আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
98 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (6 points)
বিয়ের ব্যাপারে মা বলছে ছেলের চাকরি দেখেই শুধু বিয়ে করতে৷ নামায ৫ ওয়াক্ত পরে কিনা এগুলা জিজ্ঞাসা করতে হবেনা। না পড়লে পরে শুরু করবে। আমাকে ঠিক করে নিতে বলে। নামায তো শুধু একটা বেসিক ইসলামিক ব্যাপার। সেটা নিয়েই সে এই কথা বলে, তাই বাকি গুলো বাদই দিলাম। আমি নিকাব পড়ি৷ এটার জন্য নাকি আমি ছেলে পাচ্ছিনা এমন কথাও শুনতে হয়েছে৷ বিয়ের ব্যাপারে আরো অনেক অহেতুক যুক্তিহীন কথাবার্তা সে বলে। একজন সুস্থ স্বাভাবিক মুসলিম এগুলো শুনলে অবাক হয়ে যাবে। তবে হয়তো সমাজে বেশিরভাগই অবাক হবেনা।
এমনকি নিজের স্বামী (আমার বাবা) কে নিয়েও উল্টাপাল্টা দোষ দেয় যেখানে আলহামদুলিল্লাহ বাবা আমার ইসলামিক পাত্র খুঁজতে সাপোর্ট দিচ্ছেন। অনেক বাজে কথা বলে যেগুলো গীবতের মধ্যে পড়ে, অহেতুক অনুমানের মধ্যে পড়ে।
এখন তাকে আমি অনেকবার শান্তভাবে বুঝানোর চেষ্টা করছি ইসলামি পাত্রের ব্যাপারে। সে যেগুলো বলতেছে সেগুলো যে গীবত এবং অনুমান করে কথা বলা হয়ে যাচ্ছে সে ব্যাপারেও বলেছি। আমার সহ্য ক্ষমতাও কমে গেছে। এখন দেখা যায় আমি চিল্লাপাল্লা করি তার সাথে। তাই আমি চিন্তা করেছি আমি আর তাকে কিছুই বলবোনা এসব নিয়ে। কিন্তু সমস্যা হলো আমার সামনে এসব যুক্তিহীন কথা, গীবত এবং অনুমান করে কথাগুলো সে বলে। আমি অপছন্দ করলেও সেগুলা আমাকে শুনতে হয়। এক্ষেত্রে কি আমি গুনাহগার হবো? মাকে তো সম্মান করতে হয়, মেনে চলতে হয়। কিন্ত এক্ষেত্রে তো আমার মানতে ইচ্ছা করছেনা, সম্মানও করতে ইচ্ছা করছেনা। মা এমন সব কথা বলে এটাও মনে হয় যে অভিশাপ দিচ্ছে হয়তো। এব্যাপারে তার সাথে কোনো কথা না বলে চুপ করে থাকলে বা স্থান ত্যাগ করলে গুনাহ হবে? মায়ের কথা মেনে বেদ্বীন কাউকে বিয়ে করতে রাজী হওয়া যাবে? নিকাব ছেড়ে দেয়া যাবে? নাহলে আবার অভিশাপ দেয় "আমার কথা শুনোনাই তাই এমন হইছে/ আমি তো ভালোর জন্যই বলি, ইত্যাদি।"

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ- 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


মাতাপিতার বৈধ আদেশ মানাতাদের সাথে উত্তম আচরণ করা শরীয়ত কর্তৃক আবশ্যক ঘোষনা করা হয়েছে।


আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَوَصَّيْنَا الْإِنسَانَ بِوَالِدَيْهِ إِحْسَانًا ۖ حَمَلَتْهُ أُمُّهُ كُرْهًا وَوَضَعَتْهُ 

كُرْهًا ۖ وَحَمْلُهُ وَفِصَالُهُ ثَلَاثُونَ شَهْرًا

আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের আদেশ দিয়েছি। তার মা তাকে কষ্টসহকারে গর্ভে ধারণ করেছে এবং কষ্টসহকারে প্রসব করেছে। তাকে গর্ভে ধারণ করতে ও তার স্তন্য ছাড়তে লেগেছে ত্রিশ মাস।” (সূরা আহকাফ-১৫)

 

আল্লাহ তা'আলা আরও বলেন,

وَقَضَى رَبُّكَ أَلاَّ تَعْبُدُواْ إِلاَّ إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِندَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلاَهُمَا فَلاَ تَقُل لَّهُمَآ أُفٍّ وَلاَ تَنْهَرْهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوْلاً كَرِيمًا


তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যেতাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং বল তাদেরকে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা। (সূরা বনী ইসরাঈল-২৩)


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনার মা এসব কথা বললে স্থান ত্যাগ করতে পারেন,মায়ের সাথে কম কথা বলতে পারেন।
কোনোভাবেই কটু বাক্য বলবেননা।
মায়ের প্রতি মন থেকে সম্মান না আসলেও সামনা-সামনি সম্মান দেখাবেন।

এব্যাপারে তার সাথে কোনো কথা না বলে চুপ করে থাকলে বা স্থান ত্যাগ করলে গুনাহ হবেনা।

মায়ের কথা মেনে বেদ্বীন কাউকে বিয়ে করতে রাজী হলে ছেলে যেহেতু মুসলিম,তাই এই বিবাহ শুদ্ধ হবে।
তবে এক্ষেত্রে পাত্রী যেহেতু দ্বীনদার,তাই তাদের সুখী হওয়ার আশা করা যায়না।

যদি কোনোভাবেই বাবা মা দ্বীনদার পাত্রের সাথে বিবাহ দিতে না চান,সেক্ষেত্রে বেদ্বীন কাউকে বিয়ে করতে রাজী হতে পারেন,সেক্ষেত্রে স্বামীকে বুঝিয়ে দ্বীনের প্রতি ধাপিত করার নিয়ত করবেন।

তবে প্রশ্নের বিবরণ মতে এক্ষেত্রে আপনার বাবা যেহেতু আপনাকে অনেকটা হলেও সাপোর্ট দিচ্ছে,তাই আপনি বেদ্বীন কাউকে বিয়ে করবেননা।

মায়ের আদেশে বা পাত্রের আদেশে নিকাব ছেড়ে দেয়া যাবেনা।

পর্দা করা ফরজ,তাই ফরজ বিধান কোনো মানুষের আদেশে লঙ্ঘন করা যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...