ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
কুরআনকে শিক্ষকের মাধ্যমে শিখবেন। বাংলা উচ্ছারণ দেখে কুরআন পড়া ভুল থেকে খালি নয়।
(২)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻣﺴﻌﻮﺩ ﺳﻤﻌﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ـ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ـ ﻳﻘﻮﻝ : " ﻣﻦ ﻗﺮﺃ ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﻮﺍﻗﻌﺔ ﻛﻞ ﻟﻴﻠﺔ ﻟﻢ ﺗﺼﺒﻪ ﻓﺎﻗﺔ ﺃﺑﺪًﺍ "
তরজমাঃ- তিনি বলেন, নবীজী ﷺ বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক রাতে সূরা ওয়াকেয়া তিলাওয়াত করবে; সে কখনও অভাব-অনটনে পতিত হবেনা।’ (শু‘আবুল ঈমান, হাদীস নং-২৪৯৯)
সৌদিআরবের 'হাই'আতু কিবারিল উলামা' এর সদস্য সালেহ বিন ফাওযান লিখেন........
সূরা ওয়াক্বেয়া এর ফযিলত সম্পর্কে বিশুদ্ধ হাদীস রয়েছে,এ বিষয়ে তাফসিরে ইবনে ক্বাসির দেখতে পারেন,(তাফসিরে ইবনে কাসির-৪/৩৮৩)
ইবনে আসাকির হযরত ইবনে আব্বাস রাযি এর সূত্রে সহীহ সনদে বর্ণনা করেন যে,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,সূরায়ে ওয়াক্বেয়া হল ধনরত্নের সূরা।সুতরাং তোমরা তা পাঠ করো এবং তোমরা তোমাদের সন্তানাদিকে তা শিক্ষা দাও।
(ফাতহুল কাদ্বীর-৫/১৪৬)
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/459
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
রিযিক বৃদ্ধির জন্য প্রতিদিন সন্ধ্যার পর সূরায়ে ওয়াকেয়া এবং সর্বদা ইস্তরগফার করবেন।
(৩)
সালাতুল হাজত ও তাহাজ্জুদের নামায পড়ে আল্লাহর কাছে দু'আ করতে থাকুন।
(৪)
আত্মীয় রা খারাপ ব্যবহার করলে তাদের সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে। না রাখতে চাইলে অবশ্যই গুনাহ হবে। তবে তাদের সাথে সম্পর্ক রাখলে দ্বীনি বা দুনিয়াবী ক্ষতির আশংকা থাকলে তখন আত্মীয়দের সাথে সম্পর্ক না রাখারও রুখসত থাকবে।