ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
وَلَوْ كَانَ يَجِدُ الْمَاءَ إلَّا أَنَّهُ مَرِيضٌ يَخَافُ إنْ اسْتَعْمَلَ الْمَاءَ اشْتَدَّ مَرَضُهُ أَوْ أَبْطَأَ بُرْؤُهُ يَتَيَمَّمُ لَا فَرْقَ بَيْنَ أَنْ يَشْتَدَّ بِالتَّحَرُّكِ كَالْمُشْتَكِي مِنْ الْعَرَقِ الْمَدَنِيِّ وَالْمَبْطُونِ أَوْ بِالِاسْتِعْمَالِ كَالْجُدَرِيِّ وَنَحْوِهِ أَوْ كَانَ لَا يَجِدُ مَنْ يُوَضِّئُهُ وَلَا يَقْدِرُ بِنَفْسِهِ فَإِنْ وَجَدَ خَادِمًا أَوْ مَا يَسْتَأْجِرُ بِهِ أَجِيرًا أَوْ عِنْدَهُ مَنْ لَوْ اسْتَعَانَ بِهِ أَعَانَهُ فَعَلَى ظَاهِرِ الْمَذْهَبِ أَنَّهُ لَا يَتَيَمَّمُ؛ لِأَنَّهُ قَادِرٌ. كَذَا فِي فَتْحِ الْقَدِيرِ وَيُعْرَفُ ذَلِكَ الْخَوْفُ إمَّا بِغَلَبَةِ الظَّنِّ عَنْ أَمَارَةٍ أَوْ تَجْرِبَةٍ أَوْ إخْبَارِ طَبِيبٍ حَاذِقٍ مُسْلِمٍ غَيْرِ ظَاهِرِ الْفِسْقِ. كَذَا فِي شَرْحِ مُنْيَةِ الْمُصَلِّي لِإِبْرَاهِيمَ الْحَلَبِيِّ.
যদি কারো সামনে পানি বিদ্যমান থাকে, অন্যদিকে সে অসুস্থ থাকে,তার ভয় হয় যে,যদি পানি ব্যবহার করা হয়, তাহলে তার অসুস্থতা বৃদ্ধি পাবে,অথবা তার সুস্থতায় ধীরগতি চলে আসবে, তাহলে সে তায়াম্মুম করে নিতে পারবে। চায় তার অসুস্থতা বৃদ্ধির আশংকা শরীরে ঢলার কারণে চলে আসুক বা পানি স্পর্শ করার কারণে চলে আসুক। তাছাড়া যদি কেউ এমন কাউকে না পায় যে, তাকে অজু করিয়ে দিতে পারবে এমতাবস্থায় যে, সে নিজে অজু করার উপর সক্ষমও নয়, যদি সে কোনো খাদেম বা বাড়াটে লোক পায়, অথবা তার নিকট এমন কেউ থাকে, যাকে সাহায্যর আবেদন করলে সে অবশ্যই সাহায্য করবে, তাহলে এমতাবস্থায় ঐ ব্যক্তি জন্য তায়াম্মুম করা জায়েয হবে না।কেননা সে তখন পানি ব্যবহারের উপর সামর্থবান হিসেবে বিবেচিত হবে।
অসুস্থতা বৃদ্ধির এই ভয় ও আশংকা হয়তো বিভিন্ন প্রকার আলামত বা অভিজ্ঞতা কিংবা ন্যায়পরায়ণ বিজ্ঞ মুসলিম ডাক্তারের পরামর্শের উপর ভিত্তি করেই রচিত হবে। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৮)
এ বিধান হল, অজুর সমস্ত অঙ্গে অসুস্থতা থাকলে। আর সমস্ত অঙ্গে অসুস্থতা না থাকলে,এর বিধান নিম্নরূপ-
فَإِنْ كَانَ الْأَكْثَرُ صَحِيحًا وَالْأَقَلُّ جَرِيحًا يُغْسَلُ الصَّحِيحُ وَيُمْسَحُ عَلَى الْجَرِيحِ إنْ أَمْكَنَهُ وَإِنْ لَمْ يُمْكِنْهُ الْمَسْحُ يَمْسَحُ عَلَى الْجَبَائِرِ أَوْ فَوْقَ الْخِرْقَةِ وَلَا يَجْمَعُ بَيْنَ الْغُسْلِ وَالتَّيَمُّمِ.
যদি শরীরের বা অজুর অঙ্গ সমূহের অধিকাংশ অংশ সুস্থ থাকে,এবং সামান্য অংশ যখমি থাকে,তাহলে সুস্থ অঙ্গ সমূহকে পানি দ্বারা ধৌত করা হবে,এবং যখমি স্থানকে মাসেহ করা হবে।যদি মাসেহ করাও সম্ভব না হয়, তাহলে ব্যান্ডেজের উপর মাসেহ করা হবে।তারপরও ধৌতকরণ এবং তায়াম্মুমকে একসাথে একই অজু বা গোসলে জমা করা যাবে না।
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত রয়েছে,কোন জিনিষ দ্বারা তায়াম্মুম করা যাবে আর কোন জিনিষ দ্বারা তায়াম্মুম করা যাবে না।
(وَمِنْهَا الصَّعِيدُ الطَّيِّبُ) يَتَيَمَّمُ بِطَاهِرٍ مِنْ جِنْسِ الْأَرْضِ. كَذَا فِي التَّبْيِينِ كُلُّ مَا يَحْتَرِقُ فَيَصِيرُ رَمَادًا كَالْحَطَبِ وَالْحَشِيشِ وَنَحْوِهِمَا أَوْ مَا يَنْطَبِعُ وَيَلِينُ كَالْحَدِيدِ وَالصُّفْرِ وَالنُّحَاسِ وَالزُّجَاجِ وَعَيْنِ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ وَنَحْوِهَا فَلَيْسَ مِنْ جِنْسِ الْأَرْضِ وَمَا كَانَ بِخِلَافِ ذَلِكَ فَهُوَ مِنْ جِنْسِهَا. كَذَا فِي الْبَدَائِعِ.
যে জিনিষ মাঠির জিনস বা প্রকার থেকে হবে,সে জিনিষ দ্বারা তায়াম্মুম জায়েয রয়েছে।যে জিনিস আগুনে দিলে জ্বলেও না, গলেও না তাহা মাটি জাতীয়। তাহার উপর তায়াম্মুম দুরুস্ত আছে। যে জিনিস জ্বলিয়া ছাই হইয়া যায় বা গলিয়া যায়,যেমন স্বর্ণ রৌপ্য ইত্যাদি।তাহার উপর দুরুস্ত নহে।এবং ছাইয়ের উপর তায়াম্মুম দুরুস্ত নহে। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৬)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)ফক্সের মতো বা এমন টাইপ পুরো শরীরে হলে তায়াম্মুম করা যাবে। তায়াম্মুমের মাটি নেই, সেক্ষেত্রে দেয়ালকে ব্যবহার করা যাবে যদি তাতে চুনা থাকে।তবে ক্যামিকাল মিশ্রিত রং দেয়ালে দেয়া থাকলে তখন তায়াম্মুম জায়েয হবে না।
(২)এই অবস্থায় নামায পড়তে হবে। না পড়লে অবশ্যই গুনাহ হবে।