আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
145 views
in সালাত(Prayer) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ
তোমরা তাদের অনুসরণ কর যারা তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চায় না আর তারা সৎপথপ্রাপ্ত’।
সূরা ইয়াসীন আয়াত ২১

৩৩৮১. আবূ বকর ইবন আবূ শায়বা (রহঃ) ..... উবাদা ইবন সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি আহলে-সুফ্‌ফার কিছু লোককে লেখা এবং কুরআন পড়া শিখাতাম। তখন তাদের একজন আমার জন্য একটি ধনুক হাদিয়া হিসাবে প্রেরণ করে। তখন আমি ধারণা করি যে, এ তো কোন মাল নয়, আমি এ দিয়ে আল্লাহ্‌র রাস্তায় তীরন্দাযী করবো। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হয়ে তাঁকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করিঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি যাদের কুরআন পড়া এবং লেখা শেখাই, তাদের একজন আমাকে হাদিয়া হিসাবে একটি ধনুক প্রদান করেছে, যা কোন মালই নয়। আমি এ দিয়ে আল্লাহ্‌র রাস্তায় তীরন্দাযী করব। তিনি বলেনঃ তুমি যদি তোমার গলায় জাহান্নামের কোন বেড়ী পরাতে চাও, তবে তুমি তা গ্রহণ কর।

সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)

১. এই দুইটি আয়াত ও হাদীস এর ব্যাখ্যা জানতে চাই ।
২. ইমাম এবং মুয়াজ্জিন বেতন নিতে পারবেন কিনা ?

৩. কুরআন শিক্ষা দিয়ে বিনিময় গ্রহণ করা যাবে কিনা ?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَ جَآءَ مِنۡ اَقۡصَا الۡمَدِیۡنَۃِ رَجُلٌ یَّسۡعٰی قَالَ یٰقَوۡمِ اتَّبِعُوا الۡمُرۡسَلِیۡنَ ﴿ۙ۲۰﴾ 

আর নগরীর প্রান্ত থেকে এক ব্যক্তি ছুটে আসল, সে বলল, হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা রাসূলদের অনুসরণ কর।
(সুরা ইয়াসিন ২০)

اتَّبِعُوۡا مَنۡ لَّا یَسۡـَٔلُکُمۡ اَجۡرًا وَّ ہُمۡ مُّہۡتَدُوۡنَ ﴿۲۱﴾

অনুসরণ করা তাদের, যারা তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চায় না এবং যারা সৎপথপ্ৰাপ্ত।

কাতাদাহ রাঃ বলেন, সে ব্যক্তি যখন রাসূলদের কাছে এসে পৌঁছলেন তখন তিনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা কি তোমাদের এ কাজের বিনিময়ে কোন পারিশ্রমিক চাও? তারা বলল, না। তখন সে বলল, হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা রাসূলদের অনুসরণ কর। অনুসরণ করা তাদের, যারা তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চান না, আর তারা তো সৎপথপ্ৰাপ্ত। [তাবারী]


হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَعَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ رَجُلٌ أَهْدَى إِلَيَّ قَوْسًا مِمَّنْ كُنْتُ أُعَلِّمُهُ الْكِتَابَ وَالْقُرْآنَ وَلَيْسَتْ بِمَالٍ فَأَرْمِي عَلَيْهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ قَالَ: «إِنْ كُنْتَ تُحِبُّ أَنْ تُطَوَّقَ طَوْقًا مِنْ نَارٍ فَاقْبَلْهَا» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه

‘উবাদাহ্ ইবনুস্ সামিত (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমি এক লোককে লেখা এবং কুরআন শিক্ষা দিয়েছিলাম, সে আমার জন্য একটি ধনুক উপহার দিয়েছে, যা মূল্যবান কোনো মাল নয়। সুতরাং আমি কি জিহাদে ঐ ধনুক ব্যবহার করতে পারি? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, যদি তুমি জাহান্নামের শিকল গলায় পরতে ভালোবাসা, তবে তা গ্রহণ করতে পারো।
(আবূ দাঊদ ৩৪১৬, ইবনু মাজাহ ২১৫৭, আহমাদ ২২৬৮৯,মিশকাত ২৯৯০)

উক্ত হাদীসের ব্যাখ্যা: (لَيْسَتْ بِمَالٍ) অর্থাৎ- সামাজিক প্রথায় ধনুকের হিসাব মজুরীর মাঝে গণ্য করা হয়নি। সুতরাং তা গ্রহণ ক্ষতি সাধন করবে না। এভাবে ফাতহুল ওয়াদূদে আছে, (وَلَيْسَتْ بِمَالٍ) অর্থাৎ- তা তেমন কোনো বড় ধরনের সম্পদ নয়। আর পারস্পরিক পরিচিতিতে ধনুককে মজুরীর মাঝে গণ্য করা হয়নি, অথবা ধনুক এমন কোনো সম্পদ নয় যা বিক্রয়ের জন্য সঞ্চয় করব, বরং তা সরঞ্জাম। (মিরকাতুল মাফাতীহ)

(أَنْ تُطَوَّقَ طَوْقًا مِنْ نَارٍ) অর্থাৎ আগুনের বেড়ী তোমার গলায় পেঁচিয়ে দেয়া হবে। খত্ত্বাবী বলেনঃ এ হাদীসের অর্থ ও ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে বিদ্বানগণের একটি সম্প্রদায় মতানৈক্য করেছেন। অতঃপর তাদের কেউ হাদীসটির বাহ্যিকতার দিকে গিয়েছেন। তারা মনে করেছেন যে, কুরআন শিক্ষা দিয়ে মজুরী গ্রহণ বৈধ নয়। যুহরী, আবূ হানীফাহ্ ও ইসহক বিন রহওয়াই এ মত পোষণ করেছেন। একদল বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত শর্ত না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত এতে কোনো সমস্যা নেই। এটা হাসান বাসরী, ইবনু সীরীন ও শা‘বী-এর মত। অন্যান্যগণ একে বৈধ বলেছেন আর তা ‘আত্বা, মালিক, শাফি‘ঈ ও আবূ সাওর-এর মত। তারা সাহল বিন সা‘দ-এর হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেছেন যাতে আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ লোকটিকে বলেছিলেন, যে ব্যক্তি মহিলাকে বিবাহের প্রস্তাব দিল, অথচ মোহর দেয়ার মতো কিছু খুঁজে পেল না।

(زَوَّجْتُكَهَا عَلٰى مَا مَعَك مِنْ الْقُرْآن) অর্থাৎ- ‘‘কুরআন হতে তোমার সাথে যা আছে তার বিনিময়ে আমি তোমাকে তার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করলাম।’’ আর তারা ‘উবাদার হাদীসকে ঐদিকে ব্যাখ্যা করেছেন যে, তিনি কুরআন শিক্ষা দানের মাধ্যমে অনুদান করেছেন এবং তাতে সাওয়াবের নিয়্যাত করেছেন, শিক্ষাদানের সময় বিনিময় এবং উপকার গ্রহণ করা তার উদ্দেশ্য ছিল না। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে তার সাওয়াব বিনষ্ট হওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করেছেন এবং সে ব্যাপারে তাকে হুমকি দিয়েছেন। আর এ ক্ষেত্রে ‘উবাদার পন্থা হলো ঐ ব্যক্তির পন্থা যে ব্যক্তি কোনো ব্যক্তির হারানো বস্তুকে ফেরত দিল, অথবা অনুদান স্বরূপ অথবা সাওয়াবের আশায় সমুদ্রে কারো ডুবে যাওয়া বস্তু উদ্ধার করে দিল। সুতরাং ঐ ব্যাপারে তার কোনো পারিশ্রমিক গ্রহণের অধিকার নেই। সাওয়াবের উদ্দেশ্য ঐ কাজটি করার পূর্বে সে যদি তার জন্য পারিশ্রমিক অনুসন্ধান করে থাকে, ওটা তার জন্য বৈধ হবে। আহলুস্ সুফফাহ্ (মসজিদে বসবাসকারী) নিঃস্ব সম্প্রদায় এরা মানুষের অনুদান দ্বারা জীবন যাপন করত। সুতরাং তাদের কাছ থেকে সম্পদ গ্রহণ অপছন্দনীয় এবং তাদের নিকট তা ফিরিয়ে দেয়া মুস্তাহাব। কতিপয় বিদ্বান বলেন, কুরআন শিক্ষা দেয়ার বিনিময়ে মজুরী গ্রহণের অনেক অবস্থা রয়েছে, যখন মুসলিমদের মাঝে বিশেষ ব্যক্তি ছাড়া আরও ব্যক্তি থাকবে, যে কুরআন শিক্ষার কাজ সম্পাদন করবে তখন ঐ ব্যক্তির জন্য কুরআন শিক্ষার বিনিময়ে মজুরী গ্রহণ বৈধ হবে। কেননা ঐ ফরয তখন তার ওপর নির্দিষ্ট হবে না। আর ঐ ব্যক্তি যখন এমন অবস্থায় অথবা এমন স্থানে থাকবে যেখানে সে ছাড়া অন্য কেউ ঐ কাজ সম্পাদন করে না, তখন তার জন্য মজুরী গ্রহণ বৈধ হবে না- এক্ষেত্রে মতবিরোধপূর্ণ হাদীসসমূহ এভাবেই ব্যাখ্যা করতে হবে।

ফাতহুল ওয়াদূদে সুয়ূত্বী বলেনঃ এক সম্প্রদায় এ হাদীসের বাহ্যিক দিক গ্রহণ করেছেন, অন্যরা এর ব্যাখ্যা করেছে এবং তারা বলেছে, এটা (زَوَّجْتُكَهَا عَلٰى مَا مَعَك مِنْ الْقُرْآن) ‘‘কুরআন হতে তোমার সাথে যা আছে তার বিনিময়ে আমি তোমাকে তার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করলাম।’’ এ হাদীস এবং ‘আবদুল্লাহ বিন ‘আব্বাস-এর (إِنَّ أَحَقّ مَا أَخَذْتُمْ عَلَيْهِ أَجْرًا كِتَاب اللّٰه) অর্থাৎ- ‘‘তোমরা যার পরিশ্রমিক গ্রহণ করে থাক তার মধ্যে আল্লাহর কিতাব সর্বাধিক অগ্রগণ্য।’’ এর দ্বারা কুরআন শিক্ষা দিয়ে পারিশ্রমিক গ্রহণ করার প্রমাণ পেশ করেছেন। (‘আওনুল মা‘বূদ ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩৪১৩)

(০২)
ইমাম এবং মুহাজ্জিন বেতন নিতে পারবেন। 

এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৩)
https://ifatwa.info/47972/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ

কুরআন শিক্ষা দিয়ে বেতন নেয়া জায়েয কিনা?
এ ব্যাপারে উলামায়ে কেরামদের মতপার্থক্য রয়েছে।কিছুসংখ্যক উলামায়ে কেরাম বিশেষকরে মুতাক্বাদ্দিমিন(৩০০ হিজরী পৃর্ব) হানাফি ফকিহগণ নাজায়েয বলেছেন।তবে মুতা'আখখিরিন(৩০০ হিজরী পরবর্তী) হানাফি ফকিহগণ আবার জায়েয বলেছেন।

এ দুইটি মতের মধ্যে বিশুদ্ধ মত হচ্ছে- কুরআন শিক্ষা দিয়ে বেতন নেয়া জায়েয।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا أَبُو مَعْشَرٍ الْبَصْرِيُّ هُوَ صَدُوقٌ يُوسُفُ بْنُ يَزِيدَ الْبَرَّاءُ قَالَ حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللهِ بْنُ الأَخْنَسِ أَبُو مَالِكٍ عَنْ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ نَفَرًا مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَرُّوا بِمَاءٍ فِيهِمْ لَدِيغٌ أَوْ سَلِيمٌ فَعَرَضَ لَهُمْ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْمَاءِ فَقَالَ هَلْ فِيكُمْ مِنْ رَاقٍ إِنَّ فِي الْمَاءِ رَجُلاً لَدِيغًا أَوْ سَلِيمًا فَانْطَلَقَ رَجُلٌ مِنْهُمْ فَقَرَأَ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ عَلٰى شَاءٍ فَبَرَأَ فَجَاءَ بِالشَّاءِ إِلٰى أَصْحَابِه„ فَكَرِهُوا ذ‘لِكَ وَقَالُوا أَخَذْتَ عَلٰى كِتَابِ اللهِ أَجْرًا حَتّٰى قَدِمُوا الْمَدِينَةَ فَقَالُوا يَا رَسُوْلَ اللهِ أَخَذَ عَلٰى كِتَابِ اللهِ أَجْرًا فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ أَحَقَّ مَا أَخَذْتُمْ عَلَيْهِ أَجْرًا كِتَابُ اللهِ.

ইবনু ‘আববাস হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সহাবীগণের একটি দল একটি কূয়ার পার্শ্ববর্তী বাসিন্দাদের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। কূপের পাশে অবস্থানকারীদের মধ্যে ছিল সাপে কাটা এক ব্যক্তি কিংবা তিনি বলেছেন, দংশিত এক ব্যক্তি। তখন কূপের কাছে বসবাসকারীদের একজন এসে তাদের বললঃ আপনাদের মধ্যে কি কোন ঝাড়-ফুঁককারী আছেন? কূপ এলাকায় একজন সাপ বা বিচ্ছু দংশিত লোক আছে। তখন সহাবীদের মধ্যে একজন সেখানে গেলেন। এরপর কিছু বক্রী দানের বিনিময়ে তিনি সূরা ফাতিহা পড়লেন। ফলে লোকটির রোগ সেরে গেল। এরপর তিনি ছাগলগুলো নিয়ে তাঁর সাথীদের নিকট আসলেন, কিন্তু তাঁরা কাজটি পছন্দ করলেন না। তাঁরা বললেনঃ আপনি আল্লাহর কিতাবের উপর পারিশ্রমিক নিয়েছেন। অবশেষে তাঁরা মাদ্বীনায় পৌঁছে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি আল্লাহর কিতাবের উপর পারিশ্রমিক গ্রহণ করেছেন। তখন রাসূলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যে সকল জিনিসের উপর তোমরা বিনিময় গ্রহণ করে থাক, তন্মধ্যে পারিশ্রমিক গ্রহণ করার সবচেয়ে বেশি হক রয়েছে আল্লাহর কিতাবের। 
(বুখারী ৫৭৩৭.আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩১৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২১৩)


★উক্ত হাদীসের শেষে রাসূলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে সকল জিনিসের উপর তোমরা বিনিময় গ্রহণ করে থাক, তন্মধ্যে পারিশ্রমিক গ্রহণ করার সবচেয়ে বেশি হক রয়েছে আল্লাহর কিতাবের। 

★সুতরাং এটি পারিশ্রমিক নেয়ার বৈধতার উপর গুরুত্বপূর্ণ দলিল।  

অন্য এক হাদীসে এসেছে

عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ أَبِي حَازِمٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ جَاءَتْ امْرَأَةٌ إِلٰى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ إِنِّي وَهَبْتُ مِنْ نَفْسِي فَقَامَتْ طَوِيلاً فَقَالَ رَجُلٌ زَوِّجْنِيهَا إِنْ لَمْ تَكُنْ لَكَ بِهَا حَاجَةٌ قَالَ هَلْ عِنْدَكَ مِنْ شَيْءٍ تُصْدِقُهَا قَالَ مَا عِنْدِي إِلاَّ إِزَارِي فَقَالَ إِنْ أَعْطَيْتَهَا إِيَّاه“ جَلَسْتَ لاَ إِزَارَ لَكَ فَالْتَمِسْ شَيْئًا فَقَالَ مَا أَجِدُ شَيْئًا فَقَالَ الْتَمِسْ وَلَوْ خَاتَمًا مِنْ حَدِيدٍ فَلَمْ يَجِدْ فَقَالَ أَمَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ شَيْءٌ قَالَ نَعَمْ سُورَةُ كَذَا وَسُورَةُ كَذَا لِسُوَرٍ سَمَّاهَا فَقَالَ قَدْ زَوَّجْنَاكَهَا بِمَا مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ.

সাহল ইবনু সা‘দ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, কোন এক মহিলা রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বলল, আমি আমার নিজেকে আপনার কাছে দান করলাম। এরপর সে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকল। তখন একজন লোক বলল, আপনার দরকার না থাকলে, আমার সঙ্গে এর বিয়ে দিয়ে দিন। রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামতাকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কাছে মাহর দেয়ার মতো কি কিছু আছে? লোকটি বলল, আমার এ তহবন্দ ছাড়া আর কিছুই নেই। রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামবললেন, যদি তুমি তহবন্দখানা তাকে দিয়ে দাও, তাহলে তোমার কিছু থাকবে না। কাজেই তুমি অন্য কিছু খুঁজে আন। লোকটি বলল, আমি কোন কিছুই পেলাম না। নাবীসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামবললেন, খুঁজে দেখ, যদি একটি লোহার আংটিও পাও। সে কিছুই পেল না। নাবীসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামজিজ্ঞেস করলেন, কুরআনের কিছু অংশ তোমার জানা আছে কি? লোকটি বলল, হ্যাঁ! অমুক অমুক সূরা আমার জানাআছে এবং সে সূরাগুলোর নাম বলল। নাবীসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামবললেন, কুরআনের যা তোমার জানা আছে, তার বিনিময়ে আমি তাকে তোমার নিকট বিয়ে দিলাম। [বুখারী ৫১৩৫.২৩১০; মুসলিম ১৬/১২, হাঃ ১৪২৫, আহমাদ ২২৯১৩](আধুনিক প্রকাশনী- ৪৭৫৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৫৯)

বিস্তারিত জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 192 views
...