জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
বর্তমানে রুপার মূল্য ১১০০ টাকা ভড়ি।
সুতরাং সাড়ে বাহান্ন ভড়ি রুপার দাম ১১০০×৫২.৫= ৫৭৭৫০ টাকা,
শরীয়তের বিধান অনুপাতে এই পরিমান টাকা,বা সমমূল্যের রুপা বা সমমূল্যের ব্যবসায়ী পন্য বা কিছু টাকা সহ সমমূল্যের স্বর্ণ
কাহারো প্রয়োজন অতিরিক্ত থাকলেই যাকাত ফরজ হবে।
যাকাত সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ
লোন থাকলে সেই লোনের টাকা বাদ দিয়ে যাহা অবশিষ্ট থাকে,তাহার উপর যাকাত ফরজ হবে।
আরো জানুনঃ
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে লোনের টাকা বাদ দিয়ে অবশিষ্ট টাকা/স্বর্ণ/রুপা;ব্যবসায়ী পন্যের যাকাত দিতে হবে।
★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী যাকাত প্রদানের খাত,অর্থাৎ যাদেরকে যাকাত দিলে যাকাত আদায় হবে।
إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاءِ وَالْمَسَاكِينِ وَالْعَامِلِينَ عَلَيْهَا وَالْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ وَفِي الرِّقَابِ وَالْغَارِمِينَ وَفِي سَبِيلِ اللَّهِ وَابْنِ السَّبِيلِ ۖ فَرِيضَةً مِنَ اللَّهِ ۗ وَاللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ [٩:٦٠]
যাকাত হল কেবল ফকির, মিসকীন, যাকাত আদায় কারী ও যাদের চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তাদে হক এবং তা দাস-মুক্তির জন্যে-ঋণ গ্রস্তদের জন্য, আল্লাহর পথে জেহাদকারীদের জন্যে এবং মুসাফিরদের জন্যে, এই হল আল্লাহর নির্ধারিত বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। {সূরা তাওবা-৬০}
মোট ৮ ধরণের ব্যক্তিকে যাকাত ও ফিতরা দেয়ার কথা কুরআনে বর্ণিত। যথা-
১- গরীব। যার সম্পদ আছে কিন্তু নেসাব পরিমাণ মালের মালিক নয়।
২- মিসকিন। যার একদমই কোন সম্পদ নেই।
৩- ইসলামী রাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় কোষাগারের জন্য শরীয়ত নির্দিষ্ট যাকাত আদায়কারী আমেল। এটা ইসলামী রাষ্ট্রপ্রধান দ্বারা নিযুক্ত হতে হবে। নিজে নিজে মনে করে নিলে হবে না। {জাওয়াহিরুল ফিক্বহ-৬/৬৯}
৪- নব মুসলিমদের ইসলামের প্রতি মোহাব্বত বাড়ানোর জন্য উৎসাহমূলক যাকাত প্রদান।
এ বিধানটি রহিত হয়ে গেছে। তাই বর্তমানে কোন ধনী নওমুসলিমকে যাকাত প্রদান জায়েজ নয়। {হিদায়া-১/১৮৪, মাআরিফুল কুরআন-৪/১৭১, তাফসীরে মাযহারী-৪/২৩৫}
৫- দাসমুক্তির জন্য। যেহেতু বর্তমানে দাসপ্রথা নেই। তাই এ খাতটি বাকি নেই।
৬- ঋণগ্রস্তের জন্য।
৭- ফী সাবিলিল্লাহ। তথা আল্লাহর রাস্তায় থাকা ব্যক্তিদের জন্য। এখন প্রশ্ন হল আল্লাহর রাস্তায় কারা আছে? ফুক্বাহায়ে কেরাম বলেন এতে রয়েছেন-
জিহাদরত মুজাহিদরা। তাদের জিহাদের অস্ত্র ও পাথেয় ক্রয় করার জন্য যাকাতের টাকা গ্রহণ করবে। হজ্বের সফরে থাকা দারিদ্র ব্যক্তির জন্য। ইলমে দ্বীন অর্জনকারী দারিদ্র ব্যক্তির জন্য। {আদ দুররুল মুখতার-৩৪৩, হিদায়া-১/১৮৫, রূহুল মাআনী-৬/৩১৩}
৮- সফররত ব্যক্তিকে। যার টাকা পয়সা আছে বাড়িতে। কোন সফর অবস্থায় অসহায়। তাকে যাকাতের টাকা দেয়া জায়েজ।
,
সুতরাং নিন গ্রামের মানুষ যদি গরীব হয়,তাহলে তাদেরকে দেওয়াই উত্তম।
কারন তারা আপনার নিকটের ব্যক্তি।
তবে প্রতিবেশীকেও দিতে পারেন।
,
★কাপড়ের মাধ্যমে যাকাত দেওয়া জায়েয আছেএতে যাকাত আদায় হবে ঠিকই, তবে যেহেতু ঐ ব্যাক্তির টাকার প্রয়োজন থাকে,তাই সরাসরি টাকা দিয়ে দেওয়াই উত্তম।
এটা নিয়ে সে তার প্রয়োজন পুরন করবে।