আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
38 views
in সালাত(Prayer) by (24 points)

আসসালামু আলাইকুম,

 

১)আসরের ওয়াক্ত কখন শেষ হয়? কিছু জায়গায় শুনি যে আসরের ওয়াক্তের আগে ১৫ বা ২১ মিনিট নিষিদ্ধ সময় থাকে। এখন এই নিষিদ্ধ সময় কি সূর্যাস্ত হওয়ার কারণে হয়। এখন আসরের ওয়াক্ত কতটুকু সময় থাকে এবং নিষিদ্ধ সময় কখন শুরু হয়ে কখন শেষ হয় তা জানতে চাই? 


 

২) সালাত আদায় করার সময় অনেক সময় ঘরের মানুষ কিছু হাস্যরসাত্নক কথা বলে বা তাদের কথোপকথন শুনে অনেকসময় হাসি আসে। হাসি যদি এমন হয় মুখ থেকে হাসির আওয়াজ বের হয় নাই, কিন্তুু চেহারায় কিছু হাসি অবস্থা। এখন ঠিক কতটুকু হাসি আসলে সালাত ভেঙে যাবে না? 

 

৩) এশার ওয়াক্ত অনেক বড় থাকে। এখন কেউ ৯ টায় পড়লে যেই সওয়াব হয় সেই একই সওয়াব কি ১১ টায় পড়লেও হয়? 

 

৪) বর্তমানে রাত ১১.৩০ এর আশেপাশে সময়ের পর থেকে এশা পড়লে কি সেটা কাযা হয়ে যাবে নাকি মাকরুহ হবে?

 

৫) মুদ্রাদোষ জনিত কারণে সালাত টালাত বা নামায টামায বললে কি কেউ কাফের হয়ে যাবে? 

 

জাযাকাল্লাহু খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (676,960 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم  

(০১)
নামাজের ওয়াক্তের শুরু আর শেষ বুঝাতে হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَيَّاشِ بْنِ أَبِي رَبِيعَةَ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ حَكِيمٍ، وَهُوَ ابْنُ عَبَّادِ بْنِ حُنَيْفٍ أَخْبَرَنِي نَافِعُ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَمَّنِي جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ عِنْدَ الْبَيْتِ مَرَّتَيْنِ فَصَلَّى الظُّهْرَ فِي الأُولَى مِنْهُمَا حِينَ كَانَ الْفَىْءُ مِثْلَ الشِّرَاكِ ثُمَّ صَلَّى الْعَصْرَ حِينَ كَانَ كُلُّ شَيْءٍ مِثْلَ ظِلِّهِ ثُمَّ صَلَّى الْمَغْرِبَ حِينَ وَجَبَتِ الشَّمْسُ وَأَفْطَرَ الصَّائِمُ ثُمَّ صَلَّى الْعِشَاءَ حِينَ غَابَ الشَّفَقُ ثُمَّ صَلَّى الْفَجْرَ حِينَ بَرَقَ الْفَجْرُ وَحَرُمَ الطَّعَامُ عَلَى الصَّائِمِ . وَصَلَّى الْمَرَّةَ الثَّانِيَةَ الظُّهْرَ حِينَ كَانَ ظِلُّ كُلِّ شَيْءٍ مِثْلَهُ لِوَقْتِ الْعَصْرِ بِالأَمْسِ ثُمَّ صَلَّى الْعَصْرَ حِينَ كَانَ ظِلُّ كُلِّ شَيْءٍ مِثْلَيْهِ ثُمَّ صَلَّى الْمَغْرِبَ لِوَقْتِهِ الأَوَّلِ ثُمَّ صَلَّى الْعِشَاءَ الآخِرَةَ حِينَ ذَهَبَ ثُلُثُ اللَّيْلِ ثُمَّ صَلَّى الصُّبْحَ حِينَ أَسْفَرَتِ الأَرْضُ ثُمَّ الْتَفَتَ إِلَىَّ جِبْرِيلُ فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ هَذَا وَقْتُ الأَنْبِيَاءِ مِنْ قَبْلِكَ . وَالْوَقْتُ فِيمَا بَيْنَ هَذَيْنِ الْوَقْتَيْنِ " .

ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ জিবরীল (আঃ) কা'বা শরীফের চত্বরে দু'বার আমার নামাযে ইমামতি করেছেন। তিনি প্রথমবার যুহরের নামায আদায় করালেন যখন প্রতিটি জিনিসের ছায়া জুতার ফিতার মত ছিল। অতঃপর তিনি আসরের নামায আদায় করালেন যখন কোন বস্তুর ছায়া তার সমান ছিল। অতঃপর মাগরিবের নামায আদায় করালেন যখন সূর্য ডুবে গেল এবং যে সময়ে রোযাদার ইফতার করে। অতঃপর ইশার নামায আদায় করালেন যখন লাল বর্ণ অদৃশ্য হয়ে গেল। অতঃপর ফযরের নামায আদায় করালেন যখন ভোর বিদ্যুতের মত আলোকিত হল এবং যে সময় রোযাদারের উপর পানাহার হারাম হয়। তিনি (জিবরীল) দ্বিতীয় এবং পূর্ববর্তী দিন ঠিক যে সময় আসরের নামায আদায় করেছিলেন। অতঃপর আসরের নামায আদায় করালেন যখন কোন বস্তুর ছায়া তার দ্বিগুণ হল। অতঃপর মাগরিবের নামায আদায় করালেন পূর্বের দিনের সময়ে। অতঃপর ‘ইশার নামায আদায় করালেন যখন রাতের এক-তৃতীয়াংশ চলে গেল এবং ফযরের নামায আদায় করালেন যখন যমিন আলোকিত হয়ে গেল। অতঃপর জিবরীল (আঃ) আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, হে মুহাম্মাদ! এটাই হল আপনার পূর্ববর্তী নবীদের (নামাযের) ওয়াক্ত। নামাযের ওয়াক্ত এই দুই সীমার মাঝখানে। 
(হুকুমঃ হাসান সহীহ।)
 (তিরমিজি ১৪৯ মিশকাত— (৫৮৩), ইরওয়া— (২৪৯), সহীহ আবু দাউদ- (৪১৬)।
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
সূর্যাস্ত হলে আসরের ওয়াক্ত শেষ হয়ে যায়।
এরপর প্রায় ৫ মিনিটের মতো নিষিদ্ধ ওয়াক্ত থাকে।তারপর মাগরিবের ওয়াক্ত শুরু হয়।
,
ইসলামী ফাউন্ডেশনের স্থায়ী ক্যালেন্ডার এর সহযোগীতা নিয়ে আপনাদের এলাকার সূর্যাস্ত এর টাইম সম্পর্কে জেনে নিবেন।     
,
আরো জানুনঃ 

এক্ষেত্রে সেই দিনের আসরের নামাজ আদায়ের মাঝে সূর্যাস্ত হলেও সেই নামাজ হয়ে যাবে।

এ সংক্রান্ত জানুনঃ- 

(০২)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা। 

(০৩)
হ্যাঁ, একই ছওয়াব হবে।
তবে মধ্য রাতের পর আদায় করলে একই ছওয়াব হবেনা। সেই সময় ইশার নামাজ আদায় করলে তাহা মাকরুহের সহিত আদায় হবে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৪)
এক্ষেত্রে ইশার নামাজ আদায় হয়ে যাবে।

(০৫)
এতে কেউ কাফের হয়ে যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 63 views
...