ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَلَا تَقْفُ مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ ۚ إِنَّ السَّمْعَ وَالْبَصَرَ وَالْفُؤَادَ كُلُّ أُولَـٰئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْئُولًا
যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তার পিছনে পড়ো না। নিশ্চয় কান, চক্ষু ও অন্তঃকরণ এদের প্রত্যেকটিই জিজ্ঞাসিত হবে।(সূরা বনি ইসরাঈল ৩৬)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
হযরত জিবরাঈল আঃ এর দায়দায়িত্ব তা সঠিক ভাবে বলা যাবে না।এ সম্পর্কে আমাদের কোনো ইলম নেই। আল্লাহই ভালো জানেন তিনি বর্তমানে কোনো কাজে উনাকে ব্যস্ত রেখেছেন।তবে হাদীস থেকে বুঝা যায় যে, হযরত জিবরাঈল আঃ এর দায়দায়িত্ব এখনো শেষ হয়নি। বরং তিনি এখনো বিশেষ দায়িত্বে আছেন।যেমন একটি হাদীসে বর্ণিত রয়েছে,
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ إِذَا أَحَبَّ عَبْدًا دَعَا جِبْرِيلَ فَقَالَ إِنِّي أُحِبُّ فُلاَنًا فَأَحِبَّهُ - قَالَ - فَيُحِبُّهُ جِبْرِيلُ ثُمَّ يُنَادِي فِي السَّمَاءِ فَيَقُولُ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ فُلاَنًا فَأَحِبُّوهُ . فَيُحِبُّهُ أَهْلُ السَّمَاءِ - قَالَ - ثُمَّ يُوضَعُ لَهُ الْقَبُولُ فِي الأَرْضِ . وَإِذَا أَبْغَضَ عَبْدًا دَعَا جِبْرِيلَ فَيَقُولُ إِنِّي أُبْغِضُ فُلاَنًا فَأَبْغِضْهُ - قَالَ - فَيُبْغِضُهُ جِبْرِيلُ ثُمَّ يُنَادِي فِي أَهْلِ السَّمَاءِ إِنَّ اللَّهَ يُبْغِضُ فُلاَنًا فَأَبْغِضُوهُ - قَالَ - فَيُبْغِضُونَهُ ثُمَّ تُوضَعُ لَهُ الْبَغْضَاءُ فِي الأَرْضِ "
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ যখন কোন বান্দাকে ভালবাসেন তখন জিবরীল (আলাইহিস সালাম) কে ডেকে পাঠান এবং বলেন, আমি অমুককে ভালবাসি, তুমিও তাকে ভালবাস। তিনি বলেন, তখন জিবরীল (আলাইহিস সালাম) তাকে ভালবাসেন। এরপর তিনি আসমানে ঘোষণা দিয়ে বলেন, নিশ্চয়ই আল্লহ অমুককে ভালবাসেন, সুতরাং আপনারাও তাকে ভালবাসুন। তখন আসমানের অধিবাসীরা তাকে ভালবাসে। তিনি বলেন, এরপর পৃথিবীবাসীর অন্তরে তার গ্রহনযোগ্যতা স্থাপিত হয়, (সে মকবুল বান্দা হিসেবে গণ্য হয়)।
আর আল্লাহ যখন কোন বান্দাকে অপছন্দ করেন তখন জিবরীল (আলাইহিস সালাম) কে ডেকে বলেন, আমি অমুক বান্দাকে অপছন্দ করি, তুমিও তাকে অপছন্দ কর। তিনি বলেন, তখন জিবরীল (আলাইহিস সালাম) তাকে অপছন্দ করেন। এরপর তিনি আসমানের অধিবাসীদের প্রতি ঘোষণা দিয়ে বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা অমুককে অপছন্দ করেন। সুতরাং আপনারাও তাকে অপছন্দ করুন। তিনি বলেন, তখন তারা তার তাকে অপছন্দ করেন। এরপর পৃথিবীবাসীর অন্তরে তার প্রতি অপছন্দনীয়তা স্থাপিত হয়। (সহীহ মুসলিম-৬৪৬৫)
(২)
আল্লাহ কেন আরবী ভাষাকে বাচাই করলেন,তা আল্লাহই ভালো জানেন।
(৩)
আল্লাহর ইবাদতের কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই। বরং মানুষ তার প্রয়োজনে সে আল্লাহর ইবাদত করে। আল্লাহ জান্নাত জাহান্নাম তৈরী করার পর সেখানে কাকে দিবেন,তা জানা সত্বেও পরীক্ষার জন্য এবং মানুষের প্রশ্নের নিষ্পত্তির জন্যই দুনিয়াতে কিয়ামত পর্যন্ত মানুষ প্রেরণ করবেন।
(৪)
এটাও আল্লাহর হুকুম। আল্লাহর হুকুম নিয়ে কোনো প্রশ্ন করা যাবে না।হেকমত আল্লাহই ভালো জানেন। হ্যা, এতটুকু বলা যায় যে, মৃত মানুষকে মাঠি দেয়া ব্যতিত সুন্দর আর কোনো পদ্ধতি নাই। যদি মানুষদের মাঠি দেয়া না হত, তাহলে এই দুনিয়া অনেক আগেই দুর্গন্ধময় হয়ে ভাইরাস তৈরী হয়ে লোকজন দলে দলে মারা যেত।