আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
127 views
in সালাত(Prayer) by (6 points)
যোহরের সালাতের ওয়াক্ত শাফেয়ী মাযহাব অনুযায়ী হানাফি মাযহাবের তুলনায় অনেক আগে হয়। তাহলে একজন হানাফি মাযহাবের ব্যক্তি যদি শাফেয়ীর সময় মতো যোহর আদায় করে অর্থাৎ হানাফির ওয়াক্ত হওয়ার অনেক আগে তাহলে কী সালাত বাতিল হয়ে যাবে? সময়ের এই পার্থক্য হওয়ার কারণ কী?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নামাযর ওয়াক্ত সম্পর্কে ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত তাহাবী শরীফের একটি হাদীস উল্লেখযোগ্য যাকে পরিভাষায় "হাদীসে ইমামতে জিব্রাইল বলা হয়,যাতে সমস্ত ফরয নামাযের শুরু এবং শেষ ওয়াক্ত সুস্পষ্টরূপে বর্ণিত হয়েছে.......
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَمَّنِي جَبْرَائِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ مَرَّتَيْنِ عِنْدَ بَابِ الْبَيْتِ فَصَلَّى بِي الظُّهْرَ حِينَ مَالَتِ الشَّمْسُ , وَصَلَّى بِي الْعَصْرَ حِينَ صَارَ ظِلُّ كُلِّ شَيْءٍ مِثْلَهُ , وَصَلَّى بِي الْمَغْرِبَ حِينَ أَفْطَرَ الصَّائِمُ , وَصَلَّى بِي الْعِشَاءَ حِينَ غَابَ الشَّفَقُ , وَصَلَّى بِي الْفَجْرَ حِينَ حُرِّمَ الطَّعَامُ وَالشَّرَابُ عَلَى الصَّائِمِ , 
وَصَلَّى بِي الظُّهْرَ مِنَ الْغَدِ حِينَ صَارَ ظِلُّ كُلِّ شَيْءٍ مِثْلَهُ , وَصَلَّى بِي الْعَصْرَ , حِينَ صَارَ ظِلُّ كُلِّ شَيْءٍ مِثْلَيْهِ , وَصَلَّى بِي الْمَغْرِبَ حِينَ أَفْطَرَ الصَّائِمُ , وَصَلَّى بِي الْعِشَاءَ حِينَ مَضَى ثُلُثُ اللَّيْلِ , وَصَلَّى بِي الْغَدَاةَ عِنْدَمَا أَسْفَرَ , ثُمَّ الْتَفَتَ إِلَيَّ فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ الْوَقْتُ فِيمَا بَيْنَ هَذَيْنِ الْوَقْتَيْنِ هَذَا وَقْتُ الْأَنْبِيَاءِ مِنْ قَبْلِكَ "طحاوي
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,আমাকে জিব্রাইল আঃদুই বার ক্বাবা ঘরের সামনে ইমামতি করে নামায পড়ান,(প্রথম দিন)সূর্য ঢলার পর সাথে সাথেই আমাকে সাথে নিয়ে জোহরের নামায পড়ান,এবং প্রত্যেক বস্তুর ছায়া(আসল ছায়া ব্যতীত) যখন এক মিছিল হয় তখন আমাকে নিয়ে আসর পড়েন,এবং যখন রোজাদার ইফতার করে তখন আমাকে নিয়ে মাগরিব পড়েন,এবং যখন পশ্চিম আকাশে( শফকে আবয়ায)দূর হয়ে যায় তখন আমাকে নিয়ে এ'শার নামায পড়েন,(দ্বিতীয় দিন)যখন প্রতিটা বস্তুত ছায়া(আসল ছায়া ব্যতীত)এক মিছল হয়,তখন আমাকে নিয়ে জহরের নামায আদায় করেন,এবং দুই মিছলের পর আমাকে নিয়ে আসরের নামায পড়েন,এবং (প্রথম দিনের মত) রোজাদার যখন ইফতার করেন তখন আমাকে নিয়ে মাগরিবের নামায পড়েন,এবং রাতের এক তৃতীয়াংশ চলে যাওয়ার পর আমাকে নিয়ে এ'শার নামায পড়েন,এবং ভোরের আলো পরিস্কার হওয়ার পর আমাকে নিয়ে ফজরের সালাত পড়লেন।অতঃপর আমার দিকে মনোনিবে করে বললেন,হে মুহাম্মাদ সাঃ নামাযের ওয়াক্ত এ দুই সময়ের মধ্যবর্তী সময়ে।এবং এটাই আপনার পূর্বের নাবী রাসূলদের নামাযের ওয়াক্ত ছিলো। (তাহাবী-৮৯৮)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/5564

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
শাফেয়ী মাযহাব অনুযায়ী যোহরের নামাযের ওয়াক্ত যদি হানাফি মাযহাবের পূর্বে শুরু হয়, তাহলে হানাফি ফিকহের অনুসারীর নামায হবে না। বরং হানাফি ফিকহে যখন নামাযের ওয়াক্ত হবে, তখনই নামায পড়তে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...