ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
নামাযের কেরাতে যদি তাজবীদে ভূল হয়,যাকে লাহলে খাফী বলা হয়,তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানের প্রয়োজন নেই। তাজবীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/1126 তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন।
সুতরাং নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে,সেই হরফের স্থলে তার দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে,এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ক্বাফ উচ্ছারণ করতে যেয়ে ১ম বার যে উচ্চারণ হয়, সে উচ্চারণেই নামাজ পরবেন।এতে কোনো সমস্যা হবে না।
(২)
নামাজের ভিতরে ঠোটের উপর শুকনা ঘাম থাকলে যদি জ্বিহবা দিয়ে সেই ঘামকে গিলে ফেলা হয়, তাহলে নামাজে কোনো সমস্যা হবে না।
(৩)
প্রসাবের নাপাকি ধোয়ার সময় পানি আসে পাশে লাগলে শুধুমাত্র সেই আশপাশকে ধৌত করে নিলেই হবে।অতিরিক্ত কিছু ধৌত করতে হবে না।
(৪)
তার কাছে মাফ চাইলে হিতে বিপরীত হতে পারে, তাই আপনি আল্লাহর কাছে মাফ চাইবেন।এবং তার নামে কিছু সদকাহ করে নিবেন।
(৫)
প্রসাবের নাপকির ব্যাপারে যদি সন্দেহ হয় যে, শরীরে বা কাপড়ে লাগছে কি না? তবে এ ব্যাপারে নিশ্চিত না।তাহলে এদ্বারা কাপড় বা শরীর নাপাক হবে না।
(৬)
আপনি স্যারকে খুজে বের করে যেকোনো ভাবে উনাকে টাকাগুলো দিয়ে দিবেন।সম্ভব না হলে স্যারের নামে সদকাহ করে দিবেন।