আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
99 views
in সালাত(Prayer) by (1 point)
আস সালামু আলাই কুম,

"গতকাল একজনের(পাত্র) কাছে শুনলাম যে জামা'আতে নামাজ পড়ে কিনা?  " সে বললো তাদের পাশে যে মসজিদ টা আছে সেটা আহলে হাদিসদের মসজিদ,, তারা (আহলে হাদিসরা) নাকি প্রস্রাব এর পর টিস্যু ব্যবহার করে না এতে নাকি (যেটা নাকি ছেলেদের ব্যবহার করা ফরজ)  তারা নাপাক থাকে,,, এক্ষেত্রে" নাপাক ইমাম, মুসল্লিদের পিছে কি নামাজ হবে? " আর অন্য মসজিদ অনেক দুরে সেখানে যেয়ে জামাআতে নামাজ আদায় করা সম্বভ নয়।

1 Answer

0 votes
by (676,760 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


শরীয়তের বিধান মতে পেশাব করার পর তিন পদ্ধতিতে পবিত্র হওয়া যায় 

(০১) শুধু টিস্যু ব্যবহার।
(০২) শুধু পানি ব্যবহার। 
(০৩) টিস্যু+পানি ব্যবহার।     

হাদীস শরীফে শুধু পানি ব্যবহারের কথাও উল্লেখ রয়েছেঃ  

عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدْخُلُ الخَلاَءَ، فَأَحْمِلُ أَنَا وَغُلاَمٌ إِدَاوَةً مِنْ مَاءٍ وَعَنَزَةً، يَسْتَنْجِي بِالْمَاءِ.

আনাস বিন মালেক রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শৌচাগারে দাখেল হতেন। তখন আমি এবং এক যুবক একটি পানির পাত্র এবং একটি লাঠি নিয়ে যেতাম। তিনি পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করতেন।
(সহীহ বুখারী, হাদীস ১৫২.সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৭১)

عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا خَرَجَ لِحَاجَتِهِ، تَبِعْتُهُ أَنَا وَغُلاَمٌ وَمَعَنَا عُكَّازَةٌ أَوْ عَصًا أَوْ عَنَزَةٌ، وَمَعَنَا إِدَاوَةٌ، فَإِذَا فَرَغَ مِنْ حَاجَتِهِ نَاوَلْنَاهُ الإِدَاوَةَ.

আনাস বিন মালেক রা. বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কাযায়ে হাজতের জন্য যেতেন তখন আমি এবং এক যুবক তাঁর সাথে যেতাম। আমাদের সাথে একটি লাঠি এবং একটি পানির পাত্র থাকত। তিনি কাযায়ে হাজত হতে ফারেগ হলে তাঁকে পানির পাত্রটি দিতাম।
(সহীহ বুখারী, হাদীস ৫০০, ২১৭) 

عَنْ طَلْحَةَ بْنِ نَافِعٍ أَنَّهُ حَدَّثَهُ قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو أَيُّوبَ، وَجَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللهِ، وَأَنَسُ بْنُ مَالِكٍ الْأَنْصَارِيُّونَ أَنَّ هَذِهِ الْآيَةَ لَمَّا نَزَلَتْ "فِيهِ رِجَالٌ يُحِبُّونَ أَنْ يَتَطَهَّرُوا وَاللهُ يُحِبُّ الْمُطَّهِّرِينَ" فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَا مَعْشَرَ الْأَنْصَارِ، إِنَّ اللهَ قَدْ أَثْنَى عَلَيْكُمْ خَيْرًا فِي الطُّهُورِ، فَمَا طُهُورُكُمْ هَذَا؟ قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ نَتَوَضَّأُ لِلصَّلَاةِ وَنَغْتَسِلُ مِنَ الْجَنَابَةِ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: "فَهَلْ مَعَ ذَلِكَ غَيْرُهُ. قَالُوا: لَا غَيْرَ أَنَّ أَحَدَنَا إِذَا خَرَجَ مِنَ الْغَائِطِ أَحَبَّ أَنْ يسْتَنْجِيَ بِالْمَاءِ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : هُوَ ذَاكَ فَعَلَيْكُمُوهُ.


আবু আইয়ূব রা., জাবের বিন আব্দুল্লাহ রা. ও আনাস বিন মালেক রা.-এই আনসারী সাহাবীগণ বলেন,

فِیْهِ رِجَالٌ یُّحِبُّوْنَ اَنْ یَّتَطَهَّرُوْا  وَ اللهُ یُحِبُّ الْمُطَّهِّرِیْنَ.

আয়াতটি নাযিল হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে আনসারীদের দল! আল্লাহ তোমাদের পবিত্রতার উত্তম প্রসংশা করেছেন। তোমাদের ঐ পবিত্রতা কী? তারা বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা নামাযের জন্য অযু করি এবং গোসল ফরয হলে গোসল করি।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এর সাথে কি আরো কোনো বিষয় আছে? তারা বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আর কোনো বিষয় নেই, তবে শৌচাগার থেকে বের হলে আমাদের প্রত্যেকেই পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করতে পছন্দ করে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এটাই সেই পবিত্রতা (আল্লাহ যার কারণে তোমাদের প্রসংশা করেছেন)। সুতরাং এটাকে তোমরা গুরুত্বের সাথে ধরে রাখবে।

(সুনানে কুবরা, বায়হাকী ১/১০৫. মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস ৫৫৪; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ৩৫৫)

বিস্তারিত জানুনঃ  

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
নাপাক শরীর,নাপাক কাপড় নিয়ে কেউ ইমামতি করলে যদি সেই নাপাকির পরিমান এক দিরহাম সমপরিমাণ বা তার চেয়ে বেশি হয়, তাহলে তার পিছন্র নামাজ আদায় হবেনা।
আদায় করে থাকলে পুনরায় আদায় করতে হবে।
      
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ইমাম সাহেব পেশাবের পর টিস্যু না নিলেও তিনি পাকই থাকেন।
কেননা শুধু পানি ব্যবহার করাও হাদীস শরীফে উল্লেখ এসেছে।
তাই তার পিছনে নামাজ পড়া যাবে,নামাজ শুদ্ধ হবে।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...