আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
110 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
closed by
১।আমার বিয়ের বসয় ১৫ বছর। আমার যেখানে বিয়ে হয়েছে তারা সুদের লেনদেন করে।শুধু লেনদেন বললে ভুল হবে পাকা সুদখোর।স্বামী থেকে শুরু করে স্বামীর পরিবারের প্রত্যেক সদস্যই সুদ গ্রহণ করে। আমি তাদের বিয়ের পর থেকেই ইসলামের দাওয়াত দিয়ে আসছি, সুদ থেকে দূরে থাকার তাগীদ দিয়েই আসছি কিন্তু তাদের মাঝে বিন্দুমাত্র পরিবর্তন আসেনি বরং আরও বেশি হয়েছে।আমি যখন ইবাদত করি তখন আমার স্বামী বিভিন্নভাবে উপহাস এবং পাকড়াও করতে থাকে।আমার সংসার এই সুদের টাকাতেই চলে। একদম পুরো বেদ্বীন পরিবারে থেকে হারাম খেয়ে ইবাদত করে আমি একদম তৃপ্তি পাচ্ছি না। স্বামীকে হালাল উপার্জনের তাগীদ দিলেও তিনি আমার কোন কথাই শোনে না। সুদের পিছনেই শ্রম দিতে থাকে। এই মুহুর্তে কি আমার পক্ষে তালাক্ব নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া কি ঠিক হবে?

২।আমার এক ছেলে আর এক মেয়ে আছে। মেয়েকে আলেমা মাদ্রাসায় দিয়েছি এবং ছেলেকে হাফিজিয়া মাদ্রাসায় দিয়েছি।আমার শ্বশুর বাড়ির কেউ রাজি না আমার স্বামীও না।শুধুমাত্র আমার জোরেই ছেলেমেয়ে দুজনকে আল্লাহর রাস্তায় দিয়েছি।কিন্তু তাদের পড়াশোনার খরচ এই সুদের টাকা দিয়েই চলে।এক্ষেত্রে আমি সন্তানদের ইলম ছুটে যাওয়ার ভয় পাচ্ছি। এখন আমি যদি আমার সন্তানদের নিয়ে আলাদা থাকা কি ঠিক হবে?

মোটকথা আমি যদি আমার স্বামীর পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হই অর্থাৎ তালাক্ব নেই সেটা আমার জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কি না। মেহেরবানি করে আমাকে এই বিষয়ে মাসয়ালা জানাবেন ইনশাআল্লাহ
closed

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
selected by
 
Best answer

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
স্বামীর উপার্জন যদি হারাম থাকে বা স্বামী সম্পদের অধিকাংশ যদি হারাম থাকে,তাহলে স্ত্রীর জন্য উচিৎ নিজ মাল থাকলে সেই মাল থেকে খোরাকি গ্রহণ করা।তবে সে চাইলে স্বামীর মাল থেকেও খোরাকি নিতে পারবে।তবে এক্ষেত্রে না নেয়াই উত্তম।স্ত্রীর কোনো প্রকার মাল না থাকলে সে স্বামীর উক্ত সম্পত্তি থেকে প্রয়োজন পর্যন্ত খোরাকি নিতে পারবে।
রদ্দুল মুহতারে বর্ণিত রয়েছে,
وَفِي جَامِعِ الْجَوَامِعِ: اشْتَرَى الزَّوْجُ طَعَامًا أَوْ كِسْوَةً مِنْ مَالٍ خَبِيثٍ جَازَ لِلْمَرْأَةِ أَكْلُهُ وَلُبْسُهَا وَالْإِثْمُ عَلَى الزَّوْج ِتَتَارْخَانِيَّةٌ
যদি স্বামী সন্দেহজনক মাল দ্বারা খাদ্য বা কাপড় ক্রয় করে,তাহলে স্ত্রীর জন্য উক্ত খাদ্য এবং কাপড়-কে গ্রহণ করা জায়েয রয়েছে। গোনাহ অবশ্য স্বামীরই হবে।(তাতারখানিয়া)(রদ্দুল মুহতার-৬/১৯১)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/782

প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
স্বামীর ইনকাম যাই হোক, আপনার জন্য জীবনাতিপাত জায়েয। সমস্ত গোনাহ স্বামীরই হবে। সুতরাং তালাক চাওয়ার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।

(২)
নাবালক সন্তানের লালন পালনের দায়িত্বও পিতার। পিতা হারাম ইনকাম হলে, গোনাহ পিতারই হবে। সন্তানের কোনো গোনাহ হবে না। তবে সাবালক ছেলে সন্তানের জন্য পিতার হারাম ইনকাম দ্বারা জীবনাতিপাত করা জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,400 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...