জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের নির্দেশ দিয়েছেন,
وقوموا لله قانطين
‘তোমরা আল্লাহর সম্মুখে দণ্ডায়মান হও বিনীতভাবে।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৩৮)
খুশু খুজু ঠিক রেখে নামাজ আদায় করতে হবে।
রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে সুন্দরভাবে অজু করে, অতঃপর মন ও শরীর একত্র করে একাগ্রতার সঙ্গে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে (অন্য বর্ণনায় এসেছে যে নামাজে ওয়াসওয়াসা স্থান পায় না), তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায় (অন্য বর্ণনায় রয়েছে, তার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়)।’ (নাসাঈ, হাদিস : ১৫১; বুখারি, হাদিস : ১৯৩৪)
নামাজ ভেঙ্গে যাওয়ার অন্যতম একটি কারন হলো নামাজের ভেতর কথা বলা।
নামাজে এমন কোনো অর্থবোধক শব্দ করা, যা সাধারণ কথার অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। (হোক সেটা এক অক্ষর বা দুই অক্ষরে ঘটিত) তাহলে নামাজ ভেঙে যাবে। (ফাতাওয়ায়ে শামী ১/৬১৩, আল বাহরুর রায়েক : ২/২)
মুআবিয়াহ ইবনুল হাকাম আস সুলামি (রা.) নওমুসলিম অবস্থায় নামাজে কথা বললে রাসুল (সা.) নামাজের পর তাঁকে বলেন, ‘নামাজের মধ্যে কথাবার্তা ধরনের কিছু বলা যথোচিত নয়। বরং প্রয়োজনবশত তাসবিহ, তাকবির বা কোরআন পাঠ করতে হবে।’ (মুসলিম, হাদিস : ৫৩৭)
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি কোনো অর্থবোধক শব্দ উচ্চারন করেন,তা যদি নিজ কানে আস্তে হলেও কেরাতের ন্যায় শব্দ শুনতে পান,তাহলেই নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
,
অন্যথায় নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।