্বশুর-শাশুড়ি) বিয়ের আগে অনেক কুরআন-সুন্নাহর কথা বলতেন। বিয়ের ওয়ালিমায় পরে উনারা কথা পালটে ফেলেন। চাচ্ছিলেন আমার বাবা যেন উনাদের অনেক মানুষ খাওয়ান। পরে তাই হলো। এখনো আমার শ্বশুর আমার বাবার সব টাকা ফেরত দেন নি। (যেটা আমার হাজবেন্ড জানেন না।) শুধু দ্বীনদার নয় দেখে এর আগে আমি অনেক প্রপোজাল ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। আমার হাজবেন্ড এর দ্বীন ছিল তাঁকে বিয়ে করার মূল উদ্দেশ্য। তাঁর ব্যাপারে আমি এখনো আলহামদুলিল্লাহ বলি। তিনি দ্বীনের অন্যান্য বিষয়ে আমার থেকে অনেক আগানো। আসতে আসতে তাঁর পরিবারের মানুষের রুচিবোধ আমাকে কষ্ট দিতে থাকে৷ আমি ভয়ংকর ডিপ্রেশনে পড়ে যাই। নিজের স্বামী যার সাথে মাসে ৩-৪ দিনের বেশি থাকা হয়নি। তাঁকেও আমি বলতে পারতাম না যে উনার আম্মু আব্বু হেসে হেসে আমাকে ইন্সাল্ট করেন। বিয়ের আগে কোনো ব্যাপার লুকোইনি নিজের ব্যাপারে৷ আমি চাইতাম সৎ থাকতে। সেই আমি আর আমার পরিবার বিয়ের পর আমার শ্বশুর-শাশুড়িকে নিয়ে মানুষের কাছে নানা কথা শুনতে লাগলাম। উনাদের গ্রামের বাড়ি আমার গ্রামের বাড়ির কাছে। তাই আব্বু মানুষকে দাওয়াত দিতে গেলে আস্তে আস্তে এসব কানে আসতে লাগ্লো আর আব্বু চিন্তিত হচ্ছিল। তাও আমি আব্বুকে পজিটিভ থাকতে এনকারেজ করলাম। কিন্তু ওয়ালিমার পর তাদের সাথে মাত্র এক সপ্তাহ থেকে বুঝলাম তাদের সাথে আমার মন-মানসিকতা কিছুই মিলেনা। আমার শাশুড়ি আমার আব্বুকে ওয়ালিমার ২য় দিন ফোন দিয়ে আমার নামে বিচার দিয়ে বসে। আর দুধ-কলা(লোকাল ট্র‍্যাডিশন) নামের কিছু জিনিস খুঁজেন। এই জন্যে আমি অনেক রাগ করি আমার হাজবেন্ডের সাথে। কারণ কোনোদিন এমন পরিবারে বিয়ে করতে চাইনি যাদের ছেলের শ্বশুরবাড়ির জিনিসের প্রতি লোভ থাকে। পরে আমার কথা ভেবে আমার আব্বু আম্মু ফিরানি পিঠা সামগ্রী, দুধ-কলা সব পাঠিয়ে দিলেন। ওই ৭ দিন ছিল আমার জন্যে বিভীষিকাময়। একা একা অনেক কান্না করসি ওই ঘটনার পর। (এর আগে আমার বাবা মা হজ্জ্বে যখন গেসেন আসার সময় আমার শ্বশুর বাড়ির প্রত্যেকের জন্য অনেক দামি দামি হাদিয়া এনেছিলেন। আমার সেসবে সমস্যা ছিল না বা কষ্ট লাগেনি। কারণ সবার জন্যেই আন্সেন অল্প বিস্তর। আর স্বেচ্ছায় দিয়েছিলাম আমরা।) আমার তখনো পড়াশুনা শেষ হয়নি৷ তাই আমি আবার ঢাকায় আমার বাবার বাসায় ব্যাক করি। দেন আবার যাই নভেম্বর মাসে। আমার হাজবেন্ড অন্য আরেক জেলায় জব করেন। তাই আমি একাই ছিলাম আমার শ্বশুর-শাশুড়ি-ননদের সাথে। তাদের বাসা থাকাকালীন আমি একদিন আমার নানুরবাড়ি যাই আমার অসুস্থ নানা-নানুকে দেখতে৷ আসার পর আমার শাশুড়ী বলেন আমি যেন উনাদের বাসা থেকে আমার কোনো আত্মীয়ের বাসায় না যাই। আমার শ্বশুর বলেন আমার দাদার বাড়ির মানুষ ওল্ড টাইপ তাই তাদের সাথে এখন আর এত যোগাযোগের দরকার নেই। তখন আমি বলি এটা সম্ভব না। উনারা যেমনই হোক আমার নিজের রক্ত। এসব বললে আমি উনাদের বাসায়ই আসবো না এটা বলি। আমার শাশুড়ির শুধু রান্না করতাম না আর সব কাজ আমি একা করতাম তাও আমার শাশুড়ি একদিন বলেন কি বঊ আনসেন যে তার (আমার) সেবা করা লাগতেসে। আবার আমার শাশুড়ি তখনো বলেন আমার বাবা-মা আমাকে কি দিসেন? একবার আমার হাজবেন্ড এর সামনে তখন তিনি চুপ ছিলেন তাই আমিও চুপ ছিলাম। আমার স্বামীর নিশ্চুপ থাকা যদিও আমাকে আরো বেশি কষ্ট দিয়েছিল। এটা আর এর বাইরেও কিছু কারণে উনার প্রতিও আর আগের মতো নিখাদ ভালোবাসা ও সম্মান আসছিল না মনে মনে। পরেরবার আমাকে আবার বললে আমি বলসি আমার বাবা আমাকে সারাজীবন এত কষ্ট করে পড়াইসেন এখন আমি এটা চিন্তা করিনা যে আমার বাবা আমাকে কি দিসেন বরং ভাবি আমি কি দিতে পারসি। আমার বাবারা আমাকে দেড় ভরি ওজনের গহনা দিয়েছিলেন। আমি নিজেই সেটা নিতে অস্বীকার জানিয়েছিলাম। কিন্তু আমার শাশুড়ির সেটা নিয়ে প্রশ্ন করার কোনো রাইট আছে বলে আমি মনে করিনা। এই প্রশ্নের কারণে আমার বাবা বিয়ের পর আমাকে যাই দিসে আমি কিছুই আমার শ্বশুরবাড়ি নিতাম না। আমার বাবা কিন্তু আমার হাজবেন্ডকে দামী ঘড়ি, একটা হাফ ভরি চেইন, অনেকবার পাঞ্জাবি সেট, ব্যাগ হেন্তেন অনেক কিছু কিনে দিতেন৷ নিজের ছেলের মতো যেটা মনে হতো আমার জামাইর নেই সেটা কিনে দিতেন। এমনকি আমার হাজবেন্ডকে একবার ২০ হাজার টাকা স্বেচ্ছায় দিয়েছেন এইজন্যে যে তাঁর কাছে হয়তো কর্মস্থলের প্রোগ্রামের জন্যে এনাফ টাকা নেই। এই প্রোগ্রামের সময় আমার হাজবেন্ডের কর্মস্থলে আমি যাই সে বলায়। আমি যাওয়ার কারণে আমার শাশুড়ি তার সাথে আর আমার সাথে কথা বলা অফ করে দেয়। বিয়ের পর আমরা কোথাও ঘুরতে যাইনাই। আমার হাজবেন্ডের সাথে আমি একা সময় কাটাইসি মাত্র ৭ দিন। আমার শাশুড়ি আমি ঢাকায় ব্যাক করার পর কল দেন আর আমাকে বলেন আমার মন ছোট৷ তাই আমি একা একা আমার হাজবেন্ডের কাছে গেছি৷ উনাকে বলিনাই। তাও সব তুই -তোকারি করে। আমি সব চুপচাপ শুনে যাই। আর উনাকেও কিছু বলিনি। বলসি আম্মু আপনার এখন মাথা গরম তাই কিছু বলবো না। আমি নিজের হাজবেন্ড বা আমার মা বাবা কাউকেই জানাই নাই যে উনি খারাপ খারাপ কি বলসেন। এর আগেও আমার হাজবেন্ডকে জানাতাম না তার আব্বু আম্মু আমাকে কি বলসেন না বলসেন। মন খারাপ থাকতো৷ শুধু কাঁদতাম একা একা। একজনের বাবা মায়ের নামে কিভাবে তার কাছে বলি? এমন লাগতো। আর উনি অনেক প্রেশারে থাকতেন জব+পড়াশুনা+দ্বীনের কাজ নিয়ে। সব শেষে আমি নভেম্বরে কন্সিভ করি। আর তখন আমাদের বাসায় ছিলাম। আমার শ্বশুরবাড়িতে আমার এক্সাম শেষে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু আমার ব্লিডিং হওয়ায় আর যাওয়া হয়নি। আমার শ্বশুর-শাশুড়ি জানুয়ারিতে আমাকে নিতে এসেছিলেন এই অবস্থা দেখে আমার হাজবেন্ড মানা করেন। এভাবে আর যাওয়া হয়নি। কিন্তু আমার শাশুড়ি আমাকে আর আমার হাজবেন্ডকে নানা অনুযোগ করেন কেন যাচ্ছিনা। পরে আমি আর আমার হাজবেন্ড সম্মত হই ডাক্তার এপ্রুভাল দিয়েছে তাই এই রোজার মাসে যাবো। কিন্তু হুট করে গত দুইদিন আগে আমার বাবাকে আমার শাশুড়ি কল দেন যেটা আমার আম্মু ধরেন। তখন তিনি অশ্রাব্য ভাষায় আমার আম্মুর সাথে কথা বলেন। বলেন যে, ঈদ রোজা আসতেসে।(ইংগিত দেন) আমার আম্মু কেন আমাকে কিছু দেয়নাই বিয়েতে? "রূপা দিসোস, স্বর্ণ না। তোর মেয়েরে গছাই দিসোস। তোর মেয়ে আটকে গেসিলো" এভাবে যা না তা তুই তোকারি এসব বলেন এমনকি মিথ্যে বলেন যে উনি আমাকে ১০ ভরি স্বর্ণ দিসেন৷(ওয়ালিমার রাতে জাস্ট আমার বাবা আসেন আর আমার ননাশের গহনা পরান আমাকে। আবার পরদিন নিয়ে যান।) এই ব্যবহারের পর আম্মু বলসেন আপনি আমার বেয়াইন আপনি কিভাবে আমাকে তুই করে বলেন। আমি এসব আমাদের জামাইকে জানাবো। আমার আম্মু অনেক কান্না করেন, আমার হাজবেন্ডকে সব জানান। উনি আম্মুর কাছে মাফ চান। পরে উনাদের আমার হাজবেন্ড বলসেন আমাদের বাসা থেকে কিছু যাবেনা আর এই ব্যাপারেও আমাদের সাথে কথা নেই। তবে আমার হাজবেন্ড আম্মুকে কল দিয়ে বলেন এক পয়সার জিনিসও যেন আমার শ্বশুরবাড়ি না যায়। ( তাদের সবার জন্যে আমরা জামা-কাপড় কিনি। আমার অপছন্দ সত্ত্বেও ইফতার কিনবেন আমার বাবা-মা ঠিক করেন। যেন শ্বশুরবাড়ির কেউ কিছু না বলতে পারে।) আমাকে ম্যাসেজ দিয়ে বলেন আমি যেন তাকে ম্যাসেজ না দেই। আর সে আবার বিয়ে করবে যেন তার বাবা মায়ের পেট ভরাতে পারে। আমি বলে দেই এসব আমি মানবো না। আর তার সাথে আমার কিছু হয়নি তাই তাকেও আমি ফোন করবো। এখন তার সাথে আমার কথা হয় ম্যাসেজে। কিন্তু আমিও জানি সব আগের মত নেই। আমার হাজবেন্ডের দুদিন পর এক্সাম দেখে আমি আমার বাসার সবাইকে বলসি এই দুদিন এটলিস্ট বেচারা পড়ুক৷ আমারা চুপ থাকবো৷ আমার শ্বশুরবাড়ি থেকে আমাকে কল দেওয়া হয় আমি ধরিনি। কথা আসেনা। এখন আমার হাজবেন্ড আমাকে বলছেন যে আমাকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি যাবেন। কিন্তু আমার আব্বু বলসেন উনি যেন আসেন আমাদের বাসায় আমার আব্বু কথা বলতে চান। কিন্তু আমার হাজবেন্ড আসতে চান্না। আমরা আমাদের পরিবারের বাইরে কাউকে কিছু বলিনি। আমার বাবা মা খুব চিন্তিত যে কোথায় গিয়ে বিয়ে হল। আমিও খুব চিন্তিত, সামনে কি হবে? আমি কিভাবে আচরণ করবো? এই মানুষ গুলোর প্রতি আমার রেস্পেক্ট নষ্ট হয়ে গেসে। কথা বলার রুচি দিচ্ছেনা। আমার শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে আমার একসাথে থাকতে আর মন সায় দিচ্ছেনা। এই রোজার মাসে তো নাই। যতবার উনাদের দিকে তাকাবো মনে হবে আমার বাবা মাকে কি বলসে না বলসে। আমাকে একটু বলুন আমি কি করতে পারি? আমার ভেতরটা ফেটে যাচ্ছে। তিনটা দিন আমি মানসিক শান্তিতে নাই না আমার বাসার কেউ আছে। আমাকে উত্তম নাসীহাহ দিন। এই মানুষদের ট্যাকেল করার মতো আমার কোন বুদ্ধি নেই। আমি তেমন কথাবার্তায়ও পটু না। শুধু মে বি কাঁদতেই পারি।


আমার জন্যে একটু খাস দিলে দোয়া করবেন উস্তাদ। আর ঈমান-আমলে পিছিয়ে থাকার কারণে আমার জীবনে এসব পরীক্ষা নেমে আসছে? এসব কি আমার নিজেরই গুনাহ আর দুই হাতের কামাই? আমি চাইনা আমার হাজবেন্ডের সাথে আমার সম্পর্কের যে অবনতি হয়েছে বা উনার প্রতি আমার আস্থা-ভালোবাসা যা হারাইসে তা এমন থাকুক।
জাযাকাল্লাহু খইরন।

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
وَضَرَبَ اللَّهُ مَثَلًا لِّلَّذِينَ آمَنُوا امْرَأَتَ فِرْعَوْنَ إِذْ قَالَتْ رَبِّ ابْنِ لِي عِندَكَ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ وَنَجِّنِي مِن فِرْعَوْنَ وَعَمَلِهِ وَنَجِّنِي مِنَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ
আল্লাহ তা’আলা মুমিনদের জন্যে ফেরাউন-পত্নীর দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন। সে বললঃ হে আমার পালনকর্তা! আপনার সন্নিকটে জান্নাতে আমার জন্যে একটি গৃহ নির্মাণ করুন, আমাকে ফেরাউন ও তার দুস্কর্ম থেকে উদ্ধার করুন এবং আমাকে যালেম সম্প্রদায় থেকে মুক্তি দিন।(সূরা তাহরীম-১০-১১)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দেখুন, আল্লাহ তা'আলা একজন নির্যাতিত মহিলার কতইনা সুন্দর দৃষ্টান্ত দিচ্ছেন। সুতরাং আপনাকে বলবো যে, আপনি ধৈর্য্য সহকারে আল্লাহ তা'আলার ইবাদত করুন। ইনশা'আল্লাহ, আল্লাহ আপনার সহায় হবেন।আপনি নিজের সাথে আসিয়ার তুলনা করে দেখুন তো, তিনি কি আপনার চেয়ে কম নির্যাতিত ছিলেন? সুতরাং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান এবং সাহায্য চান।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (11 points)
edited by
জাযাকাল্লাহু খইরন মুহতারাম। আমি যদি মনে কষ্টের কারণে আমার শ্বশুর শাশুড়ির সাথে কিছুদিন কথা না বলি, তাদের খোঁজ খবর না নেই সেটা কি আমার জায়গা থেকে অন্যায়? (স্বাভাবিক দৃষ্টিতে) আর শরীয়ত অনুযায়ী উনাদের সাথে কথা না বলা কি আমার জন্যে গুনাহের কারণ? আমি আমার স্বামীকে নিষে করেছি উনি যেন উনার মা বাবার সাথে অন্যায় না করেন। কথা না বলে না থাকেন। কারণ তাদের প্রতি আমার স্বামী দায়বদ্ধ। 
by (583,410 points)
আপনিও আপনার শাশুড় শাশুড়ির সাথে নিজ মাতাপিতার মত আচরণ করবেন। একবার ভাবুন, আপনিও একদিন শাশুড়ি হবেন। তখন যদি আপনার পুত্র বধু যদি আপনার সাথে কথা না বলে, তখন আপনার কেমন লাগবে?
তাই যদিও কথা না বললে গোনাহ হবে না, তথাপি নিজের ভালোর জন্য কথা বলাই উচিৎ

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...