বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
নামাজের মধ্যে এসব ওয়াসওয়াসা আসলে প্রবল ধারনার উপর আমল করবেন।
প্রবল ধারনা না হলে কম সংখ্যাকে ধরে নামাজ শেষ করবেন,ও শেষে সেজদায়ে সাহু আদায় করবেন।
এই ওয়াসওয়াসা থেকে আপনাকে বের হতে হবে।
এটি অসুস্থতার দিকে এগোচ্ছে।
,
আপনি এই ওয়াসওয়াসাকে পাত্তা দিবেননা,মমে আসতেই দিবেননা। তাহলেই ইনশাআল্লাহ সমাধান মিলবে।
যে কোনো ওয়াসওয়াসার প্রধান চিকিৎসা এটাই যে, একে গুরুত্ব না দেয়া। কেননা, এটা মূলত শয়তানের কাজ।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
إِنَّمَا النَّجْوَىٰ مِنَ الشَّيْطَانِ لِيَحْزُنَ الَّذِينَ آمَنُوا وَلَيْسَ بِضَارِّهِمْ شَيْئًا إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ ۚ وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُونَ
এই ওয়াসওয়াসা তো শয়তানের কাজ; মুমিনদেরকে দুঃখ দেয়ার দেয়ার জন্যে। তবে (এই ওয়াসওয়াসা সৃষ্টি করে) সে মুমিনদেরকে চুল পরিমাণ ক্ষতি করতে পারে না, আল্লাহর হুকুম ছাড়া। মুমিনদের উচিত আল্লাহর উপর ভরসা করা। (সূরা মুজাদালাহ ১০)
কিছু পরামর্শঃ-
আপনাকে এমন ভাবে নামাজ পড়তে হবে যেনো আমি আল্লাহ তায়ালার সামনে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ছি। আর আল্লাহ তায়ালা নামাজ পড়া দেখছেন।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,
قَالَ مَا الإِحْسَانُ قَالَ " أَنْ تَعْبُدَ اللَّهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ، فَإِنْ لَمْ تَكُنْ تَرَاهُ فَإِنَّهُ يَرَاكَ ".
‘আল্লাহর ইবাদত করো এমনভাবে যেন তাঁকে তুমি দেখতে পাচ্ছ। আর যদি দেখতে না পাও, তবে তিনি যেন তোমাকে দেখছেন। ’ (বুখারি, হাদিস : ৫০; মুসলিম, হাদিস : ৮)
অন্য এক হাদীসে এসেছে-
ثُمَّ قَالَ مَنْ تَوَضَّأَ وُضُوئِي هَذَا ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ لاَ يُحَدِّثُ نَفْسَهُ فِيهِمَا بِشَيْءٍ إِلاَّ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে সুন্দরভাবে অজু করে, অতঃপর মন ও শরীর একত্র করে একাগ্রতার সঙ্গে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে (অন্য বর্ণনায় এসেছে যে নামাজে ওয়াসওয়াসা স্থান পায় না) তার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়)। ’ (নাসাঈ, হাদিস : ১৫১; বুখারি, হাদিস : ১৯৩৪)
★কিরাআত, তাসবিহ,তাকবির,তাশাহুদ,দরুদ ইত্যাদি পড়ার সময় নিজের কানে আসে,এমন আওয়াজে জিহবা নাড়িয়ে উচ্চারণ করুন।
নামাজে ‘হুজুরে দিল’ বা একাগ্র থাকা; এটি নামাজের প্রাণ। এমনভাবে নামাজ পড়তে হবে যেন আল্লাহ আমাকে দেখছেন।
নামাজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই কল্পনা ধরে রাখার অনুশীলন করুন যে ‘আল্লাহ আমাকে দেখছেন’। এভাবে অনুশীলনের মাধ্যমে নামাজ শেষ করার চেষ্টা অব্যাহত রাখুন।
নামাজে যা কিছু পাঠ করা হয়, তা বিশুদ্ধ উচ্চারণে পড়ার চেষ্টা করুন। এটি অন্তরের উপস্থিতিকে আরো দৃঢ় করে।
নামাজে দাঁড়িয়ে আল্লাহ তাআলাকে ভয় করুন। ভাবুন, এই নামাজই হয়তো বা আপনার জীবনের শেষ নামাজ।
বিস্তারিত জানুনঃ-
(০২)
হ্যাঁ, এভাবে নামাজ হয়ে যাবে।
(০৩)
এতে নামাজ হয়ে যাবে।
তবে শর্ত হলো এর মাঝে নামাজ ভঙ্গকারী কোনো কাজ, যেমন কথাবার্তা,খাওয়া দাওয়া ইত্যাদি করা যাবেনা।
(০৪)
আপনার অযু নামাজ হয়ে যাবে।
আপন এসব ওয়াসওয়াসাকে পাত্তা দিবেননা।
আপনার প্রতি চিকিৎসা গ্রহনের পরামর্শ রইলো।
(০৫)
প্রবল ধারনার উপর আমল করবেন।
প্রবল ধারনা না হলে রুকু করেননি ধরে নিয়ে রুকু করবেন।
শেষে সেজদায়ে সাহু আদায় করবেন।
(০৬)
আর রুকু করতে হবেনা।
(০৭)
আপনার নামাজ হয়ে যাবে।
(০৮)
হ্যাঁ, এভাবে আপনার নামাজ হয়ে যাবে।
(০৯)
আপনার নামাজ হয়ে গিয়েছে।
কিছুই করতে হবেনা।
(১০)
হ্যাঁ, এভাবে নামাজ হয়ে যাবে।