ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
রিযিক তালাশের কথা আল্লাহ তা'আলা বলেছেন।তবে বিদেশ গিয়ে রিযিক তালাশ করতে হবে! বিষয়টা আসে এমন নয়,বরং যেখানেই সুযোগ হবে সেখানেই রিযিক তালাশ করার অাল্লাহ বলেছেন।রিযিক মানে এ নয় যে মাসে অনেক টাকা ইনকাম করতে হবে,বরং প্রয়োজন মত হয়ে গেলেই ব্যস।বর্তমানে বিদেশ প্রয়োজনীয় রিযিক তালাশের জন্য যাওয়া হয় না বরং ধনী হওয়ার জন্য অনেক টাকার মালিক হওয়ার জন্য যাওয়া হয়।
শরীয়ত অনুমোদিত কোনো কাজে মা-বার আদেশ নিষেধ মান্য করা অবশ্যই সবার উপর ওয়াজিব।তবে শরীয়ত অনুমোদিত না হলে ওয়াজিব হবে না।কেননা নবীজী সাঃ বলেনঃ
: ( ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺇﻧﻤﺎ ﺍﻟﻄﺎﻋﺔ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﻌﺮﻭﻑ ) ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ( 7257 ) ﻭﻣﺴﻠﻢ ( 1840 ) ،
অবৈধ কাজে কারো বিধিনিষেধের অনুসরণ-অনুকরণ করা যাবে না।শুধুমাত্র বৈধ কাজ সমূহে অনুসরণ-অনুকরণ করা হবে। (সহীহ বুখারী-৭২৫৭)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
উপরোক্ত আলোচনা থেকে বুঝা গেল যে, প্রতি চার মাসের মধ্যে একবার স্ত্রীকে সঙ্গ দেয়া ও তার ঐকান্তিক ডাকে সাড়া দেওয়া প্রত্যেক স্বামীর উপর ওয়াজিব।বিশেষ করে এই ফিতনার যামানায়।এবং এটা স্বামীর উপর স্ত্রীর অধিকার।আর স্ত্রীর উপর স্বামীর ওয়াজিব হচ্ছে চাহিবামাত্র নিজেকে স্বামীর সামনে সোপর্দ করা।তবে সন্তুষ্টচিত্তে নিজ অধিকার কেউ বিসর্জনও দিতে পারবে।সুতরাং শরয়ী হুকুম হচ্ছে, স্ত্রীর কথা অনুযায়ী স্বামীকে দেশেই স্ত্রীর সাথে বসবাস করতে হবে।এক্ষেত্রে মা-বাবার আদেশকে পালন করা জরুরী হবে না। তাবিজের তাদবীরের কথা যে আপনি বলছেন, সেটা করতে আপনি কোনো মুদাব্বির আলেমের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আল্লাহ-ই ভালো জানেন।