আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
98 views
in সালাত(Prayer) by (75 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর,

পা কেটে গেছে, ডাক্তার সেলাই করে দিয়েছেন!

কিছু ছবি হুজুর: https://drive.google.com/drive/folders/1OgRdwKDrRzLU4JFht1FaLZ-o_HXPljbN

১. দাড়িয়ে নামাজ পড়তে কষ্ট হবে, এক পায়ে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে হবে, আরেক পায়ে হালকা ভর দিতে হবে, কিন্তু কষ্ট হবে, বৈঠকের মত বসতেও কিছুটা অক্ষম; যেহেতু ডন পা কেটেছে,   বসে কিভাবে নামাজ পড়বো? পা দুটো কি সামনে কিবলামুখী করে বসে নামাজ পড়বো? (অনুগ্রহ করে ছবিগুলো দেখবেন হুজুর)

২. কিভাবে নামাজ পড়বো চিন্তা করতেছি, কাপড় চোপড় রক্ত ভরে গেছে, গোসল করার মত অবস্থায় নাই আমি, কিভাবে কী করবো উস্তাদ? অজু গোসল কিভাবে করবো, ঐ জায়গায় পানি লাগানো তো যাবে না?

৩. এক ওয়াক্তের নামাজ কি অন্য ওয়াক্তের নামাজ পড়ার আগে কাযা করে একসাথে পড়া যাবে হজুর?

৪. ৪.৩৫ এ আসর, ৪.২০ এ জোহর পড়ে একটু বসে থেকে, আসর পড়ে নিলে সমস্যা হবে উস্তাদ?

1 Answer

0 votes
by (679,600 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


নামাজি অসুস্থ হলে এবং দাঁড়াতে অপারগ হলে তাকে চতুষ্পদ (চারজানু) হয়ে বসে অথবা তাশাহহুদের বৈঠকের ন্যায় বসে নামাজ আদায় করতে হবে।

যদি বসেও আদায় করতে অক্ষম হয় তবে ডান পার্শ্বের উপর ভর দিয়ে। তাও যদি কষ্টকর হয় তবে বাম পার্শ্বের উপর ভর দিয়ে নামাজ আদায় করতে হবে।

 এ ভাবেও যদি নামাজ পড়তে সক্ষম না হয়, তবে কিবলার দিকে পা দিয়ে চিত হয়ে শুয়ে মাথা দ্বারা বুকের দিকে ইশারা করে রুক ও সিজদা আদায় করবে। তবে সিজদার সময় রুকুর চেয়ে একটু বেশি মাথা ঝুকাবে।

সর্বোপরি জ্ঞান থাকা পর্যন্ত কোনো নামাজির নামাজ মাফ হবে না। অসুস্থ ব্যক্তি তার সুবিধা মতো নামাজ আদায় করবে।হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  অসুস্থ ব্যক্তির নামাজের বিবরণ দিয়েছেন-
عن عمران بن حصين رضي الله عنهما قال: قال النبي صلى الله عليه وسلم: ((صلِّ قائمًا، فإن لم تستطع فقاعدًا، فإن لم تستطع فعلى جنب
رواه البخاري في أبواب تقصير الصلاة، باب إذا لم يُطِقْ قاعدًا 1/ 376 (1066)

হজরত ইমরান ইবনে হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার অশ্ব রোগ ছিল, তাই এ অবস্থায় কিভাবে নামাজ আদায় করবো তা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, ‘দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় কর, যদি না পার তবে বসে কর, তাও যদি না পার তাহলে এক পার্শ্বের উপর আদায় কর।’ (বুখারি ১/৩৭৬)
,
যে ব্যক্তি ইশারায় রুকু-সিজদা করবে, সে রুকু থেকে সিজদাতে সামান্য বেশি ঝুঁকবে। অন্যথায় নামাজ সহিহ হবে না। (তিরমিজি, হাদিস নং: ৩৭৬)

বিস্তারিত জানুনঃ   

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিতে ছুরতে আপনি বসে নামাজ পড়বেন।
নিতম্বের উপর বসে পা বের করে দিবেন।
(মহিলাদের নামাজের ন্যায়।)
যেই পা ক্ষত হয়েছে,সেই পা একেবারে বাহিরে বের করে দিবেন।
তার পর নামাজ পড়বেন।
বসে থেকেই রুকু সেজদাহ করবেন। 
রুকুতে একটু মাথা ঝুকাবেন।
আর সেজদাহ তে কোনো এক পার্শ্বে হাতের উপর ভত দিয়ে হলেও সেজদায় যাবেন। 

(উল্লেখ্য,ছবি গুলো দেখেছি।)

(০২)
শরীরের রক্ত মাখা কাপড় গুলো কাহারো সাহায্য নিয়ে পরিবর্তন করে ফেলবেন।
আর শরীরের যেখানে যেখানে রক্ত লেগেছে,সেই সেই স্থান কাহারো সাহায্যে ধুয়ে নিবেন,অথবা ভেজা কাপড় দিয়ে তিনবার মুছে নিবেন।

(০৩)
কাযা করার অনুমতি নেই।
আপনি এক ওয়াক্তের শেষে সেই ওয়াক্তের নামাজ আর পরের ওয়াক্তের শুরুতে পরের ওয়াক্তের নামাজ আদায় করতে পারেন।

(০৪)
আপনার জেলায় ৪ঃ২০ যদি জোহরের শেষ ওয়াক্ত হয়,তাহলে তার আগেই জোহরের নামাজ শেষ করে আছরের ওয়াক্ত আসা মাত্র আসরের নামাজ আদায় করবেন।

সেক্ষেত্রে  আপনার জেলায় ৪ঃ৩৫ যদি আসরের ওয়াক্তের শুরু হয়,তাহলে সেই সময়ে আপনি আসর নামাজ পড়তে পারবেন।  
  
সমস্যা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (75 points)
উস্তাদ, অজু গোসল কিভাবে করতে হবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...