ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
রক্ত মানুষের শরীরের অংশ, যা সম্মানী।সুতরাং বেচাকেনা, আদান-প্রদান সমস্তই হারাম।
কিন্তু প্রয়োজন বিবেচনায় শরীয়ত রক্তদান কর্মসূচিকে বৈধ ঘোষনা করেছে।
জাওয়াহিরুল ফিকহে মুফতী শফী রাহ,অত্যন্ত জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করেছেন।
সেই আলোচনার চুম্বকাংশের বাংলা অনুবাদ নিম্নে তুলে ধরা হচ্ছে.....
অপরের রক্ত গ্রহণ অত্যাবশ্যক এমন অসুস্থ ব্যক্তিকে রক্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে নিম্নেলিখিত বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে।
(১) যখন কোন অসুস্থ ব্যাক্তির জীবননাশের আশংকা দেখা দেয় এবং অভিজ্ঞ ডাক্তারের মতে তার শরীরে অন্যের রক্ত প্রবেশ করানো ব্যতীত বাঁচানোর কোন পন্থা না থাকে।
(২) যখন রক্ত দেওয়া প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ, অসুস্থ ব্যক্তির মৃত্যুর আশংকা নেই বটে, কিন্তু রক্ত দেওয়া ছাড়া তার জীবনের ঝুকি বাড়ে অথবা রোগমুক্তি বিলম্বিত হয়,
এসব অবস্থায় রক্ত দেওয়া জরুরী।
(৩) যখন রোগীর শরীরে রক্ত দেওয়ার খুব বেশি প্রয়োজন দেখা দেয় না, বরং রক্ত না দেওয়ার অবকাশ থাকে, তখন রক্ত দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
(৪) যখন জীবননাশের এবং অসুস্থতা বিলম্বিত হওয়ার আশংকা না হয়, বরং শুধুমাত্র শক্তি বৃদ্ধি এবং সৌন্দর্য বর্ধনের উদ্দেশ্য হয়, সে অবস্থায় ইসলামী শরীয়তে রক্তদান জায়েয নয়।(জাওয়াহিরুল ফিকহহ-৭/৪৬)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কেউ যদি কোনো পুরুষ রোগীর জন্য ব্লাড ম্যানেজ করতে না পারে তাহলে ঐ রোগীকে ব্লাড দেওয়া যাবে। ব্লাড দেওয়ার সময় হাতের কোনো অংশ উন্মুক্ত করতে হলে,সেটাও জায়েয।তবে এক্ষেত্রে কোনো মহিলা নার্সের শরণাপন্ন হতে হবে।এবং এজন্য চেষ্টা করতে হবে।যদি নার্স না পাওয়া যায়, তাহলে তখন সম্পূর্ণ শরীরকে ঢেকে হাতের নির্দিষ্ট ঐ অংশকে উন্মোক্ত করা যাবে।
(২)
ছেলের কাছে পূর্বের গোনাহকে প্রকাশ করবেন না। বিষয়টাকে এড়িয়ে যাওয়ার, তাওরিয়া করার এমনকি প্রয়োজনে তখন মিথ্যা বলাও জায়েয হবে।
(৩)
হ্যা, তার ছোট বোনের মাধ্যমে আপনি বিয়ের বিষয়টা জানিয়ে দিতে পারবেন।
(৪)
স্ত্রী তার সন্তানদের কাছে থাকবে, পাত্র পাওয়া গেলে,বিয়েও বসতে পারবে। বিয়ে বসাটাই নিরাপদ হবে।