আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
267 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (67 points)
১. মায়ের কোন কোন অংগের তুলনা  দিলে জিহার হয়? হাত, পা, নাক মুখ, কপাল, চেহারা,গাল, গলা, চোখ, গায়ের রং এইগুলা দ্বারাও কি জিহার হয়?

২.কেও যদি তার স্ত্রীকে বলে " তুমি আমাকে মায়ের মতো ভালোবাসো/খেয়ার করো" /" তোমার গায়ের রং আমার মায়ের মতো" / "তোমার গলা বা কণ্ঠ আমার মায়ের মতো" /"তুমি আমার মাযের মতো ভালো"/ "তোমার শরীরের গঠন আমার মায়ের ই মতো" এইসব কথা দ্বারাও কি জিহার হয়?

৩. জিহার সাব্যস্তের জন্য কি মনে মনে কারো বউকে হারাম করার নিয়ত থাকা লাগে? না কি এটা না থাকলেও মজা করে বললেও হয়ে যায়?
৪. জিহারের জন্য বউ কি নিজ কানে শোনা, লিখলে সেই।লিখা দেখা জরুরী? না জামাই নিজো নিজে বললেও হয়ে যায়?

৫. কেও যদি তার বউকে বলে যে " তু আমার মায়ের মতো " আর এই কথা স্বভাব/আচরণ/ কতাবার্তা/ঘরের দায়িত্বের দিক ইত্যাদি বুঝানোর জন্য বলে তাও জিহার হবে?

৬.যিহার হলে রোজার সামর্থ না থাকলে ৬০ জনকে খাওয়ানোর টেকা দান করলে কি হয়ে যাবে? বর্তমান হিসাবে তা কতো?

৭.এই গুলো লেখায় কি জিহারের সম্ভাবনা আছে?

৮. কেও যদি তার বউ কে মনে মনে না কি উচ্চারণ করে তালা বলেছে তা ৫০/৫০ অবস্থায় থাকে, বেশি অংশ মনে মনে বলার পক্ষেই থাকে তবে কি তা পতিত হয়েছে ধরা হয়?

1 Answer

0 votes
by (715,680 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ِ الظِّهَارُ هُوَ تَشْبِيهُ الزَّوْجَةِ أَوْ جُزْءٍ مِنْهَا شَائِعٍ أَوْ مُعَبَّرٍ بِهِ عَنْ الْكُلِّ بِمَا لَا يَحِلُّ النَّظَرُ إلَيْهِ مِنْ الْمُحَرَّمَةِ عَلَى التَّأْبِيدِ وَلَوْ بِرَضَاعٍ أَوْ صِهْرِيَّةٍ كَذَا فِي فَتْحِ الْقَدِيرِ سَوَاءٌ كَانَتْ الزَّوْجَةُ حُرَّةً أَوْ أَمَةً أَوْ مُكَاتَبَةً أَوْ مُدَبَّرَةً أَوْ أُمَّ وَلَدٍ أَوْ كِتَابِيَّةً
স্ত্রীকে মাহরামে আবদি যেমন মা,বোন ইত্যাদি ব্যক্তিবর্গের উল্লেখযোগ্য কোনো অঙ্গের দিকে বা এমন কোনো অঙ্গের সাথে তুলনা করা যেই অঙ্গের দিকে তাকানো হারাম।মাহরামে আবদি দুধ সম্পর্কের কারণে হোক বা বৈবাহিক সম্পর্কের কারণে হোক। এবং স্ত্রী চায় আযাদ হোক বা বাদি হোক কিংবা মুকাতাব বা উম্মে ওলাদ হোক।জিহার হবে।ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৫০৬)

মোটকথাঃ-
জিহার হবার জন্য স্ত্রীকে বা তার এমন কোন অঙ্গ যা তার পূর্ণ সত্তাকে বুঝায় সেটিকে মাহরাম আত্মীয় কারো সাথে বা এমন কোন অঙ্গের সাথে উপমা দেয়া জরুরী, যে অঙ্গ দেখা হারাম।

(قَوْلُهُ: بِمُحَرَّمٍ عَلَيْهِ) أَيْ بِعُضْوٍ يَحْرُمُ النَّظَرُ إلَيْهِ مِنْ أَعْضَاءِ مُحَرَّمَةٍ عَلَيْهِ نَسَبًا، أَوْ صِهْرِيَّةً أَوْ رَضَاعًا كَمَا فِي الْبَحْرِ، أَوْ بِجُمْلَتِهَا كَأَنْتِ عَلَيَّ كَأُمِّي فَإِنَّهُ تَشْبِيهٌ بِالظَّهْرِ وَزِيَادَةٌ كَمَا يَأْتِي، لَكِنَّ هَذَا كِنَايَةٌ لَا بُدَّ لَهُ مِنْ النِّيَّةِ كَمَا سَيَأْتِي، وَعُلِمَ أَنَّهُ لَا بُدَّ فِي الْمُشَبَّهِ بِهِ مِنْ كَوْنِ الْجُزْءِ يَحْرُمُ النَّظَرُ إلَيْهِ، وَإِلَّا فَلَا يَصِحُّ وَإِنْ كَانَ يُعَبَّرُ بِهِ عَنْ الْكُلِّ كَرَأْسِ أُمِّي، أَوْ وَجْهِهَا، بِخِلَافِ الزَّوْجَةِ الْمُشَبَّهَةِ فَإِنَّهُ يَكْفِي ذِكْرُ الْجُزْءِ الَّذِي يُعَبَّرُ بِهِ عَنْ الْكُلِّ مِنْهَا وَإِنْ لَمْ يَحْرُمْ النَّظَرُ إلَيْهِ كَرَأْسِكِ فَتَنَبَّهْ، (رد المحتار، كتاب الطلاق،باب الظهار-5\126)
فان ذكر عضوا يحل النّظر اليه لَا يكون ظِهَارًا مثل الرَّأْس والعنق وَالْوَجْه وَغَيرهَا (النتف فى الفتاوى للسغدى-1\373)
وَمِنْهَا أَنْ يَكُونَ عُضْوًا لَا يَحِلُّ لَهُ النَّظَرُ إلَيْهِ مِنْ الظَّهْرِ وَالْبَطْنِ وَالْفَخِذِ وَالْفَرْجِ حَتَّى لَوْ شَبَّهَهَا بِرَأْسِ أُمِّهِ أَوْ بِوَجْهِهَا أَوْ يَدِهَا أَوْ رِجْلِهَا لَا يَصِيرُ مُظَاهِرًا؛ لِأَنَّ هَذِهِ الْأَعْضَاءَ مِنْ أُمِّهِ يَحِلُّ لَهُ النَّظَرُ إلَيْهَا. (بدائع الصنائع، كتاب الظهار، فَصْلٌ فِي بَيَان الشَّرَائِط الَّتِي تُرْجَعُ إلَى الْمُظَاهَرِ بِهِ-3\233، دار الكتب العلمية)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
হাত, পা, নাক মুখ, কপাল, চেহারা,গাল, গলা, চোখ, গায়ের রং এইগুলা দ্বারাও জিহার হবে না।

(২)
কেউ যদি তার স্ত্রীকে বলে " তুমি আমাকে মায়ের মতো ভালোবাসো/খেয়ার করো" /" তোমার গায়ের রং আমার মায়ের মতো" / "তোমার গলা বা কণ্ঠ আমার মায়ের মতো" /"তুমি আমার মাযের মতো ভালো"/ "তোমার শরীরের গঠন আমার মায়ের ই মতো" এইসব কথা দ্বারাও জিহার হবে না।

(৩)
মজা করে বললেও জিহার হয়ে যাবে।জিহারের নিয়ত করার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।

(৪)
জিহারের জন্য বউকে শ্রবণ করতে হবে না,বরং স্বামী বললেই জিহার হয়ে যায়।

(৫)
কেউ যদি তার বউকে বলে যে " তুমি আমার মায়ের মতো " আর এই কথা স্বভাব/আচরণ/ কতাবার্তা/ঘরের দায়িত্বের দিক ইত্যাদি বুঝানোর জন্য বলে তাহলে জিহার হবে না।

(৬)
যিহারের কাফফারা হল,
كفارة الفطر، وكفارة الظهار واحدة ، وهي عتق رقبة مؤمنة أو كافرة فإن لم يقدر على العتق فعليه صيام شهرين متتابعين، وإن لم يستطع فعليه إطعام ستين مسكينا كل مسكين صاعا من تمر أو شعير أو نصف صاع من حنطة
রোযা এবং যিহার উভয়ের কাফ্ফারা একিই।
তা এই যে,একটা গোলাম আযাদ করা চায় গোলাম ঈমানদ্বার হোক বা কাফির হোক।যদি গেলাম আযাদ করা অসম্ভব হয়,তাহলে লাগাতার দুই মাস রোযা রাখতে হবে। যদি রোযা রাখাও অসম্ভব হয়, তাহলে ষাটজন মিসকিন খাওয়াতে হবে। প্রত্যেক মিসকিনকে যব বা কিসমিস হলে এক সা' আর গম হলে অর্ধেক সা' করে দিতে হবে।{ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২১৫}বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/102

(৭) না, জিহারের কোনো সম্ভাবনা নাই।

(৮)
কেউ যদি তার বউ কে মনে মনে না কি উচ্চারণ করে তালাক বলেছে তা ৫০/৫০ অবস্থায় থাকে। তবে বেশি মনে মনে বলার পক্ষেই থাকে, তবে  তালাক পতিত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (715,680 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...