আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
226 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া   বার-কাতুহু।

একজন লোক তার স্ত্রীকে ঝগড়ার সময় বলেছে আমিতো তোমাকে কবেই মন থেকে ডিভোর্স দিয়ে দিয়েছি।এবং এই একই কথাটা দুইদিন বলেছিলেন।এবং আরেকদিন বলেছিলেন যে আমিতো কবেই তোমাকে মন থেকে এক তালাক দিয়ে দিয়েছি।আর,এছাড়াও তিনি মাঝে মাঝেই ওনার স্ত্রী কে বলেন তার বাড়ি থেকে চলে যেতে।

তবে এখন যখন ওনাকে এ বিষয়ে বলা হলো তখন তিনি বলতেছেন যে আমি তো এগুলো মন থেকে বলিনাই,কিছু হবেনা ইত্যাদি।

এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে,উক্ত আপুর কি তালাক হয়ে গেছে?নাকি এখনও তারা সংসার করতে পারবে?

1 Answer

0 votes
by (710,840 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
كَمَا  لَوْ أَقَرَّ بِالطَّلَاقِ هَازِلًا أَوْ كَاذِبًا فَقَالَ فِي الْبَحْرِ، وَإِنَّ مُرَادَهُ لِعَدَمِ الْوُقُوعِ فِي الْمُشَبَّهِ بِهِ عَدَمُهُ دِيَانَةً، ثُمَّ نَقَلَ عَنْ الْبَزَّازِيَّةِ وَالْقُنْيَةِ لَوْ أَرَادَ بِهِ الْخَبَرَ عَنْ الْمَاضِي كَذِبًا لَا يَقَعُ دِيَانَةً، وَإِنْ أَشْهَدَ قَبْلَ ذَلِكَ لَا يَقَعُ قَضَاءً أَيْضًا. اهـ. 
অনুরুপ ভাবে যদি স্বামী মিথ্যা বা তামাশা মূলক তালাকের স্বীকারোক্তি দেয়,তাহলে বাহরুর রায়েক গ্রন্থে বলা হয়েছে যে এটি দিয়ানাতান তথা আল্লাহর নিকট তালাক বলে গন্য হবে না।
অতঃপর বাযযাযিয়া ও ক্বুনয়া কিতাবে বর্ণিত রয়েছে, যদি এই মিথ্যা স্বীকারোক্তি দ্বারা অতীতের তালাকের খবর স্বামী দেয়,তাহলে দিয়ানাতান (আল্লাহর নিকট) তালাক হবে না। (কাযা'আন তালাক হবে।)

কিন্তু যদি তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তির পূর্বে স্বামী এ ব্যাপারে সাক্ষী রাখে, তাহলে  কাযা'আনও (তথা কাযী সাহেবের নিকট তালাক নিয়ে স্বামী স্ত্রীর ঝগড়ার মূহুর্তেও) তালাক হবে না।(রদ্দুল মুহতার-৩/২৩৬)

يشترط بالاتفاق القصد فى الطلاق، وهو إرادة التلفظ به ولو لم ينو فلا يقع طلاق فقيه يكره ولا طلاق حاك عن نفسه أو غيره لأنه لام يقصد معناه، بل قصد التعليم والحكاية، (الفقه الاسلام وادلته، كتاب الطلاق، باب شروط الطلاق-7/368)
সর্বসম্মতিক্রমে তালাকের জন্য নিজের ইচ্ছা বা দৃঢ় মনোভাব থাকা শর্ত। অর্থাৎ এমন শব্দ উচ্ছারণ করা শর্ত যাতে নিজের ইচ্ছার কথা প্রতিফলিত হয়।যদি তালাকের নিয়ত না থাকে, তাহলে তালাক পতিত হবে না।
অন্তরের প্ররোচিকা বা অন্তরের প্ররোচিকা দ্বারা তালাক হবে না।কেননা এখানেতো তালাক শব্দের অর্থকে উদ্দেশ্য নেয়া হচ্ছে না।বরং শিক্ষা বা কাহিনি বর্ণনার উদ্দেশ্যে তালাক শব্দ উচ্ছারণ করা হয়েছে। (আল ফিকহুল ইসলামি ওয়া আদিল্লাতুহু-৭/৩৬৮)

لو كرر مسائل الطلاق بحضرة زوجته ويقول: أنت طالق ولا ينوى طلاقا لا تطلق، (فتح القدير، كتاب الطلاق، باب ايقاع الطلاق-4/4)
যদি স্ত্রীর উপস্থিতিতে তালাকের মাস'আলা মাসাঈলকে বারংবার বলা হয়, যেমন স্বামী বলল, তুমি তালাক,এবং এমতাবস্থায় স্ত্রীকের তালাকের উদ্দেশ্য নেই, তাহলে স্ত্রী তালাক হবে না।(ফাতহুল কাদির-৪/৪)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
দিয়ানাতান তালাক হবে না। তবে যদি স্ত্রী স্বামীর কাছ থেকে ছুটি গ্রহণের জন্য দাবী করে যে, আমার স্বামী আমাকে তালাক দিয়েছে, এবং এ বিষয়ে সে কোর্টে বা সামাজিকভাবে বিচার দায়ের করে, তাহলে কাযী সাহেব তালাকের ফয়সালা দিবেন। তবে স্ত্রী বিচার দায়ের না করলে, স্বামীর কথাই গ্রহণযোগ্য হবে।এবং তালাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 165 views
...