আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
89 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (10 points)
আসসালামুআলাইকুম শাইখ, আট বছরের একজন বাচ্চা আমার পরিচিত একজন বোনকে নিম্নোক্ত প্রশ্ন গুলো করেছে সে সঠিক উত্তর দিতে অপারগ ছিলেন। সঠিক উত্তর দিয়ে উপকৃত করবেন ইনশাআল্লাহ।
১.জিবরাইল(আ)এর তো এখন কোনো কাজ নেই যেহেতু নবী- -রাসুলরা নেই। তাহলে তিনি এখন কী করেন?

২.আল্লাহ তায়ালা কেনো আরবি ভাষায় কথা বললেন?

চাইলে তো বাংলা,ইংরেজি, উর্দু, ফার্সিতেও বলতে পারতো?বললো না কেনো?

 ৩.আল্লাহ তো আমাদের সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদতের জন্য।তাহলে এত মানুষ কেনো সৃষ্টি করেছেন?কম করলেও তো পারতেন

৪.মানুষ মারা গেলে কেনো কবর দেয়? অন্য কিছু তো করা যেতো। কবর দেওয়াটাই কেনো ভালো মনে হয়?

1 Answer

0 votes
by (714,280 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَلَا تَقْفُ مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ ۚ إِنَّ السَّمْعَ وَالْبَصَرَ وَالْفُؤَادَ كُلُّ أُولَـٰئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْئُولًا
যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তার পিছনে পড়ো না। নিশ্চয় কান, চক্ষু ও অন্তঃকরণ এদের প্রত্যেকটিই জিজ্ঞাসিত হবে।(সূরা বনি ইসরাঈল ৩৬)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
হযরত জিবরাঈল আঃ এর দায়দায়িত্ব তা সঠিক ভাবে বলা যাবে না।এ সম্পর্কে আমাদের কোনো ইলম নেই। আল্লাহই ভালো জানেন তিনি বর্তমানে কোনো কাজে উনাকে ব্যস্ত রেখেছেন।তবে হাদীস থেকে বুঝা যায় যে, হযরত জিবরাঈল আঃ এর দায়দায়িত্ব এখনো শেষ হয়নি। বরং তিনি এখনো বিশেষ দায়িত্বে আছেন।যেমন একটি হাদীসে বর্ণিত রয়েছে,

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ إِذَا أَحَبَّ عَبْدًا دَعَا جِبْرِيلَ فَقَالَ إِنِّي أُحِبُّ فُلاَنًا فَأَحِبَّهُ - قَالَ - فَيُحِبُّهُ جِبْرِيلُ ثُمَّ يُنَادِي فِي السَّمَاءِ فَيَقُولُ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ فُلاَنًا فَأَحِبُّوهُ . فَيُحِبُّهُ أَهْلُ السَّمَاءِ - قَالَ - ثُمَّ يُوضَعُ لَهُ الْقَبُولُ فِي الأَرْضِ . وَإِذَا أَبْغَضَ عَبْدًا دَعَا جِبْرِيلَ فَيَقُولُ إِنِّي أُبْغِضُ فُلاَنًا فَأَبْغِضْهُ - قَالَ - فَيُبْغِضُهُ جِبْرِيلُ ثُمَّ يُنَادِي فِي أَهْلِ السَّمَاءِ إِنَّ اللَّهَ يُبْغِضُ فُلاَنًا فَأَبْغِضُوهُ - قَالَ - فَيُبْغِضُونَهُ ثُمَّ تُوضَعُ لَهُ الْبَغْضَاءُ فِي الأَرْضِ " 
 তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ যখন কোন বান্দাকে ভালবাসেন তখন জিবরীল (আলাইহিস সালাম) কে ডেকে পাঠান এবং বলেন, আমি অমুককে ভালবাসি, তুমিও তাকে ভালবাস। তিনি বলেন, তখন জিবরীল (আলাইহিস সালাম) তাকে ভালবাসেন। এরপর তিনি আসমানে ঘোষণা দিয়ে বলেন, নিশ্চয়ই আল্লহ অমুককে ভালবাসেন, সুতরাং আপনারাও তাকে ভালবাসুন। তখন আসমানের অধিবাসীরা তাকে ভালবাসে। তিনি বলেন, এরপর পৃথিবীবাসীর অন্তরে তার গ্রহনযোগ্যতা স্থাপিত হয়, (সে মকবুল বান্দা হিসেবে গণ্য হয়)।
আর আল্লাহ যখন কোন বান্দাকে অপছন্দ করেন তখন জিবরীল (আলাইহিস সালাম) কে ডেকে বলেন, আমি অমুক বান্দাকে অপছন্দ করি, তুমিও তাকে অপছন্দ কর। তিনি বলেন, তখন জিবরীল (আলাইহিস সালাম) তাকে অপছন্দ করেন। এরপর তিনি আসমানের অধিবাসীদের প্রতি ঘোষণা দিয়ে বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা অমুককে অপছন্দ করেন। সুতরাং আপনারাও তাকে অপছন্দ করুন। তিনি বলেন, তখন তারা তার তাকে অপছন্দ করেন। এরপর পৃথিবীবাসীর অন্তরে তার প্রতি অপছন্দনীয়তা স্থাপিত হয়। (সহীহ মুসলিম-৬৪৬৫)

(২)
আল্লাহ কেন আরবী ভাষাকে বাচাই করলেন,তা আল্লাহই ভালো জানেন।

(৩)
আল্লাহর ইবাদতের কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই। বরং মানুষ তার প্রয়োজনে সে আল্লাহর ইবাদত করে। আল্লাহ জান্নাত জাহান্নাম তৈরী করার পর সেখানে কাকে দিবেন,তা জানা সত্বেও পরীক্ষার জন্য এবং মানুষের প্রশ্নের নিষ্পত্তির জন্যই দুনিয়াতে কিয়ামত পর্যন্ত মানুষ প্রেরণ করবেন।


(৪)
এটাও আল্লাহর হুকুম। আল্লাহর হুকুম নিয়ে কোনো প্রশ্ন করা যাবে না।হেকমত আল্লাহই ভালো জানেন। হ্যা, এতটুকু বলা যায় যে, মৃত মানুষকে মাঠি দেয়া ব্যতিত সুন্দর আর কোনো পদ্ধতি নাই। যদি মানুষদের মাঠি দেয়া না হত, তাহলে এই দুনিয়া অনেক আগেই দুর্গন্ধময় হয়ে ভাইরাস তৈরী হয়ে লোকজন দলে দলে মারা যেত।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (714,280 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 137 views
...