ক) https://www.ifatwa.info/5331 এ বলেছেন,
.ﻭﺇﺫﺍ ﺍﻟﺘﺰﻣﺖ ﺍﻟﻤﺮﺃﺓ ﺑﺎﻟﺸﺮﻭﻁ ﺍﻟﺸﺮﻋﻴﺔ ﻟﺨﺮﻭﺟﻬﺎ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﻤﺴﺠﺪ ، ﻛﻌﺪﻡ ﺗﺰﻳﻨﻬﺎ ﻭﺗﻄﻴﺒﻬﺎ ، ﻓﻼ ﺣﺮﺝ ﻋﻠﻴﻬﺎ ﻓﻲ ﺣﻀﻮﺭ ﺻﻼﺓ ﺍﻟﺠﻤﻌﺔ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﺴﺠﺪ ، ﻭﺗﺼﻠﻴﻬﺎ ﻣﻊ ﺍﻹﻣﺎﻡ ﺭﻛﻌﺘﻴﻦ ، ﻭﺗﺠﺰﺋﻬﺎ ﺣﻴﻨﺌﺬ ﻋﻦ ﺻﻼﺓ ﺍﻟﻈﻬﺮ .
অর্থাৎ-যদি মহিলা মসজিদে যাওয়ার জন্য শরয়ীত নির্ধারিত সমস্ত বিধি-বিধান পালন করে এবং সৌন্দর্য ও সুগন্ধি ব্যবহার না করে,তাহলে মসজিদে জুমু'আর নামায পড়তে কোনো অসুবিধা নেই।এবং মহিলা ইমামের সাথে দু-রাকাত নামায পড়বে।এবং এ দু-রাকাত নামায জোহরের স্থলাভিষিক্ত হয়ে যাবে,আর জোহর পড়া লাগবে না।(বাদায়েউস সানায়ে,১/১৫৮;)
প্রশ্ন হলো, মহিলা ইমাম কিভাবে হয়? এইখানে কি বলা হয়েছে তাহলে?
খ) এক ব্যক্তি দ্বিতীয় বিয়ে করেছে কিন্তু প্রথম বউ জানে না। কিন্তু প্রথম স্ত্রী কোনোভাবে জেনে গেছে যে, কাকে তার স্বামী দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করেছে। জানার পর তার স্বামীকে এই ব্যাপারে জিগ্যেস করলো। স্বামী তখন তাকে বলে যে, 'আমি দ্বিতীয় বিয়ে করি নাই। ' স্বামী আরও বলে যে, 'ঐ মহিলা(যে আসলে দ্বিতীয় স্ত্রী) আসলে করিম সাহেবের বউ'। ( কিন্তু আসলে ঐ মহিলা আগে করিম সাহেবের বউ ছিলো, এখন তার নিজের বউ)। এখন সে যে তার প্রথম স্ত্রীকে বললো যে, সে দ্বিতীয় বিয়ে করেনি আর আসলে করিম সাহেবের বউ, এইটা কি গুনাহসহ মিথ্যা নাকি গুনাহ ছাড়া মিথ্যা বলা হলো?
গ) https://ifatwa.info/67673/ এর 'ক' তে বলেছেন, তাশাহহুদে আঙ্গুল কেন শুধু 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু' বলার সময় তুলবো সেটা বলেন নাই। আমি সবসময় উঠানো নামানো না করে যদি শুরু থেকেই তুলেই রাখি এবং আর না নামাই, তাহলে কি হতো? আবু হানিফা রহ. কিসের ভিত্তিতে এই ফতোয়া দিয়েছেন? আমি শুনেছি, রাসূল সা. এক বয়ানে মিম্বারে এইরকম শুধু ' লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ' বলার সময় আঙ্গুল তুলেছিলেন, এরপর নামিয়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু এইটা নামাযের ভিতরে না। এইটা এক আলেম তার এফবিতে দিয়েছিলেন। এইটার উপর ভিত্তি করে নাকি হানাফি মাযহাব এ ফতোয়া হইছে এইভাবে।
ঘ) https://ifatwa.info/67540/ এর ঞ তে বলেছেন, উসমান রা. এর বাজারে আযান দেওয়ার ব্যাপারটায় ইজমা আছে। কিন্তু বাজারের আযান এখন মসজিদে দেওয়া হচ্ছে। এইটা কি সমস্যা হবে না? এ ব্যাপারে কি ইজমা আছে?
ঙ) এক ফতোয়াতে বলেছেন, নবী রাসূল রা দৈহিক ভাবে কবরে জীবিত।
শহীদ রা দৈহিক ভাবে নয়,বরং রূহানী ভাবে জীবিত।
কথাগুলো বুঝিনি, একটু ব্যাখ্যা করে বলুন
চ) মসজিদে কথা বললে নাকি ফেরেশতারা লানত দেয়?
আবার ফতোয়া এ বলেছেন, স্বাভাবিক দরকারী কথা যাবে কিন্তু অপ্রোয়জনীয় কথা বলা যাবে না। তাহলে স্বাভাবিক কথা বললে কি ফেরেশতারা লানত দিবে না?
ছ) মিরাজের সময় নবি সা. কে জান্নাত এর আরাম ও জাহান্নাম এর শাস্তি দেখানো হইছে, যা তাঁর উম্মতরা পরে করবে এমন। তো এই ভবিষ্যৎ আরাম/ শাস্তি কিভাবে তাঁর উম্মতেরা পার্থির জীবনের আমলের আগেই পাচ্ছিলো? আর তা না হলে কিভাবে তিনি এই ভবিষ্যৎ জিনিস তখন দেখলেন?
জ) জালালুদ্দিন রুমী রহ. কি পরিপূর্ণ হক এর উপরে ছিলেন? অনেকেই তাঁকে সূফীবাদের ভ্রান্ত প্রচারক বলে, তিনি কতটা ভ্রান্ত বা কতটা ঠিক, একটু ব্যাখ্যা করলে ভালো হয়।