আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
232 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম হুজুর, আমার অযুতে অনেক ওয়াসাওয়াসা হয়। এমনিতে ও নামাজ এবং অন্যান্যা কাজে ও ওয়াসাওয়াসা আছে। আমি অযুতে নতুন পানি দিয়ে পা ধোয়ার আগে অযুর বাকি পানিগুলো দিয়ে (হাত ধোয়া থেকে মাথা মাসেহর পানি) পা ধুয়ে নিই। যেগুলো বালতিতে জমা থেকে। এগুলো এজন্য দিই যাতে পা কোথায় শুকনো থাকার ওয়াসাওয়াসা না হয়।

এরপর প্রায় দেড় জগ পানি নতুন পানি ডান পায়ে দিই। তারপর ডান পা ভালো করে ঢলে দিই।

একইভাবে বাম পা ধুই।

১/এভাবে ব্যবহৃত পানি আর নতুন পানি মিক্সিং হওয়ার কারনে অযুতে সমস্যা হবে?????

নাহলে দেড় জগ কেনো এক বালতি পানি দিয়ে পা ধুলেও আমার ওয়াসাওয়াসা হয়। প্রতি পায়ে দেড় জগ পানি দেয়ার পরও সন্দেহ হয় প্রতি জায়গায় নতুন পানি পৌছলো কিনা, নাকি সেটা ব্যবহৃত পানি!!

২/আমার জন্য জগ দিয়ে পা ধোয়ার কোনো সহজ পদ্ধতি আছে কিনা জানালে উপকৃত হতাম।

শুধুমাত্র পা ধুতে আমার ৫-১০মিনিট চলে যায়। বাথরুমে টেপের নিচে পা রেখে দাঁডিয়ে পা ধুতে গেলে পা ধরে যায়, হাপিয়ে যায়, এক পায়ে ভরের কারনে। তাছাড়া অনেক পানি শেষ হয়। প্রায় বড় বালতিতে এক বালতি।

জাযাকাল্লাহ খইরান।

1 Answer

0 votes
by (561,180 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، حَدَّثَنَا سِمَاكٌ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ اغْتَسَلَ بَعْضُ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم فِي جَفْنَةٍ فَجَاءَ النَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم لِيَتَوَضَّأَ مِنْهَا - أَوْ يَغْتَسِلَ - فَقَالَتْ لَهُ: يَا رَسُولَ اللهِ، إِنِّي كُنْتُ جُنُبًا . فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ الْمَاءَ لَا يُجْنُبُ " . - صحيح

‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কোন এক স্ত্রী বড় একটি পাত্র থেকে পানি তুলে গোসল করেন। এমন সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অবশিষ্ট পানি দ্বারা অযু অথবা গোসল করতে আসলেন। স্ত্রী বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমি তো জুনুবী ছিলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, পানি অপবিত্র হয় না।
তিরমিযী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, হাঃ ৬৫, ইমাম তিরমিযী বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ), ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ নারীর ব্যবহৃত পানি দিয়ে উযু করার অনুমতি প্রসঙ্গে, হাঃ ৩৭০), হাকিম (১/১৫৯)। 


★শরীয়তের বিধান হলো, ব্যবহৃত পানি বলা হয় এমন পানিকে, যা ‘হাদাস’ (অপবিত্রতা দূর করা বা সওয়াব অর্জনের জন্য অজু ও গোসলে ব্যবহৃত হয়েছে। 

ব্যবহার কারীর শরীর থেকে আলাদা হওয়ার পর সেই পানি ব্যবহৃত পানি বলে গণ্য হবে।
ব্যবহারিত পানি দ্বারা অযু করলে পবিত্রতা হাসিল হবেনা।

আরো জানুনঃ- 

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
(০১)
আপনার অযুতে সমস্যা হবেনা।
অযু হয়ে যাবে।

তবে এক্ষেত্রে এতো কষ্টের প্রয়োজন ছিলোনা।

আপনি যে বালতির কথা প্রশ্নে উল্লেখ করেছেন,সেই বালতি থেকে হাত দিয়ে পানি নিয়ে আপনি অযু করতেছিলেন?
নাকি ওই ঐ বালতির ভিতরে হাত,পা ডুবে দিয়ে অযু করেছেন?

যদি ১ম ছুরত হয়,সেক্ষেত্রে সেই বালতির পানি দিয়ে পা ধোয়ার দ্বারা তখনই আপনার পা পাক হয়ে গিয়েছে। 

আর যদি ২য় ছুরত হয়,সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে জগের পানি দিয়ে ধোয়ার কারনে আপনার পা পাক হয়েছে। 

(০২)
এখানে আপনার প্রচুর পানির অপচয় হচ্ছে। 
আপনি এক্ষেত্রে বদনা দিয়ে পানি ঢেলে ডলে ফলে অযু করবেন।
তাহলে খুব কম পানি দিয়েই হয়ে যাবে। 
আর যদি বদনা না থাকে,সেক্ষেত্রে ট্যাপ আস্তে ছেড়ে সেখান থেকেও ডলে ডলে অযু করতে পারেন।

ওয়াসওয়াসা পরিহার করুন। অল্প পানি দিয়ে পা ধোয়ার চেষ্টা করুন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (5 points)
আসসালামুআলাইকুম, আমি অজু করার সময় টেপের নিচে বালতি রাখি। অজু করার সময় হাত ধোয়া থেকে শুরু করে মাথা মাসেহর পানি বালতিতে পড়ে৷ সে ব্যবহৃত পানি গুলো পায়ে দিই।
প্রতি পায়ে তারপর দেড় জগের মত করে নতুন পানি দিই।
★পায়ে দেড় জগ নতুন পানি দিয়ে না ডললে হবে?
by (561,180 points)
না ডললেও হবে।
তবে শীতকাত হওয়ার দরুন ডলে ধৌত করবেন।
ডলে ধোয়া হলে সামান্য পানিতেই হয়ে যাবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...