আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
176 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (24 points)
যদি কেও রোগীর জন্য ব্লাড ম্যানেজ করতে না পারে তাহলে কি ওই রোগীকে ব্লাড দেওয়া যাবে? পুরুষ রোগীর জন্য ব্লাড দিলে কি গুনাহ হবে? ব্লাড দেওয়ার সময় হাতের একটু অংশ উন্মুক্ত করতে হয় যেদিক দিয়ে সুই ঢুকিয়ে রক্ত নেওয়া হয়। এতটুকু জায়গা উন্মুক্ত করার জন্য কি গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
রক্ত মানুষের শরীরের অংশ, যা সম্মানী।সুতরাং বেচাকেনা, আদান-প্রদান সমস্তই হারাম।
কিন্তু প্রয়োজন বিবেচনায় শরীয়ত রক্তদান কর্মসূচিকে বৈধ ঘোষনা করেছে।
জাওয়াহিরুল ফিকহে মুফতী শফী রাহ,অত্যন্ত জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করেছেন।
সেই আলোচনার চুম্বকাংশের বাংলা অনুবাদ নিম্নে তুলে ধরা হচ্ছে.....

অপরের রক্ত গ্রহণ অত্যাবশ্যক এমন অসুস্থ ব্যক্তিকে রক্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে নিম্নেলিখিত বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে। 
(১) যখন কোন অসুস্থ ব্যাক্তির জীবননাশের আশংকা দেখা দেয় এবং অভিজ্ঞ ডাক্তারের মতে তার শরীরে অন্যের রক্ত প্রবেশ করানো ব্যতীত বাঁচানোর কোন পন্থা না থাকে।
(২) যখন রক্ত দেওয়া প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ, অসুস্থ ব্যক্তির মৃত্যুর আশংকা নেই বটে, কিন্তু রক্ত দেওয়া ছাড়া তার জীবনের ঝুকি বাড়ে অথবা রোগমুক্তি বিলম্বিত হয়, 
এসব অবস্থায় রক্ত দেওয়া জরুরী।

(৩) যখন রোগীর শরীরে রক্ত দেওয়ার খুব বেশি প্রয়োজন দেখা দেয় না, বরং রক্ত না দেওয়ার অবকাশ থাকে, তখন রক্ত দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
(৪) যখন জীবননাশের এবং অসুস্থতা বিলম্বিত হওয়ার আশংকা না হয়, বরং শুধুমাত্র শক্তি বৃদ্ধি এবং সৌন্দর্য বর্ধনের উদ্দেশ্য হয়, সে অবস্থায় ইসলামী শরীয়তে রক্তদান জায়েয নয়।(জাওয়াহিরুল ফিকহহ-৭/৪৬)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কেউ যদি কোনো পুরুষ রোগীর জন্য ব্লাড ম্যানেজ করতে না পারে তাহলে ঐ রোগীকে ব্লাড দেওয়া যাবে। ব্লাড দেওয়ার সময় হাতের কোনো অংশ উন্মুক্ত করতে হলে,সেটাও জায়েয।তবে এক্ষেত্রে কোনো মহিলা নার্সের শরণাপন্ন হতে হবে।এবং এজন্য চেষ্টা করতে হবে।যদি নার্স না পাওয়া যায়, তাহলে তখন সম্পূর্ণ শরীরকে ঢেকে হাতের নির্দিষ্ট ঐ অংশকে উন্মোক্ত করা যাবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...